

কয়েকটি কবিতা
‘দুজনেই দুজনের জামার প্রথম বোতামের দিকে তাকিয়ে/ রয়েছি হাঁ-করে—/ বোতাম চকচক করিতেছে শুক্রাণু-সাদা বনজ্যোৎস্নায়…/ আমাদের চোখে বড্ড আরাম দিচ্ছে সেই আলো—/ ঘুম এসে যাচ্ছে, লতানে-পাতানে ঘুম…/ আজানে-পাজানে ঘুম’
‘দুজনেই দুজনের জামার প্রথম বোতামের দিকে তাকিয়ে/ রয়েছি হাঁ-করে—/ বোতাম চকচক করিতেছে শুক্রাণু-সাদা বনজ্যোৎস্নায়…/ আমাদের চোখে বড্ড আরাম দিচ্ছে সেই আলো—/ ঘুম এসে যাচ্ছে, লতানে-পাতানে ঘুম…/ আজানে-পাজানে ঘুম’
‘যেমন কাছিমমাংস খেতে গিয়ে খুব বাল্যকালে/ তীব্র বাজে গন্ধ পেয়ে কাছিম খাবার সাধ গেছে।/ তেমনই তোমাকে চেয়ে আমার হালত গেছে ভেসে/ বন্যার উদোম জলে যেন গোসাবার ঘরবাড়ি।’
‘সেই একটা আলো বেয়ে উঠে যাচ্ছে মানুষের পোকা/ ল্যাঙচাতে ল্যাঙচাতে যাচ্ছে কাছাখোলা সুন্দরী মানুষ,/ হলুদ স্বপ্নের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে মেমেদের খোকা/ উঠোনের মধ্যিখানে সর্দি টানছে ক্ষুদ্র অলম্বুষ।’
‘কত নেকড়ে ডেকে উঠল টিলার উপরে/ সেসবের কোনও চিহ্ন তোমার হাতে নেই।/ আছে কেবল বিয়ের নিমন্ত্রণ, সন্ধেবেলা মৃদু আড্ডা/ আর থিয়েটারের বিজলি আলো।/ আমি, বোকা লোক, তোমার হাত ধরতে এসে কেবল একা হয়ে যাই’ নতুন কবিতা।
‘যে-ফুল ফোটেনি গাছে/ আমি তাকে খুঁজে ফিরি তারায় তারায়/ তারাফুল আমাকে জানায়/ না লেখা কবিতাগুলি কোথাও লিখিত/ আছে হাওয়ায় বাতাসে’ নতুন কবিতা।
‘হে অতীত, গুল্মপ্রাণ, জল দিই তোমাকে যে রোজ/ আমাকে ফুলের মতো ঘটনা ফিরিয়ে কিছু দাও।/ পড়োশির ঈর্ষা হই, পাখিদের পান্থশালা-খোঁজ…/ বদলে সময় যদি পেতে চাও, ফিরে দেব তাও।’ নতুন কবিতা।
‘এই মুসলমানপাড়া জীর্ণ আর ঘিঞ্জি অপরিষ্কার।/ এর শ্যাওলা প্লাস্টারে আমার অতীত আটকে আছে এই কানাভাঙা পুকুরের জলে।/ পুরনো শাড়ি নতুন বোরখা চাষির ঈদের আনকোরা লুঙ্গিতে আমার কুলুঙ্গি ভরে আছে।’
‘পারসেপশন তো এক স্বচ্ছ বেড়াল,/
কপিশ ঘোলাটে জলে মাছ খোঁজে,/
শেষমেশ শ্যাওলালিপ্ত দাঁতে নিজেকে বোঝায়/ বিভ্রান্তি মোক্ষম এক প্রাকৃতিক বল/ তারও চেয়ে তিসমার তার ক্যাওড়ামি/ (সেন্স অফ হিউমার, বুঝহ গোঁসাই!)’
‘দেখা কি হবে কখনও, ওই অন্ধে ও কাছিমে?/ শুনবে তারা সমুদ্রের যত অভিজ্ঞতা?/ এই অপার দৃষ্টিহীন স্থবির ইতিহাসে/ সবই তো আছে। কেবল নেই মাঝির কোনও কথা।’ নতুন কবিতা।
‘সীমা এই অধিকার। তাকে পার করা হল দোষ।/ কতটুকু যাব আর কতটুকু থেমে থাকব জেনে/ ভেসে আছি এ বাতাসে। যেরকম দ্বিধা ও সাহস/ আমাকে দু’ভাগ করে। মেলা থেকে অভিমান কেনে…’ নতুন কবিতা।
‘রাঙিয়ে দিয়ে যাই গো, যাই গো এবার যাওয়ার আগে বলে অপভ্রষ্ট রবীন্দ্রনাথে সেলাম ঠুকিয়ে নিমজ্জনে যাবে? হয় নাকি! শমিত বলবে, যাওয়া উচিত— তোর কাছে চাহিদা অন্য! মাইরি! কী জ্বালা!’ নতুন কবিতা।
‘সূর্যের সঙ্গে বনিবনা হল না বলেই তো/ রাত্রি আমার প্রিয় হয়ে উঠল, একাধারে/ সে প্রেমিকা, জল্লাদ, অপমানিতা— হামা দিয়ে/ কাছে এগিয়ে আসে, হাঁটু ঘষে মেঝেয়/ আর প্রার্থনা করে— ‘আরও চাবুক, প্রিয়তম’,/ আমাকেও মাঝে মাঝে বেঁধে রাখে, উফ…’ নতুন কবিতা।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.