শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩২
‘আমি পানশালা থেকে বেরিয়ে,/ হাসপাতাল থেকে মুখ ঘুরিয়ে/
কী এক অলীক কৌশলে নেমে পড়ছি সেখানে
আর ভুলে যাচ্ছি,/
বিস্মৃতি ও ছলনা ছাড়া নতুন সভ্যতা হয় না।’
‘আমি পানশালা থেকে বেরিয়ে,/ হাসপাতাল থেকে মুখ ঘুরিয়ে/
কী এক অলীক কৌশলে নেমে পড়ছি সেখানে
আর ভুলে যাচ্ছি,/
বিস্মৃতি ও ছলনা ছাড়া নতুন সভ্যতা হয় না।’
‘আমাদের কোম্পানিতে ইনফর্মাল সম্পর্কের ওপর খুব জোর দেওয়া হয়। মাঝে তাইওয়ান থেকে লোক এসে ওয়ার্কশপ করিয়ে গিয়েছে। সাক্সেনা বলল, ‘তু ফিকর মত কর চুতিয়ে, ম্যায় দেখতা হু।’ নিশ্চিন্ত হয়ে একটু দূরে গিয়ে আরেকটা সিগারেট ধরালাম।’
‘এই একটা ছবির সামনেই অনেকক্ষণ ধরেই যে দাঁড়িয়ে আছি, অনেকের সঙ্গে শাফিকাও নিশ্চয় তা লক্ষ করেছে। প্রেসের ভিড় থেকে সরে এসে, অপরিচিত আমার পাশে এসে দাঁড়ায় শাফিকা। তার দিকে তাকিয়ে, আমিও উদাসীন ভাবেই হাসি।’
‘তবু অভ্যাসবশে কোমর থেকে যন্ত্রটা হাতে নিয়ে সাবধানে দরজাটা সামান্য ফাঁক করে অবাক হয়ে গেল মজনু। সুজনি-ঢাকা থালা হাতে অপূর্ব সুন্দরী একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে। হলুদ শাড়ি, কালো ব্লাউজ, ফর্সা ছিপছিপে চেহারা।’
‘সবাইকে আশ্চর্য করে দিয়ে ইশারায় কাছে ডাকলেন এক বিধবা কাকিমাকে, বললেন, ‘মিনু খাব, দাও’, আদুল গায়ের আঁচল সরিয়ে তাঁর মুখের কাছে ঝুঁকে এলেন কাকিমা। লজ্জা পেয়ে মুখ ঘোরালেন স্ত্রী। এমন শেষ ইচ্ছে আর কেউ কখনও জানিয়েছে কি!’
‘মাথায় আমার বিনবিন করে ঘাম দিল, শরীরটা হালকা লাগল, মনে হল বুকের ভেতর থেকে তিনটে পায়রা উড়ে গলা দিয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে, আর আমি মুগ্ধ চোখে লোরার দিকে তাকাতে গিয়ে দেখলাম কুশল আমার দিকে ভেটকি মাছের মতো মুখ করে তাকিয়ে আছে।’
‘মলিনতা ফিরে আসে। যেন-বা দেজাভু।/ যেরকম লিখেছেন শ্রীশরৎবাবু,/ তেমন অতীত পেলে ভালবাসা হত/ সহজিয়া, অনাবিল, বাঁধুনিতে ছোট। অথচ ভেতরে কেউ কথা বলে। কাঁদে।/ নিজেকে পড়েছি আমি ভুল অনুবাদে।’
‘রাস্তায় খসে পড়া লোকটার মাথাফাটা খুলির রক্তে মাখামাখি দৃশ্যটা দেখতে যারা দাঁড়িয়ে পড়েছিল, তাদের কারও কারও মাথায় হাসপাতালের কথা এলেও, পরে ঝামেলা হতে পারে ভেবে কেউ-ই শেষ পর্যন্ত কাজটা করে উঠতে পারেনি।’
‘সত্যি কথা বলতে কী, তিথির সঙ্গে যে নূরজেলের কোনও দিন সম্পর্ক হতে পারে আমরা ভাবতেই পারিনি। এই দুজনের কোনও কিছুই যে মেলে না। তবুও… সম্পর্ক আসলে এক মায়াসুতো— না আছে তার গঠন না আছে আকার; না আছে তার ধর্ম, না আছে তার বর্ণ।’
‘যে পুরুষ অস্থিচর্মসার,/
তাকে ছুঁলে রমণের ভয়, লোকাচার,/
কী ভীষণ প্রলয়ে বিষণ্ণ হাড়ের শব্দ,/
নিরন্তর এক নারী,/
হেঁটে যায় কোমল বাস্তবে।’
‘বুলবুলি জানিয়ে দিল বস্তাপচা ধারণা নিয়ে থাকা এইসব সনাতনী ফিউডালদের বিরুদ্ধে ওরাও প্রতিবাদে সামিল হবে, পিছিয়ে যাবার কোনও চান্স নেই। লাল পতাকার নীচে এরা এক-একটা ভাড়। আমাদের পতাকা বাঁচিয়ে রাখতে হবে।’
হাইকু কবিতা যেন এক-একটি দীপমালা, যা ফুটিয়ে তোলে দার্শনিকের বিস্ময়! অসীম সম্ভাবনাময় এই তিনটি করে পংক্তি যেন অমোঘ তুলিটানে আমাদের সীমাবদ্ধ জীবনকে প্রসারিত করে! এতে ফুটে ওঠে কতগুলি অপরূপ ছবি, যা রঙিন ও বাঙ্ময়।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.