স্নান
‘কাঁপতে কাঁপতে বেরিয়ে এসেছিল রামরতন। অপমানিত সে অনেকবার হয়েছে, অনেকে বলে অপমানিত না হলে ভাল লেখা যায় না; কিন্তু তাই বলে পিয়নের পোস্ট! বাবলুর অফিসে বসে রামরতন কেঁদে ফেলেছিল ছেলেমানুষের মতো।’
‘কাঁপতে কাঁপতে বেরিয়ে এসেছিল রামরতন। অপমানিত সে অনেকবার হয়েছে, অনেকে বলে অপমানিত না হলে ভাল লেখা যায় না; কিন্তু তাই বলে পিয়নের পোস্ট! বাবলুর অফিসে বসে রামরতন কেঁদে ফেলেছিল ছেলেমানুষের মতো।’
‘সঙ্গে করে আনা এই একমাত্র উপহারটুকুও আমার হাতে সরাসরি না দিয়ে, মেসোমশাই সেটাও দিয়ে গেছেন ছোটেলালের হাতে। একেই বোধহয় বলে ভিজিলেন্সকে আঙুল দেখানোর স্পর্ধা; একই সঙ্গে আপাত বিশ্বাস অর্জনের পথও।’
‘নিরন্ন ঘরের যুবতী মেয়েদের যে পুলিশ কোয়ার্টারে বা সাহেবদের বাংলোয় যাতায়াত থাকবে, এ আর নতুন কী! গাড়ি করে শহরে যাতায়াত করিয়ে সে ব্যাপারেও কি আমার রুচি তৈরি করতে চাইছেন মি. অগাস্ট? ক্লাব-পার্টিতে গিয়ে মহিলা-সঙ্গই তো দস্তুর।’
‘বৃষ্টি নয়।/ মেঘ করলে বোমা পড়ে সিরিয়া, ইরাকে।/ প্রতি পূর্ণিমায় বুদ্ধ বামিয়ানে ভেঙে যেতে থাকে।/ পাথরের গুঁড়ো আর পোশাকের টুকরো ওড়ে গরম হাওয়ায় –/
কেউ কেউ এরই মধ্যে আকাশের দিকেও তাকায়।’
‘ফিরে চলে না গেলেও, সচেতন হয়ে গেলাম যারপরনাই। মন এবং হাঁটাচলায় সমস্ত ভাব গোপন করে এগিয়ে গেলাম ডানদিক ঘেঁষে; দেখলাম যে ভিড় বেশি অথচ নজরদারি নেই; হাসিই পেল, কারণ ভিড়টা মেয়েদের।’
‘অসম্মান এবং অবজ্ঞার ইট-পাটকেল যেটুকু যা লাগবে, তাতেও রক্তাক্ত হবে ওই বড় বউদি। সেখানে সম্মানের বঞ্চনা ছাপিয়ে, শরীর-সুখ তাকে যদি বেশি টানে তার দায়িত্ব কি আমার!’
‘মন্দিরের আশেপাশে ডিম-মাংস বেচা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝামেলার খবর মোবাইলে দেখেছে রঘু। স্কুলের মিড-ডে মিল থেকেও নাকি ডিম তুলে দেওয়া হচ্ছে জায়গায়-জায়গায়। সামোসা মুড়তে গিয়ে অনেকবার কাগজে পড়েছে রঘু।’
‘নাকে এল, বিড়ির গন্ধমাখা পুরুষ-শরীরের ঝাঁঝ; কিছুক্ষণের মধ্যেই পোষাকের বাঁধন ছিঁড়ে মিলিত হল দুজনে। অনভিজ্ঞ শাফিকার দেহে স্বীকৃতির স্বাদ এনে দিল শরীর-অভিজ্ঞ সেই ইসমাইল।’
‘নৃপতি তো সাধারণ নয়।/ নৃপতির দেয়াল থাকে না।/ যতদূর শরীরের ছায়া, রাজত্ব ততই।/ পেছনে দেয়াল নেই।/ সূর্যের যাত্রা রয়েছে।/ সূর্যাস্ত ঘনিয়ে এলে রাজ্য হয় সুদূরপ্রসারী,/ যত দীর্ঘ সারস উড়েছে।’
‘ইঙ্গিতটা বুঝেই বললাম আর কিছু লাগবে না; আন্দাজ হল যে আগের অফিসাররা বোধহয় মদ এবং মেয়েমানুষ দুই-ই চাইতেন। বাইরে এসে দেখি, ঘোড়ার গাড়িটা আর নেই; তার বদলে একটা বড় ঘোড়া সহিস সমেত দাঁড়িয়ে আছে, আমাকে পিঠে নেবে বলে।’
‘পশ্চিমে খোলে না,/
এমন জানলা আমার কপাল জুড়ে ভাঁজ করা/
হে দোস্ত, আমাকে চিনতে পারলে/
ওদের পাল্লা খুলে দিও।’
‘সেই যে ভাব হল দুজনের, তা আর সারা জীবনে চিড় খেল না একটুকুও। গান আর ফুলগাছ-পাগল আমার এই পুলিশ বরের সঙ্গে থাকতে থাকতে, অনেক কিছুর সঙ্গে আমি কিন্তু সব চেয়ে ভাল শিখলাম বন্দুক চালানো। আর শিখলাম, সম্মান না খুইয়ে সৎ ভাবে বাঁচা।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.