গল্প / কবিতা

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৯

‘ফিরে চলে না গেলেও, সচেতন হয়ে গেলাম যারপরনাই। মন এবং হাঁটাচলায় সমস্ত ভাব গোপন করে এগিয়ে গেলাম ডানদিক ঘেঁষে; দেখলাম যে ভিড় বেশি অথচ নজরদারি নেই; হাসিই পেল, কারণ ভিড়টা মেয়েদের।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৮

‘অসম্মান এবং অবজ্ঞার ইট-পাটকেল যেটুকু যা লাগবে, তাতেও রক্তাক্ত হবে ওই বড় বউদি। সেখানে সম্মানের বঞ্চনা ছাপিয়ে, শরীর-সুখ তাকে যদি বেশি টানে তার দায়িত্ব কি আমার!’

সামোসা

‘মন্দিরের আশেপাশে ডিম-মাংস বেচা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ঝামেলার খবর মোবাইলে দেখেছে রঘু। স্কুলের মিড-ডে মিল থেকেও নাকি ডিম তুলে দেওয়া হচ্ছে জায়গায়-জায়গায়। সামোসা মুড়তে গিয়ে অনেকবার কাগজে পড়েছে রঘু।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৭

‘নাকে এল, বিড়ির গন্ধমাখা পুরুষ-শরীরের ঝাঁঝ; কিছুক্ষণের মধ্যেই পোষাকের বাঁধন ছিঁড়ে মিলিত হল দুজনে। অনভিজ্ঞ শাফিকার দেহে স্বীকৃতির স্বাদ এনে দিল শরীর-অভিজ্ঞ সেই ইসমাইল।’

কয়েকটি কবিতা

‘নৃপতি তো সাধারণ নয়।/ নৃপতির দেয়াল থাকে না।/ যতদূর শরীরের ছায়া, রাজত্ব ততই।/ পেছনে দেয়াল নেই।/ সূর্যের যাত্রা রয়েছে।/ সূর্যাস্ত ঘনিয়ে এলে রাজ্য হয় সুদূরপ্রসারী,/ যত দীর্ঘ সারস উড়েছে।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৬

‘ইঙ্গিতটা বুঝেই বললাম আর কিছু লাগবে না; আন্দাজ হল যে আগের অফিসাররা বোধহয় মদ এবং মেয়েমানুষ দুই-ই চাইতেন। বাইরে এসে দেখি, ঘোড়ার গাড়িটা আর নেই; তার বদলে একটা বড় ঘোড়া সহিস সমেত দাঁড়িয়ে আছে, আমাকে পিঠে নেবে বলে।’

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩৩

‘পশ্চিমে খোলে না,/
এমন জানলা আমার কপাল জুড়ে ভাঁজ করা/
হে দোস্ত, আমাকে চিনতে পারলে/
ওদের পাল্লা খুলে দিও।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৫

‘সেই যে ভাব হল দুজনের, তা আর সারা জীবনে চিড় খেল না একটুকুও। গান আর ফুলগাছ-পাগল আমার এই পুলিশ বরের সঙ্গে থাকতে থাকতে, অনেক কিছুর সঙ্গে আমি কিন্তু সব চেয়ে ভাল শিখলাম বন্দুক চালানো। আর শিখলাম, সম্মান না খুইয়ে সৎ ভাবে বাঁচা।’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৪

’বিচিত্র এক অনুভূতিও মনে এল কারণ মানুষটার ওই দাপুটে রাশভারী চেহারার সঙ্গে কথা বলার ভঙ্গিটা যেন মিল খাচ্ছে না কিছুতেই— এই রকম বড় বাড়ি, নায়কোচিত চেহারা অথচ এত সহজ! মানুষটা কি সত্যিই এত সরল?’

মন্দার মুখোপাধ্যায়

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৩

‘আমার যে সামান্য অর্থ তাই আমি ভাগ করে খাই। ওটা তাই দান বা দয়া নয়, মিলেমিশে খাওয়ার আনন্দ। শাফিকাকে বললাম যে, যেটা আমি করতে পারি তা হল নিয়মিত আয় করার একটা পথ-সন্ধানের চেষ্টা।’

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩২

‘আমি পানশালা থেকে বেরিয়ে,/ হাসপাতাল থেকে মুখ ঘুরিয়ে/
কী এক অলীক কৌশলে নেমে পড়ছি সেখানে
আর ভুলে যাচ্ছি,/
বিস্মৃতি ও ছলনা ছাড়া নতুন সভ্যতা হয় না।’

বান্দরনাচ

‘আমাদের কোম্পানিতে ইনফর্মাল সম্পর্কের ওপর খুব জোর দেওয়া হয়। মাঝে তাইওয়ান থেকে লোক এসে ওয়ার্কশপ করিয়ে গিয়েছে। সাক্সেনা বলল, ‘তু ফিকর মত কর চুতিয়ে, ম্যায় দেখতা হু।’ নিশ্চিন্ত হয়ে একটু দূরে গিয়ে আরেকটা সিগারেট ধরালাম।’