গল্প / কবিতা

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৬

‘…যারা একটু বেশি আত্মসচেতন তারাই গুরুর মতন ছটফট করে। ঘুমের মধ্যেও তারা অশান্তির স্বপ্ন দেখে, শান্তির মধ্যেও তারা ভবিষ্যতের অশান্তির আভাস কল্পনা করে নিয়ে আঁতকে ওঠে। তাই সে বিনিদ্র।’ নিদ্রাহীন রাতের কথা।

ঈপ্সিতা হালদার

কয়েকটি কবিতা

এই বলে আনাজ প্রকৃতার্থে বিমূঢ়/
আর ওইপাশে একাকী শূকর খাঁচার মধ্যে বসে আছে
বিমূঢ় সেও/ রূঢ়তা এক ধরনের তিক্ত কষা ফলের নাম/
যা অল্পে অল্পে গলা বন্ধ করে দেয়। নতুন কবিতা

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৫

‘…গুরুর কাছে এই মাদ্রাজ থেকে ডাক ছিল ঈশ্বরের আশীর্বাদের মতো। টাকা দরকার তার ছিল না, কিন্তু দরকার ছিল আর একটা জিনিসের। সেটাই ছিল তার বৈশিষ্ট্য! সে চাইতো পালাতে।’ সংসার যখন বিষ।

শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

নীল কেটলি: পর্ব ৮

মজা হল, সব কাজকর্ম সেরে আমার মা যখন একটু বেলায় খেতে বসত, তখন আমিও আবার গিয়ে মায়ের সঙ্গে বসে পড়তাম। তখন আবার মায়ের পাতের মাছ-টাছ দিব্যি সাঁটিয়ে খেতাম। তখন পুঁইচচ্চড়ি বা বড়ির ঝালও খারাপ লাগত না। তখন মা আমার জীবনসর্বস্ব।

সুভাষ কর্মকার

দখল

‘একটা সময় লোকটা আমার গ্রামের বাড়ির জঙ্গল পরিষ্কার করত। লোকটার চোখদুটো যেন আমাকে দেখেও বারবার না দেখার ভান করে ঘুরে যাচ্ছে এদিক-সেদিক। একদিন একমাত্র জোয়ান ছেলেটা প্রেমঘটিত কারণে জমির বিষতেল খেয়ে আত্মহত্যা করেছিল। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে প্রায় বছর কুড়ি।’ নতুন গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৪

‘…আমি অনেকবার ভেবেছি মানুষের জীবনের সার্থকতা কিসে! অর্থে? খ্যাতিতে? স্বাস্থ্যে? শান্তিতে? অথচ তাও তো নয়। তা যদি হত তো কোথায় গেল সেই সব মানুষ, যারা সব কিছু পাওয়া সত্ত্বেও আজ বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে গেছে। নাকি চিরকাল প্রাতঃস্মরণীয় হয়ে থাকার মধ্যেও কোনও সার্থকতা নেই?’ নশ্বরতায় বিশ্বাসী গুরু দত্ত।

প্রিতম মুখোপাধ্যায়

ব্যালকনি অথবা পশমিনার গল্প

‘অর্ণব ফিরল রাত ন’টার পর। কলেজ সেরে একটা সেমিনারে গিয়েছিল। বেশ ধীরে, শান্ত স্বরে হুমকির ঘটনাটা জানাল বৃন্দা। কালো হয়ে গেল অর্ণবের মুখ। একটা শীতল প্রবাহ খেলে গেল শিরদাঁড়ার মধ্যে। স্খলিতের মতো বসে পড়ল সোফায়।’ নতুন গল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩৩

‘…আমি যে গুরুর সঙ্গে ওর মাকে নিয়ে কত আলোচনা করেছি, সে-কথা বললাম। শুধু মা কেন? প্রথম যেদিন বোম্বাই গিয়েছি সেদিনই গুরু তার মার সম্বন্ধে আমাকে বলেছে। মা-ও যে গল্প লেখেন, এটা বলতে গুরুর মুখে গর্বের চিহ্ন ফুটে উঠেছে।’ মায়ের অবদান।

অর্ণব চক্রবর্তী

ভালবাসা ও উষ্ণায়ন

জানো, ফাঙ্গাসের ভয়ে আমি ঘুমাতে পারি না,
খিদে পাক আর না পাক
তোমার শরীর হাতড়ে হাতড়ে খুঁজতে চাই
বয়সের দাগ,
ছুঁয়ে-ছেনে দেখতে চাই, জানতে চাই
পরখ করতে চাই আমার খিদে;
তখন দাম্পত্যের ঘন আঁচে সেঁকে তুমি ক্রমশ
টানটান হয়ে ওঠো

শুভংকর ঘোষ রায় চৌধুরী

বিকল্প নাটকের অনুবাদ

যে নাটক মূলস্রোতের মঞ্চ-বিরোধী বিকল্প থিয়েটার, যে নাটক একক ভাবে বহু সময়ই লিখিত হয়নি কেবল একজনের কলমে— বস্তুত যে নাটক কেবল লিখিত হয়েই মহড়ায় আসেনি, বরং মহড়ার মাধ্যমেও জায়গায় জায়গায় লিখিত হয়েছে। মূলধারার ছায়া ত্যাগ করে বিকল্প।

বিমল মিত্র

বিনিদ্র: পর্ব ৩২

‘…জীবনে আমার পাঠকরা আমাকে অনেক দিয়েছে। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে যা দেয়, তার বেশি আমার দাবি নেই। তাই গুরুর কাছে আমি নিস্পৃহ হয়েই গিয়েছিলাম। বলতে গেলে দর্শক হয়ে। সাহিত্যের অন্দর-মহল থেকে সিনেমার দেউড়িতে।’ চলচ্চিত্র জগতের দৈনন্দিন জীবন।

অরুণ কর

একটা নিখুঁত খুনের পরিকল্পনা

‘…লোকটার চেহারা এমন কিছু চোখে পড়ার মতো না, উচ্চতা মেরে-কেটে ফুট পাঁচেক, রোগাভোগা শরীর, ঘাড় পর্যন্ত বাবরি চুল, মুখে বসন্তের দাগ ভর্তি। তবে পোশাক-আশাক ধোপদুরস্ত, সাদা প্যান্ট, সাদা শার্ট, পায়ে নামী ব্র্যান্ডের জগিং শু, হাতে দামি ঘড়ি, প্রত্যেকটা আঙুলে আংটি, সব মিলিয়ে পরিপাটি ফুলবাবুটি।’ মারপ্যাঁচের গল্প।