
বিনিদ্র: পর্ব ৪০
‘গুরু যখন বিছানায় গিয়ে শোয়, তখন রতন একগাদা বই আর একটা টেবল্-ল্যাম্প নিয়ে গিয়ে রাখে তার পাশে। মদের নেশার মতো বই-এরও বুঝি একটা নেশা আছে। সারা জীবনে মদ তাকে শান্তি দিক আর না-দিক, বই তাকে চিরকাল শান্তি দিয়েছে।’ ভেঙে যাওয়া জীবন।

‘গুরু যখন বিছানায় গিয়ে শোয়, তখন রতন একগাদা বই আর একটা টেবল্-ল্যাম্প নিয়ে গিয়ে রাখে তার পাশে। মদের নেশার মতো বই-এরও বুঝি একটা নেশা আছে। সারা জীবনে মদ তাকে শান্তি দিক আর না-দিক, বই তাকে চিরকাল শান্তি দিয়েছে।’ ভেঙে যাওয়া জীবন।

‘…চ্যাপেলের এই ছোট্ট মাতৃমূর্তিটি সন্ন্যাসিনীদের খুব প্রিয়, ক’দিন আগে কারা যেন দেওয়াল টপকে এসে ভেঙে দিয়ে গেছে মেরির ঘাড় আর স্তন।’ সন্ন্যাসিনীর ফিরে দেখা।

‘…দুজনের মনের মধ্যেই তখন একঘেয়েমির যন্ত্রণা। গীতা শিল্পী, সে গান-পাগল মেয়ে। আর ওদিকে গুরুও শিল্পী। সে সিনেমা-পাগল মানুষ। একদিন নেশার ঝোঁকে গীতাকে বিয়ে করে ফেলেছিল সকলের অনুরোধ-উপরোধ উপেক্ষা করে। তারপর যা হয়, ক্লান্তি নেমে এল।’ বিবাহ যখন যন্ত্রণা।

‘তারা বলত ‘বড়দি আসলে ব্যাটাছেলে। মেয়েছেলের অত মেজাজ হয়?’ সব শুনে আমার মনে তৈরি হয়েছিল একজন দশাসই মহিলার ছবি। চোখে মোটা চশমা, নইলে তাকালেই আগুন বেরিয়ে এসে ছাত্রীদের পুড়িয়ে ছাই করে দিত। আমাদের বাড়ির দরজার সমান লম্বা আর জানলার সমান চওড়া।’ নতুন গল্প।

‘রেবতী কি আর অত বোঝে? জন্ম-জন্মান্তর ধরে তাদের একটিই আরাধনা ছিল, নরকের কুণ্ডের মতো চিরকাল পুড়তে থাকা পেটের আগুন নেভানো। প্রশ্ন সে তেমন করে না, কখনোই করেনি। এমনকী অ্যাগ্নেস চলে যাবার পরেও তো তার মনে প্রশ্নের উদয় হয়নি যে তার বউ কোথায় গেল, কার হাত ধরে চলে গেল, চলেই যে যাবে তা যেন কেমন করে জানত সে।’ নতুন উপন্যাস।

‘…গুরুর তখনকার অবস্থা আমি দেখেছি। তখন সে খাওয়ার কথা ভুলে যায়, সন্তানের কথা ভুলে যায়, আরামের কথা ভুলে যায়। তখন সে বড় নির্দয় মানুষ।’ স্বামী-স্ত্রী এবং শিল্প।
‘ডাইনিং হল আর আমাদের শোওয়ার ঘরের মধ্যবর্তী খোলা দরজা দিয়ে আমি স্পষ্ট হাই হিলের শব্দ পাচ্ছি। সেই শব্দটা ডাইনিং টেবিলের চারদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একবার, দু’বার, তিনবার, চারবার এবং বহুবার ঘুরে-ঘুরে তারপর যেমন এসেছিল তেমনি দরজা ভেদ করে বাড়ির পিছন দিকের ফটকের কাছে গিয়ে মিলিয়ে গেল।’ ভৌতিক অভিজ্ঞতা।

‘…বোম্বাই থেকে যখনই মাদ্রাজে গেছে কাউকে-না-কাউকে সঙ্গে নিয়েছে। এক-একবার গীতাও গেছে সঙ্গে। অনেকদিন সকাল থেকে শুটিং চলেছে স্টুডিওতে, সঙ্গে গীতাও গেছে। গীতা চুপ করে ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু শুটিং দেখেছে বসে বসে।’ একাকিত্বের দায়।

‘…যারা একটু বেশি আত্মসচেতন তারাই গুরুর মতন ছটফট করে। ঘুমের মধ্যেও তারা অশান্তির স্বপ্ন দেখে, শান্তির মধ্যেও তারা ভবিষ্যতের অশান্তির আভাস কল্পনা করে নিয়ে আঁতকে ওঠে। তাই সে বিনিদ্র।’ নিদ্রাহীন রাতের কথা।

এই বলে আনাজ প্রকৃতার্থে বিমূঢ়/
আর ওইপাশে একাকী শূকর খাঁচার মধ্যে বসে আছে
বিমূঢ় সেও/ রূঢ়তা এক ধরনের তিক্ত কষা ফলের নাম/
যা অল্পে অল্পে গলা বন্ধ করে দেয়। নতুন কবিতা

‘…গুরুর কাছে এই মাদ্রাজ থেকে ডাক ছিল ঈশ্বরের আশীর্বাদের মতো। টাকা দরকার তার ছিল না, কিন্তু দরকার ছিল আর একটা জিনিসের। সেটাই ছিল তার বৈশিষ্ট্য! সে চাইতো পালাতে।’ সংসার যখন বিষ।
মজা হল, সব কাজকর্ম সেরে আমার মা যখন একটু বেলায় খেতে বসত, তখন আমিও আবার গিয়ে মায়ের সঙ্গে বসে পড়তাম। তখন আবার মায়ের পাতের মাছ-টাছ দিব্যি সাঁটিয়ে খেতাম। তখন পুঁইচচ্চড়ি বা বড়ির ঝালও খারাপ লাগত না। তখন মা আমার জীবনসর্বস্ব।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.