গল্প / কবিতা

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

সহোদরা: পর্ব ১

এ গল্প দুই বোনের। দুই মায়ের পেটের বোন। একজন দোর্দণ্ডপ্রতাপ, আরেকজন ম্রিয়মান। মরহুম নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার খালা আর মা! ঘসেটি বেগম আর আমিনা বেগম! সম্পর্কের গুমোট রাতদিন।

অরুণ কর

আত্মজন

‘অবাক হয়ে দেখি আমগাছের আড়াল থেকে শাড়ি পরা একটা মেয়ে বেরিয়ে সামসুলের সঙ্গে আসছে। কাছাকাছি এসে বলল, ‘দাদা আমার বউ, আপনার সঙ্গে একবার দেখা করবে বলে এসেছে। তারপর মেয়েটির দিকে ফিরে বলল, কাছে আয় সাকিনা, লজ্জা কী, এই তো আমার কাত্তিকদাদা!’‘ নতুন গল্প।

দিলীপ কুমার ঘোষ

মুখ্য সমাচার

‘মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সারমর্ম বুঝতে মুখ্যসচিবের সময় লাগল না। তাঁর মনে পড়ে গেল, তিনি এমন একটা কানাঘুষো শুনেছিলেন যে, স্যার নাকি প্রথম জীবনে একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ হেড হিসাবে তাঁর লার্নেড কলিগদের সাফল্যের সঙ্গে সামলাতে পারেননি। তাঁকে নাকি বেশ বেগ পেতে হয়েছিল।’ নতুন গল্প।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৬

‘যে আছে সে দূরে আছে, কাছের পাড়ার খুঁটিনাটি/ টানে না তোমাকে আর। গোপন ডানায় বেঁধে কাঁধ/ তুমি তাই উড়ে চলো বেশহর, বন্দরের ঘাঁটি/ মরমে মরে না প্রেম, অরণ্যের প্রাচীন প্রবাদ।’ নতুন কবিতা।

ইমরান পারভেজ

নাস্তি

‘মগজগুলো ফেটে ছড়িয়ে যায় ছত্রভঙ্গ রাস্তার মোড়ে/ সমুদ্রগন্ধ আর বুনো তামাক জড়িয়ে থাকে পেন্টব্রাশে/ আমার প্রপিতামহ অবয়ব পাশে বসে থাকে/ ফ্লাইওভারে দৌড়ে ঝুলে থাকে একতাল সুতো ঘুড়ি স্ফটিককম্পাস’ নতুন কবিতা।

সেই মাঠ, সেই রাত

‘নদীর ধারে ঝুপড়িগুলো পেরিয়ে দেখি পোড়োদুর্গটার ঠিক পিছনে আলে ঘেরা ছোট একফালি মাঠ। সেইখানে জনাপাঁচেক ছেলে সাগর ডিঙাডিঙি খেলছে। লালু দৌড়ে গিয়ে তাদের চাটাচাটি করল। ওরা খেলতে ডাকল আমাদের। গেলাম। ঠাহর করতে পারলাম, মাথায় চুল নেই ওদের কারো। গরমের জন্য মাথা মুড়িয়েছে? না কি উকুন হয়েছিল? কে জানে! আস্তে-আস্তে গলা শুনতে-শুনতে এক সময় আন্দাজ করতে পারলাম, ওদের মধ্যে দুজন ছেলে আর তিনজন মেয়ে।’ ভূতের গল্প।

মৃদুল দাশগুপ্ত

এলাহি ভরসা

‘মালবিকা জানেন, শুধু দাড়ির জন‍্য নয়, হট্টগোলে আঁতকে উঠে সুবিমল ওই বিকট ‘এলা এলা এল্লা’ হাঁক দিয়েছিলেন বলেই সিলামপুরের রাস্তায় পানের দোকানি তার কাঁচি বিঁধিয়ে হুঙ্কার দিয়েছিল ‘জয় শ্রীরাম!’, ছুটে এসে বিল্টু সামলেছিল, ‘মেরা আঙ্কেল ব্রামহিন হ‍্যায়, মেরা আঙ্কেল ব্রামহিন…।’’ নতুন গল্প।

মোশাররফ আলি ফারুকি

দারাজগোশ জিন: পর্ব ২

২০১০ সালে প্রকাশিত ‘জিন দারাজগোশ’ হল ফারুকির কিসসা বা কল্পকাহিনি। যে গল্পে একটি ভাল মনের, অন্যের ভাল করতে চাওয়া জিন, অসাবধানতাবশত নিজেকে সমস্যায় ফেলে। একটি জিনের কৌতূহলের দুর্ভাগ্যজনক পরিণাম এবং তার ফলে সমগ্র জিন্‌ জাতির স্বর্গ থেকে বহিষ্কার: এক উপকথা।
অনুবাদ করেছেন যশোধরা চক্রবর্তী। আজ শেষ পর্ব।

মোশাররফ আলি ফারুকি

দারাজগোশ জিন: পর্ব ১

২০১০ সালে প্রকাশিত ‘জিন দারাজগোশ’ হল ফারুকির কিসসা বা কল্পকাহিনি। যে গল্পে একটি ভাল মনের, অন্যের ভাল করতে চাওয়া জিন, অসাবধানতাবশত নিজেকে সমস্যায় ফেলে। একটি জিনের কৌতূহলের দুর্ভাগ্যজনক পরিণাম এবং তার ফলে সমগ্র জিন্‌ জাতির স্বর্গ থেকে বহিষ্কার: এক উপকথা।
অনুবাদ করেছেন যশোধরা চক্রবর্তী। আজ প্রথম পর্ব।

নীলার্ণব চক্রবর্তী

কয়েকটি কবিতা

‘নরম পোকা তার নাক দিয়ে মুখ দিয়ে ঢুকে গিয়েছে
পেটে, কমলিনীর কফিশপ থেকে অর্ডারিত কফি তার পেটে গিয়ে উষ্ণতা হারিয়ে ফেলেছে পোকাগুলিকে মারতে মারতে
পটিতে পোকার দেহগুচ্ছ দেখে সে বেশ মজাই পেয়েছে পর দিন প্রাতে’। নতুন কবিতা

তথাগত

পঁচিশে বৈশাখের কবিতা

‘আমি ব্যঞ্জনের অধীন, ভুখাপেটে কলম নুয়ে পড়ে।/ রোদে কষ্ট পাই তার চেয়ে বেশি কষ্ট ওই দেহজ গন্ধ কেন হাওয়ায় উড়িয়ে যাও।/ ছিঁড়ে খাই, ততটা হিংস্র নই। রবীন্দ্রগান আমাকে মৃদুল ঢ্যামনা করেছে।’ নতুন কবিতা।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৫

‘আমার বাড়ি নামুক রুটি/ আমার পাতে পড়ুক স্যুপ/ আমার ছোট বাচ্চাদুটি/ সব বুঝেও থাকুক চুপ/ যুদ্ধ কত প্রয়োজনীয়/ না-ই বা ফেরে ক’জন লোক/ তাদের তুমি কবর দিও/ আমার গাছে আপেল হোক’ নতুন কবিতা।