গল্প / কবিতা

মৌ মুখার্জি

এন রুট পুজো!

‘এত তাড়াতাড়ি না বেরোলেও চলত… কিন্তু এয়ারপোর্টে পা রেখেই কেমন যেন মনে হচ্ছে পাড়ার পুজোটাই গন্তব্য! এই নিয়ে কতবার যে ফেসবুকে ব্রত চ্যাটার্জির প্রোফাইলটা দেখল! শেষ আপডেট তিন দিন আগে : ‘কান্ট কিপ কাম। এন রুট কলকাতা!’ নতুন গল্প।

অয়ন চট্টোপাধ্যায়

স্মার্ট-আনস্মার্ট

‘এক মিনিট স্যার। বলছিলাম যে কবিতাটা তো খুবই ছোট। মাত্র ষোলো লাইন। আমি আর একবার বাই পোস্ট পাঠাই। কেউ যদি একটু টাইপ করে দেন। ফর্ম্যাট, ফ্রন্ট সাইজ এসব ব্যাপার তো আমি ঠিক…’ নতুন গল্প।

ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

প্রতিপক্ষ

‘একটা অদ্ভুত শূন্যতা যেন গুঁতো মেরে গলার নীচে আটকে থাকা কান্নাটাকে ঠেলে দিচ্ছিল সুমনার। তবে সামলে নিলেন। মানুষটা যে নেই, সেটা আগেই জানতেন। কিন্তু এভাবে কেউ সামনাসামনি বলেনি।’

শর্মিষ্ঠা

মিস আমিষজান

‘বুঝলাম, আসলে জানতে চাইছেন যখন-তখন হামলা করা যায় কি না! এইবার আমি একটু ভয় খেলাম। যতই ফেসিয়ালের গ্লো থাকুক, মহিলা আদতে মা-শাশুড়ির মতোই বিপজ্জনক-বয়সি। মাছটুকু ছাড়া আর কোনও কিছুই কমন নেই তেমন আমাদের। তা নিয়ে আর কতক্ষণই বা বকা যায়? পাশাপাশি আবার একটু যে আহা-উহু হচ্ছে না মনের মধ্যে, তা নয়। নাহয় একটু মাছই খেতে চাইছে, নাহয় দাতা কর্ণ হয়ে বসলামই একটু মাছসত্র খুলে!’ নতুন গল্প।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৯

‘তুমি ফুল তুলেছিলে, তারই দাগ রয়েছে বাগানে।/ যেন অপরাধচিহ্ন, যেন ব্যর্থ অভিমানভাষা।/ যে-মেয়েটি অন্ধ, সেও বিরহের কিছু গান জানে।/ তাকে ফুল দাও। আর কেড়ে নাও দেখার পিপাসা।’ নতুন কবিতা।

সুদীপ দত্ত

ট্রিলজির তিন বন্ধু

‘পিছনে সোমনাথ স্যার বরেনের সঙ্গে কী একটা বলতে আটকে গেছে! এরা একে অপরকে চিনল কী করে? উনি তাকে চিনে ফেলেনি তো? সঙ্গদোষে পরের প্রোমোশনটা আটকে গেলে? ভাবতে-ভাবতে শ্যামলেন্দু আবার সেই একই জায়গায় হোঁচট খেল!’ নতুন গল্প।

অর্ণব চক্রবর্তী

কনিষ্ঠ আঙুল

‘কনিষ্ঠ আঙুলকে প্রশ্রয়ের দিন শেষ। শৌখিনতার দিন শেষ। এবার সে যেমন-তেমন পার্টও নিয়ে নেবে। শিল্পের জন্য নয়, রোজগারের জন্য অভিনয়টা করবে এবার থেকে। কিন্তু এই ভাবনাগুলি চাউমিনের এক-একটা লম্বা সুতোর মতো পরস্পর জট পাকিয়ে পড়ে রইল।’ নতুন গল্প।

ইমরান পারভেজ

উপত্যকাহিমপর্ব

‘ঘুড়ি আটকে আছে পেঁচিয়ে একটা ঝাঁকড়া গাছের ডালে/ আলতো হাওয়ায় জট বাড়ে/ অনুভূমিক অনেক দূরে কত হিজিবিজি লেপটে আছে/ অনেকগুলো ঈশ্বর আর দূতেরা উল্লম্ব দুলছে’ নতুন কবিতা।

নীলোৎপল মজুমদার

লাবড়া

‘একটা ধুলোমাখা বাসে ওঠে কিরণ। লেডিস।একটা সিট পেয়ে যায়। ব্রেক ফেল। কন্ডাক্টরের অপূর্ব চামড়ার ব্যাগ থেকে সিকি-আধুলি ছিটকে পরে। ড্রাইভার বসে আছে, নিরুত্তাপ। কিরণ চট করে নেমে গেল, বাস থেকে। বেশি দূর নয়। খোঁজখবর করে দাদার বাড়ি চলে গেল।’ নতুন গল্প।

অর্পিতা কুণ্ডু

কয়েকটি কবিতা

‘ওই যে ফণা, বাসুকিরাজ/ ইচ্ছেমতন হচ্ছে দরাজ/ লতিয়ে চলে, লুটিয়ে লাজ/ মিলন, বাঁকা দহে…/ ফাতনা নড়ে, অধোবদন/ শিকার বলে, ‘হে উন্মাদন!/ যাতনা এক আমারই ধন/ বুভুক্ষু বিরহে।’ নতুন কবিতা।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

সহোদরা: পর্ব ৩

‘মৃত্যুর আগে বোনেরা খোদার কাছে ফরিয়াদ করেন, তাঁরা খোদার কাছে অপরাধী কিন্তু মীরনের কাছে তো কোনো অপরাধ করেননি, বরং মীরনের আজ যা আছে সবই তাঁদের দৌলতে। তাঁদের অভিশাপে সে-রাতেই রাজমহলের কাছে মীরন বজ্রাঘাতে মারা যায়।’ খোদার বিচার।

সাগুফতা শারমীন তানিয়া

সহোদরা: পর্ব ২

‘ওবেলা চমন আবিষ্কার করে ছোট্ট একটা বাদশাহী ছুরি বিঁধে আছে জানালার কপাটে, বাঁটে কোফত্‌গার কী সুন্দর সোনার পাতের কাজ করেছে, চুনি-মরকত বসানো একটা ময়ূরকণ্ঠ। বাইরের কেউ কি চিঠি-সহ ছুরিটা ছুঁড়ে মেরেছে বেগমদের? পালাবার বন্দোবস্ত? ছুরি নিয়ে আহ্লাদিত চমন যায় মর্দান বেগকে জানাতে।’ আশঙ্কার সূত্রপাত।