গল্প / কবিতা

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ২৬

‘তিনজন বামন সাইজের জংলী মানুষ এসে প্রথমেই দুটো বিষতির টেনে তুলে ফেলেছে ব্রহ্মের পিঠ আর কাঁধ থেকে। তারপর ক্ষতস্থানে কী যেন ঘষে দিয়েছে জোরে ঠুসে। ব্রহ্মকে বহন করে সেন্টিনেলিজ়দের দ্বীপের অদূরে সমুদ্রে ভাসমান একটি ভেলাতে তুলল ওরা।’

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ২৫

‘বিলি গিলচারের হাতে বেমক্কা একটা ক্যারাটে-লাথি এসে লাগল বটে, তবে তা মারলেন অন্য এক ব্যক্তি। লাথিটা লাগবার আগে মুহূর্তের ভগ্নাংশের মধ্যে শোনা গেছিল এক সড়সড় শব্দ— সিঁড়িটার উলটোদিকে ঝুলে থাকা অশ্বত্থ গাছের লম্বা ঝুরি বেয়ে নেমে এসেছিলেন কেউ।’

জয়দীপ রাউত

কয়েকটি কবিতা

‘যে-ফুল ফোটেনি গাছে/ আমি তাকে খুঁজে ফিরি তারায় তারায়/ তারাফুল আমাকে জানায়/ না লেখা কবিতাগুলি কোথাও লিখিত/ আছে হাওয়ায় বাতাসে’ নতুন কবিতা।

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ২৪

‘এরিক দত্তর ফিসফিসানি মাঝপথেই বন্ধ হয়ে গেল। হুড়মুড় শব্দের পরই একটা হইচই এল ওদের পাঁচধাপ উপরের সিঁড়ি থেকে, এবং সঙ্গেসঙ্গেই ঝুপ করে একটা শব্দ। শব্দটার সাথেই আশ্চর্য দেখল তার পায়ের কাছে উপর থেকে এসে পড়েছে একটা রিভলভার।’

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ২৩

‘অনেকটা নীচে হলেও ঠিকরে আসা রোদের আলোয় দেওয়ালগুলো দেখা যাচ্ছে। দেওয়ালের গায়ে গর্ত অনেকগুলোই আছে, কিন্তু একেবারে চৌকো একটা গর্তকে দেখে আশ্চর্য আলাদা করে চিনতে পারল। সে হাতটা ঢুকিয়ে দিল গর্তটার মধ্যে।’

অনুপম রায়

ক্রাচ

দাসপাড়াতে গোলাপি রঙের কুয়াশা ভেসে বেড়ায়। অলিগলি দিয়ে মা হারা বাছুরের মতো কেঁদে বেড়ায়। বছর কুড়ি আগে এখানে প্রচুর পুকুর ছিল। সেগুলো বুজিয়ে ফেলে তৈরি হয়েছে মানুষের বাসস্থান, কুৎসিত দেখতে ফ্ল্যাটবাড়ি। তারপর থেকে বিকেল থাকতেই কুয়াশা।

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ২২

‘ব্রহ্ম ঠাকুরের যখন জ্ঞান ফিরে এল তখন তিনি মাঝআকাশে। একটা হেলিকপ্টারে বসে আছেন, দু’হাত বাঁধা। পা খোলা থাকলেও তা নাড়ানোর উপায় নেই, হেলিকপ্টারটায় ততটা জায়গাই নেই আসলে। ব্রহ্ম ঠাকুরের জ্ঞান ফিরলে তাঁর অবস্থাটা বুঝে নিতে খানিকটা সময় লাগল।’

ঋভু চট্টোপাধ্যায়

ছাতা মুখোশ অথবা ভিজে যাওয়া

‘ইনি, ছন্দের কবিতা লেখেন, ইনি অ-ছন্দের কবিতা লেখেন, ইনি গোল গল্প লেখেন, ইনি চৌকা গল্প লেখেন। আচ্ছা প্রেমের জন্য এমন কেউ স্পেশালিস্ট থাকতে পারেন না? যেমন ইনি বেঁটে স্পেশালিস্ট, ইনি লম্বা স্পেশালিস্ট। ইনি মেয়ের মেয়ে নয়, মেয়ের মা স্পেশালিস্ট।’

বলাকা দত্ত

আঁশবঁটি

‘রুমকি টেবিলের তলা দিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল, সত্যি তো, বড়দির হারমোনিয়াম আর তবলা-ঢাকা কাপড়টার ওপর পুরু ধুলো জমেছে। তার ওপর মুড়ি আর বিস্কুটের কৌটো রাখা। রুমকির খুব ইচ্ছে করে রিডগুলো একবার বাজিয়ে দিতে।’ নতুন গল্প।

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম: পর্ব ২১

‘এরিক বিলিকে লাথিটা মারতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান নিজেই, তখনই তাঁর রিভলভারটা ছিটকে পড়ে গেছিল দূরে। এবার তাঁর পকেটের ছোট্ট টর্চটা জ্বালিয়ে তিনি অন্ধকারের মধ্যে পড়ে যাওয়া রিভলভারটা তুলে নিলেন।’ রহস্য উপন্যাস।

রূপম ইসলাম

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ২০

‘আঘাতটা পেয়ে তিনি আর্তনাদ করে উঠলেন। তবুও মনের জোরে তাড়াতাড়ি উঠে পড়লেন বিলি। টর্চটা পড়ে গিয়েও নেভেনি বলে সেটা কুড়িয়ে নিতে তাঁর সময় লাগল না। কারাকক্ষে আলো ফেলে দেখলেন, লাথি মারতে গিয়ে এরিক দত্তের ডান পায়েও বেকায়দায় চোট লেগেছে।’

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২৭

‘হে অতীত, গুল্মপ্রাণ, জল দিই তোমাকে যে রোজ/ আমাকে ফুলের মতো ঘটনা ফিরিয়ে কিছু দাও।/ পড়োশির ঈর্ষা হই, পাখিদের পান্থশালা-খোঁজ…/ বদলে সময় যদি পেতে চাও, ফিরে দেব তাও।’ নতুন কবিতা।