

শব্দ ব্রহ্ম দ্রুম : পর্ব ২৩
‘অনেকটা নীচে হলেও ঠিকরে আসা রোদের আলোয় দেওয়ালগুলো দেখা যাচ্ছে। দেওয়ালের গায়ে গর্ত অনেকগুলোই আছে, কিন্তু একেবারে চৌকো একটা গর্তকে দেখে আশ্চর্য আলাদা করে চিনতে পারল। সে হাতটা ঢুকিয়ে দিল গর্তটার মধ্যে।’
‘অনেকটা নীচে হলেও ঠিকরে আসা রোদের আলোয় দেওয়ালগুলো দেখা যাচ্ছে। দেওয়ালের গায়ে গর্ত অনেকগুলোই আছে, কিন্তু একেবারে চৌকো একটা গর্তকে দেখে আশ্চর্য আলাদা করে চিনতে পারল। সে হাতটা ঢুকিয়ে দিল গর্তটার মধ্যে।’
দাসপাড়াতে গোলাপি রঙের কুয়াশা ভেসে বেড়ায়। অলিগলি দিয়ে মা হারা বাছুরের মতো কেঁদে বেড়ায়। বছর কুড়ি আগে এখানে প্রচুর পুকুর ছিল। সেগুলো বুজিয়ে ফেলে তৈরি হয়েছে মানুষের বাসস্থান, কুৎসিত দেখতে ফ্ল্যাটবাড়ি। তারপর থেকে বিকেল থাকতেই কুয়াশা।
‘ব্রহ্ম ঠাকুরের যখন জ্ঞান ফিরে এল তখন তিনি মাঝআকাশে। একটা হেলিকপ্টারে বসে আছেন, দু’হাত বাঁধা। পা খোলা থাকলেও তা নাড়ানোর উপায় নেই, হেলিকপ্টারটায় ততটা জায়গাই নেই আসলে। ব্রহ্ম ঠাকুরের জ্ঞান ফিরলে তাঁর অবস্থাটা বুঝে নিতে খানিকটা সময় লাগল।’
‘ইনি, ছন্দের কবিতা লেখেন, ইনি অ-ছন্দের কবিতা লেখেন, ইনি গোল গল্প লেখেন, ইনি চৌকা গল্প লেখেন। আচ্ছা প্রেমের জন্য এমন কেউ স্পেশালিস্ট থাকতে পারেন না? যেমন ইনি বেঁটে স্পেশালিস্ট, ইনি লম্বা স্পেশালিস্ট। ইনি মেয়ের মেয়ে নয়, মেয়ের মা স্পেশালিস্ট।’
‘রুমকি টেবিলের তলা দিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল, সত্যি তো, বড়দির হারমোনিয়াম আর তবলা-ঢাকা কাপড়টার ওপর পুরু ধুলো জমেছে। তার ওপর মুড়ি আর বিস্কুটের কৌটো রাখা। রুমকির খুব ইচ্ছে করে রিডগুলো একবার বাজিয়ে দিতে।’ নতুন গল্প।
‘এরিক বিলিকে লাথিটা মারতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ে যান নিজেই, তখনই তাঁর রিভলভারটা ছিটকে পড়ে গেছিল দূরে। এবার তাঁর পকেটের ছোট্ট টর্চটা জ্বালিয়ে তিনি অন্ধকারের মধ্যে পড়ে যাওয়া রিভলভারটা তুলে নিলেন।’ রহস্য উপন্যাস।
‘আঘাতটা পেয়ে তিনি আর্তনাদ করে উঠলেন। তবুও মনের জোরে তাড়াতাড়ি উঠে পড়লেন বিলি। টর্চটা পড়ে গিয়েও নেভেনি বলে সেটা কুড়িয়ে নিতে তাঁর সময় লাগল না। কারাকক্ষে আলো ফেলে দেখলেন, লাথি মারতে গিয়ে এরিক দত্তের ডান পায়েও বেকায়দায় চোট লেগেছে।’
‘হে অতীত, গুল্মপ্রাণ, জল দিই তোমাকে যে রোজ/ আমাকে ফুলের মতো ঘটনা ফিরিয়ে কিছু দাও।/ পড়োশির ঈর্ষা হই, পাখিদের পান্থশালা-খোঁজ…/ বদলে সময় যদি পেতে চাও, ফিরে দেব তাও।’ নতুন কবিতা।
‘কিশিমোতো খানিকক্ষণ সমুদ্রের পাড়টা ধরে ডানদিক-বাঁদিকে অনির্দিষ্ট হাঁটাহাঁটি করলেন। তাঁর চোখ কিন্তু খুঁজছে একজন বিশেষ কাউকে। তাঁর পিছু নেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত খয়েরি রঙের জ্যাকেট আর লাল বেসবল ক্যাপ পরা লোকটা এখন কোথায়?’
‘হঠাৎ খবর এল, হিজলার বড়ভাইকে বাঘে নিয়ে গেছে। তখন সে আমাদের বাড়িতে এসে আস্তানা গেড়েছে। ওর ভাই মউলিদের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়েছিল মধু ভাঙতে। সঙ্গীরা তাকে বাঁচাবার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দক্ষিণরায়ের সঙ্গে পেরে ওঠে, সাধ্য কার!’
‘গান গাইতে গাইতেই তিনি চোখ বুলিয়ে নিতে থাকলেন ঘরটায় জড়ো করে রাখা আণবিক সংশ্লেষণে ব্যবহার করবার উপকরণসামগ্রীর উপর। একটা বিশেষ কন্টেনারের দিকে চোখ পড়ায় একনিমেষ অবাকও হলেন তিনি।’
“বিলি গিলচারের মুখটা এখন দেখবার মতো একটা রূপ নিয়েছে। তিনি বুঝতে পারছেন না এই আলোচনাটা চলতে দেওয়া উচিত, নাকি থামালেই ভাল। তবুও যতটা পারেন মনের জোর জড়ো করে বিলি বলে উঠলেন— বাড়াবাড়ি কোরো না টেগোর, সম্পূর্ণ আষাঢ়ে গল্প বানাচ্ছ তুমি…”
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.