নিবন্ধ

পূর্বায়ন চ্যাটার্জী

সুরকারের সুরকার

‘সমস্ত মহান শিল্পীদের মতোই নিখিলজীরও দর্শন ছিল এক-একটি মুহূর্তের মধ্যে সঙ্গীতের অন্তরাত্মার সন্ধান করা। লয়ের ব্যাপারে তাঁর দর্শন উপজ অঙ্গে সমান ভাবে এসে মিশত। তানগুলো প্রায়ই গিয়ে শেষ হত তেহাইতে, যা উঠে আসত তানের ভিতর থেকেই।’ পণ্ডিত নিখিল ব্যানার্জির সঙ্গীতদর্শন।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

সম্পাদকীয়

আবাহন আর বিসর্জন কি কেবল ঠাকুরের হয়, চলতি জীবনেরও হয়। ডাকবাংলা এবার পুজোয় সে রকমই কিছু বিষয় নিয়ে ভাবাভাবি করেছে, যা আমাদের জীবনে অদূর ভবিষ্যতে সানন্দে বা নিরানন্দে প্রবেশ করবেই, আবার সজ্ঞানে বা অজান্তে ছেড়ে চলেও যাবে।

তরুণ মজুমদার

আজকের আয়নায় গতকাল

‘পুজো বলতে গোটা শহরে হাতে-গোনা মোটে কয়েকটা। মালতীনগর, জলেশ্বরীতলা, বড় গোলা, কাটনার পাড়া আর শিববাটি— ব্যাস, গেল ফুরিয়ে। শিববাটিতে আবার পাশাপাশি দুটো পুজো। ধনী দত্ত পরিবার, তাদের দুই শরিকের। পরিবারের পুজো হলেও মনে হত সর্বজনীন।’ সেকালের পুজো।

মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়

অনুকূল-প্রতিকূল

‘কোভিড সব বদলে দিল। সকালে ঘুম ভাঙাচ্ছে অ্যালেক্সা। চান করে ল্যাপটপে অনলাইনে ছেলে স্কুলে পড়ছে, আমি yoga app-এ সূর্য-নমস্কার করে গাইডেড মেডিটেশনে করছি অনুলোম-বিলোম— সময়মতো। কাঁচা বাজার, দুধ, মাছ, সবজি— অ্যাপ টিপলেই বাড়ির দরজায়।’ জীবনে হোম রোবট।

শ্রীজাত

ড্রাইভারের ভার লাঘব

‘শিগগির বাজারে আসছে স্বয়ংচালিত গাড়ি। স্বয়ংক্রিয় তো আগেই ছিল, এবার চালিতও। মানে, চালকের আসনে আর কাউকে প্রয়োজনই হচ্ছে না। গাড়ি আপনাআপনি চালু হবে, এগোবে-পিছোবে, মোড় ঘুরবে, আমার-আপনার যেখানে যাবার ঠিক নিয়ে যাবে।’ ড্রাইভারহীন গাড়ি।

অর্ক দাশ (Arka Das)

টিনটিন, শঙ্কু, হাতে চাঁদ

‘…প্রথমে স্বপ্ন ঠাহর হলেও, শঙ্কুর এই মহাকাশের প্রতি টানের অনুভূতি শুরু হয় সেই দিন থেকেই। উল্কাপাতের দিনক্ষণটা একটু লক্ষ করুন— শরৎকাল, আশ্বিন মাস, দুর্গাপুজোর ধুম। আবাহন আর কাকে বলে!’ আর নিছক গল্প নয়— এসে গেছে মহাকাশযাত্রা!

পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়

বিদায়, পরিচিত

‘…ইউরোপের নানান শহরে যে সিঙ্গল-স্ক্রিন সিনেমা হলগুলো ছিল, তারা সেগুলো বাইরে থেকে একই রেখে ভেতরে সুন্দর ভাবে মাল্টিপ্লেক্স গড়ে তুলেছে। কিন্তু আমাদের এখানে ‘মিত্রা’কে ভেঙে ফেলতে হয়। ভেঙে মল তৈরি করতে হয়। ‘পূর্ণ’ নিঃস্ব হয়ে যায়।’ সিঙ্গল-স্ক্রিন সিনেমা হলের মুছে যাওয়া ঐতিহ্য।

অনুপম রায়

লিপি বনাম শ্রুতি

‘লেখক লিখে গেছেন। এবার ওই অক্ষরগুলো ক্রমে আমার দৃষ্টির মাধ্যমে আমার মস্তিষ্কে প্রবেশ করছে। তৈরি হচ্ছে কত কিছু। কত ছবি, কত কল্পনা! যেই সেটা অডিও-বুক হয়ে গেল, কোথায় একটা সমস্যা তৈরি হল, পুরো ব্যাপারটার নিরপেক্ষতা কোথাও কম্প্রোমাইজ্‌ড হল।’ বই পড়া ও অডিও-বইয়ের বিরোধ।

রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়

বাবা আর WFH

‘…এই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু হয়ে, বাবারা সারাদিন অফিস না গিয়ে বাড়িতেই বসে কাজ করছেন, এতে যে সন্তানদের কী দমবন্ধ অবস্থা হচ্ছে, তা ভাবতে বসলে অবধি হাঁপ ধরে যায়। ওয়ার্ক ফ্রম হোম সম্পর্কে বহু আলোচনা, হইহই, রসিকতা কানে আসে। কেউ বলে, বিছানায় বসে বারমুডা পরে আর যা-ই হোক অফিসের কাজ সিরিয়াসলি করা যায় না।’ নতুন নিয়মে সন্তান ও বাবাদের সম্পর্ক।

প্রতীতি গণত্র (Pratiti Ganatra)

লুকিয়ে থাকা টাকা

‘…গোটা পৃথিবীতে খোলাখুলি কেনাবেচা হয়, এ রকম ছ’হাজারেরও বেশি ভিন্ন ভিন্ন রকমের ক্রিপটোকারেন্সি রয়েছে। ক্রিপটো ‘ফলানো’র উপায়টি যেহেতু সর্বলভ্য, সেহেতু এ জিনিস তৈরি করা তুলনামূলক ভাবে সহজ।’ ক্রিপটোকারেন্সির রমরমা।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

রেস্ট ইন ক্রিজ

‘…আম্পায়ারের পেশার অধঃপতনের জন্য প্রাথমিক ভাবে প্রযুক্তিকে দায়ী ধরলেও মজার কথা এটাই যে, সাধারণত ক্রিকেটারদের যে ভদ্র ব্যবহার দেখা যায়, সেই ভদ্রতাই এই পেশার কফিনে পুঁতল শেষ পেরেক।’ আম্পায়ারের সময় শেষ।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

নধর নেত্রবাজি

‘…নতুনতর নর্মাল-এ, প্রায় সকলেই যখন হয়ে উঠবে নির্বিবাদী ক্লিশেপন্থী নরম নকুলদানা, সব ‘না না’ ঘুচে ফুটে থাকবে কানা খানা গানা ঘানা, সার্বিক সামগ্রিক সামূহিক নজরদারিকে তারপর এক সময় মনে হবে অক্সিজেনের মতোই প্রয়োজনীয়, ভ্যাকসিনের মতোই জরুরি।’ নাগরিক নজরদারির অনুপ্রবেশ।