
তির্যক মতির আলো
‘পাশাপাশি পিতৃতন্ত্র, শুচিতা ও সতীত্বের কাঠামোর মধ্যে যে ভাবে মেয়েদের পুরে রাখতে চায়, তাতে যে নারীদেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে, আলোচ্য প্রসঙ্গে সেই বিষয়টিও আর গোপন থাকে না।’

‘পাশাপাশি পিতৃতন্ত্র, শুচিতা ও সতীত্বের কাঠামোর মধ্যে যে ভাবে মেয়েদের পুরে রাখতে চায়, তাতে যে নারীদেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে, আলোচ্য প্রসঙ্গে সেই বিষয়টিও আর গোপন থাকে না।’

‘পেশায় যে-শিবপদ একজন বাতিবাবু, যাঁর কাজ খনিশ্রমিকদের আলো দেখানো, পিকনিকযাত্রার মধ্যে দিয়ে তিনি যেন সেই আলোই নিজের এবং পরিবারের সবার জীবনে ফেললেন। আমরা আনন্দে-উত্তেজনায় আলোকিত হয়ে উঠতে দেখলাম প্রত্যেককে।’

‘আজকের বিশ্ব-রাজনীতিতে ডাইনে বাঁয়ে ঘেঁটে যাওয়া পরিস্থিতিতে কেন লোচের মতো পরিচালকের সগর্বে ছবি করে যাওয়া এক অতি আশ্চর্য ঘটনা বলে মনে হয়। কোনও বিরাট কিছুর সঙ্গে যোগ তৈরি হওয়ার আশা জোগায়। বিশ্বাস জোগায়।’

‘বৌদ্ধ নারী-সংঘের প্রথম ভিক্ষুণী— গোতমী। বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে যাঁর নাম— মহাপোজাপতি গোতমী। বুদ্ধের বার্তা কণ্ঠস্থ করে বাকিদের আলোকিত করার গুরুদায়িত্ব তথাগত যে সীমিত কয়েকজনকে দিতে ভরসা করেছিলেন, মহাপোজাপতি তাঁদের অন্যতম।’

‘গোটা ছবিতে রহিমসাহেব সারাক্ষণ একটা বিছিন্ন দ্বীপের মতো একলা জেগে রইলেন। একা-একাই ভাবলেন, একা-একাই সইলেন! কখনওই টিমের সঙ্গে তাঁর আত্মার যোগটা খুঁজে পাওয়া গেল না।’

পরিবর্তনটা দেখা দিল গত শতকের সাতের দশকে। ধুঁকতে থাকা ‘গ্রান্টা’ এই সময়ে এসে প্রায় অস্তিত্বহীন একটি জায়গায় পৌঁছে যায়। আর ঠিক তখনই আদ্যন্ত ভোল বদলের শুরু! বিশ্ববিদ্যালয়ের পত্রিকার দীর্ঘকালীন পরিচিতি ত্যাগ করে আন্তর্জাতিক ও আধুনিক লেখার মঞ্চ হয়ে উঠল ‘গ্রান্টা’।

‘ভোটের প্রার্থীরা ভিখারির মতো ঘুরছেন ট্রেনে-বাসে, খেতে-খামারে, চায়ের দোকানে, পাড়ার আড্ডায়, এমনকী গেরস্থের রান্নাঘরেও তাঁরা ঢুকে পড়ছেন। মুখভরা হাসি আর গালভরা প্রতিশ্রুতিতে প্রমাণের আপ্রাণ প্রচেষ্টা, ‘আমি তোমাদেরই লোক’।’

৭ মে, মঙ্গলবার, প্রয়াত হলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো-চেয়ারপার্সন, সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির গভর্নিং বডির সদস্য, আজকাল পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর, আজকাল ডট ইন পোর্টালের প্রধান সম্পাদক মৌ রায়চৌধুরী। বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
‘অরুন্ধতী দেবীর বাদবাকি পরিচিতিগুলির সঙ্গে এইখানেই তাঁর ব্যক্তিচরিত্রের মিল। যে-নতমূর্তি দার্ঢ্য তাঁর সহজাত, সে নিছক অভিনয়ে আটকে থাকার ও সেখানেই দৌড় শেষ করার নয়।’

‘১৯৮৫-র ২৭ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে ছ’টায়, পরিচারক এবং এক সহকর্মী-ছাত্র, প্রায় তছনছ হয়ে যাওয়া নিজস্ব কেবিনের অন্দরে, মাথায় কোনাকুনি একটা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শেষ হয়ে যাওয়া, বছর চুয়ান্ন ছুঁতে যাওয়া ডায়ান ফসে-র নিস্পন্দ শরীর খুঁজে পান।’
‘সেখানে তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন একদিকে ছবি বিশ্বাস, অন্য দিকে অভি ভট্টাচার্য। বাঁশদ্রোণী থেকে পাঁচশো মিটার দূরে, বড়রাস্তার ধারেই পাবনার আরেক সন্তান, সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি।’

‘যে-কোনও উত্তীর্ণ শিল্পকর্মের মতোই ‘পান্চ’-ও তার বিষয়বস্তু ও প্রকাশভঙ্গি— দু-দিকেই সমান গুরুত্ব দিয়েছিল। লেখার গুণমানের সঙ্গে অসামান্য সব ক্যারিকেচারধর্মী অলংকরণের সহাবস্থান ‘পান্চ’ পত্রিকার গৌরবময় অতীতকে আজও অমলিন করে রেখেছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.