

কলকাতার ছিবড়ে
কলকাতাকে ব্যবহার করব এবং নির্দ্বিধায় পরিত্যাগ করব। যৌনকর্মীর শরীরের মতো, জলে ভাসিয়ে দেওয়া মৃতের নাভির মতো। যার দিকে কখনও পেছনে ফিরে তাকাবো না। আর যত্নও করব না কখনও। কোনও ব্যক্তিগত লাভ ছিল না তো কখনও, ভাবটা ঠিক তেমন!
কলকাতাকে ব্যবহার করব এবং নির্দ্বিধায় পরিত্যাগ করব। যৌনকর্মীর শরীরের মতো, জলে ভাসিয়ে দেওয়া মৃতের নাভির মতো। যার দিকে কখনও পেছনে ফিরে তাকাবো না। আর যত্নও করব না কখনও। কোনও ব্যক্তিগত লাভ ছিল না তো কখনও, ভাবটা ঠিক তেমন!
ইসলামে হিজাব চিরকালই দ্বন্দ্বের বিষয়। ফলে, বিশাল সংখ্যক মুসলিম নারী হিজাব পরতে অস্বীকার করছে। বেশিরভাগ পুরুষ মনে করে, মেয়েরা নিজেদের ঢাকার জন্য সম্পূর্ণ চেষ্টা করছে না। আর অধিকাংশ নারী মনে করে, পুরুষদের থেকে বাঁচার জন্য় কোনও আব্রুই যথেষ্ট নয়। হিজাব রাজনীতি।
‘তাঁর পুরু চশমার কাচের আড়ালে ঝকঝকে চোখদুটোয় একইসঙ্গে মেধা আর কৌতুকের ঝলক। দর্শকের সঙ্গে এই মেধাবী কৌতুকের খেলাটা গোদার চিরকালই খেলে গেছেন।’ গোদারের নিজস্বতা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একসময় ডেমোগ্রাফিক তথ্য বাদ দিয়ে পুরোপুরিই মনোনিবেশ করল আমার-আপনার আচরণগত তথ্যের ওপর। সকালবেলা কোন গান শুনছি, রাত্রে কোন ওয়েবসিরিজ দেখছি, অফিসে যাওয়ার তাড়ার মধ্যে কোন ধরনের ধূমায়িত কফি ভরে নিচ্ছি কাপে বা ছুটিছাটা পেলে কোন ধরনের পর্যটনকেন্দ্রের সুলুকসন্ধান জানার চেষ্টা করছি— এহেন অগুনতি ডেটাপয়েন্টে ভরে যেতে শুরু করল AI system-গুলি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর কব্জায় পৃথিবী।
‘সব ভাল তো সবার জীবনে হয় না, তা আমার নাহয় বাংলাতে কাজ করেই চলুক। অভিনয়-জীবনে হেলিকপ্টার চড়েছি, এমনকী দুবাইতে ছাদহীন রোলস রয়েসে চড়েও শট দিয়েছি, কিন্তু গড়গড়িয়ে হিন্দি বলার মতো বড় ভিলেন হতে পারলাম না!’ বাঙালি ভিলেনের অভিজ্ঞতা।
‘হেরে যাওয়ার একশোটা কারণ থাকতেও তারা সিসিফাসের মতো পাথরটা ঠেলে যাচ্ছে। কারণ সিসিফাস জানে যে, পাথর ঠেলা আর পাথর তোলার মাঝখানে একটা মুহূর্ত আছে, যখন সে হেঁটে নামে পাহাড় থেকে পাথরটা তোলার জন্য, তখন সে মুক্ত।’ মুহূর্তের মুক্তি।
‘ধুতি-পাঞ্জাবি গলিয়ে স্কচে ঈষৎ চুমুক মেরে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই তৎক্ষণাৎ চোখে পড়ল অসুর। অসুর তো আছে, ওই আয়নার ওপাশে। আসলে আমিই আমার অসুর, যাকে যুদ্ধে হারানোর ক্ষমতা মা দুর্গার নেই। ভয় একটাই, মালটা যেন আয়না ফুঁড়ে বেরোতে না পারে!’ আত্ম-আবিষ্কার।
অসুর আদৌ কারুর শ্বশুরমশাই কোনওদিন ছিল কি না, তা জানতে হলে নৃসিংহদাকে ফোন করতে হবে। কিন্তু আমি কয়েকজন শ্বশুরমশাইকে চিনি, যাদের ভেতরে অসুর ছিল জ্যান্ত। শুধু শ্বশুরমশাই নয়, পিসেমশাই, মেসোমশাই, মাস্টারমশাইয়ের মধ্যে আমি অসুরকে দেখেছি।
ইদানীংকালে যে-বিষয়টাকে আমি সবচেয়ে বেশি ভয় পাই, সেটা হল মানুষের মধ্যেকার অসহিষ্ণু মনোভাব। কাকে পরাস্ত করতে চাই, যদি কেউ আমার কাছে জানতে চান, তাহলেও আমি এই বিষয়টার কথাই বলব।
এখন একটি আছে বটে আমার জীবনে। তার নাম চিন্তাসুর। তিনি আমার জীবনে তীব্রভাবে প্রবেশ করেছেন আমার মেয়ে সানা যবে থেকে লন্ডনে পড়তে গেছে। আমি যখন ওর থেকে দূরে থাকি, তখন সব সময় একট চিন্তা মাথার পেছনে চলতেই থাকে।
আমার আসলে নিজেকে অসুর ভাবতে খুব ভাল লাগে। দুর্গা বরং আমার কাছে একটা উৎস, কিন্তু অসুর হচ্ছে আসল। আমার মধ্যে অসুরের বোধ আছে, এবং সেটা আছে বলেই হয়তো আমি ক্রমাগত সেখান থেকে দেবত্বের দিকে চলার একটা প্রক্রিয়ায় থেকে যেতে পারি।
শতাব্দী-প্রাচীন দেশজ নন্দনবোধের সঙ্গে বাংলার লোকশিল্পের মেলবন্ধনে যে সুচারু প্রকাশ বেঙ্গল স্কুলের গোড়ার দিকে দেখা যায়, তা আজও বহমান, দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এবং প্রতিমায়।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.