

জাগতিক অ-জাগতিক
‘চরাচর জুড়ে রূপক দৃশ্যকল্প ধেয়ে আসতে দেখেও মাটির শিকড় আঁকড়ে ধরে তা এড়িয়ে যেতে শেখা— ভাল। সমস্ত দৈব দৃশ্যবিচ্যুতির ভেতর থেকেও এমনি মানুষের প্রজ্ঞা-স্থিতি-আশ্রয়-বিলাপ অনেক সত্যি বলে চিনে নেওয়ার শিক্ষা কুম্ভমেলা আমাকে দিয়েছে।’
‘চরাচর জুড়ে রূপক দৃশ্যকল্প ধেয়ে আসতে দেখেও মাটির শিকড় আঁকড়ে ধরে তা এড়িয়ে যেতে শেখা— ভাল। সমস্ত দৈব দৃশ্যবিচ্যুতির ভেতর থেকেও এমনি মানুষের প্রজ্ঞা-স্থিতি-আশ্রয়-বিলাপ অনেক সত্যি বলে চিনে নেওয়ার শিক্ষা কুম্ভমেলা আমাকে দিয়েছে।’
‘শিবরাম চক্রবর্তী বলেছিলেন, একটা word আসলে world; কিন্তু শব্দের সমস্যা হচ্ছে এই, লেখার শব্দসংখ্যার পাঁচ গুণ লিখলেও শ্যামল মিত্র যে কত বড় গায়ক এটা লিখে বোঝানো অসম্ভব। তার জন্য গানগুলোর দ্বারস্থ হতে হয় আমাদের। তেতো দিন উতরে যায়।’
‘মানুষ আর লেখক হিসেবে সম্পূর্ণ স্বাধীনচেতা ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। একেবারে শুরু থেকেই। পাঠক কী ভাববে, পছন্দ করবে কী করবে না, তা নিয়ে মাথা ঘামাতেন না। কোন লেখা কীভাবে লিখলে অমরত্বের সন্ধান পাওয়া যাবে, তা নিয়ে ভাবতেন না।’
‘পেশা আর নেশা মিলিয়ে, ইদানীংকালে বুঝি, ‘আমাদের যে রোববার গেছে, একেবারেই কি গেছে’ বলে বিষাদ করে লাভ নেই। বরং, আদতে আমরা, বা আমি নিজে, হারিয়েছি এই সোমবারটাকেই।’
‘তিনি সাঁতরে গেলেন আজীবন। আলোর দিকে ঘুরে ঘুরে উঠে এলেন একের পর এক ‘নূতন সিন্ধুপারে’। ঠিক কঙ্কাবতীর মতোই। নবনীতার জীবন কি রূপকথাই নয়? যে রূপকথায় তিনিই দক্ষিণারঞ্জন। তিনিই লালকমল। আর তিনিই নীলকমল?’
‘মুকেশ এবং তাঁর মতো সাংবাদিকরা কোনওরকম অর্থানুকূল্য ও সুরক্ষা ছাড়াই ক্রমাগত সত্য উদঘাটনের কাজ করে যান। এইসব কাজের বেশিরভাগটা আসলে বড় হাউজের পত্রিকাগুলির সহায়কের ভূমিকা পালন করা।’
‘আগাথা ক্রিস্টি-র ৮৫ বছরের জীবদ্দশায় লেখকজীবন কমবেশি ৬০ বছরের। অজস্র লিখেছেন। পোয়ারো, মিস মার্পল, টমি অ্যান্ড টাপেন্স, স্ট্যান্ডঅ্যালোন রহস্য উপন্যাস, স্মৃতিকথা, অজস্র গল্প— সমস্তই এখনও ছাপা হয়ে চলেছে, এ প্রায় অবিশ্বাস্য ব্যাপার!’
‘বুঝতে পারব, ‘হৃদয় শ্মশান’ না হলে, ‘প্রেম প্রেম এইমাত্র ধন’ জীবনের প্রত্যক্ষদৃষ্ট সত্য হয়ে ওঠে না। জীবনের বুকে বসে মরণের এই আস্বাদনের রহস্যই কালীর রহস্য।’
‘‘কবিতা মায়া, বিভ্রম, আলো ও ছায়া— জীবন ও জীবনাতীতের মিশ্রণ।‘— লিখেছিলেন দেবারতি। মায়া, বিভ্রমের পথে হেঁটে আলো ও ছায়ায় পৌঁছোতে সম্পাদনার ভূমিকা অনস্বীকার্য।‘
‘বাংলা আধুনিক গানের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর বেশিরভাগই সুধীন দাশগুপ্তর কম্পোজিশন। যেমন, খুব জনপ্রিয় সুর সেগুলো, তেমন তার মধ্যে গভীরতাও ছিল। ‘এত সুর আর এত গান’ ‘আকাশে আজ রঙের খেলা’ যেমন মনে পড়ছে।’
‘একটা বাঘ নিজের খেয়ালে নিজের টেরিটরি বেছে নেবে মাইলের পর মাইল হাঁটাহাঁটি করে, এ যেমন অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয়, কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের এই অঞ্চলের সঙ্গে বাঘের ইতিহাস খুব একটা মধুর নয়।’
‘মিথ থেকে বেরিয়ে নারী যখনই নিজের অভিজ্ঞতালব্ধ যাপনকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে, তখনই তাকে আর মায়ের মতো, মেয়ের মতো, বোনের মতো মনে হয় না। বোভোয়ার ছায়া স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়ে ওঠে এই সময়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.