প্রবন্ধ

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

পবিত্রতারও সময়সীমা আছে

‘ভক্তের সাথে দেবতার সম্পর্ক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, তা কখনওই চিরস্থায়ী নয়। যজমানের আদর-যত্নে গলে যাওয়া খুব সহজ, মনে হতে পারে এ ভালবাসা বুঝি আজীবন অটুট থাকবে। আদতে তা হয় না।’ স্বার্থের ভক্তি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

কিছু মোলাকাত

‘একদিন বুদ্ধদেব তাঁর পরিচালিত ‘লাল দরজা’ ছবিটা দেখাবার জন্যে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গেলেন গোর্কি সদন-এ। আমি বসেছি ঠিক তাঁর সামনে। সে যে কী অস্বস্তি, এক পরিচালকের এতখানি কাছে বসে তাঁর ছবি দেখা। একবার হাই তুললে যদি উনি ক্ষুণ্ণ হন!’ বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্মৃতিচারণ।

শ্যামল চক্রবর্তী

আমফান, ইয়াস এবং…

‘ধামাখালির ঘাটে পি.এইচ.ই.-র চিফ ইঞ্জিনিয়ারের বিশাল লঞ্চ ঠায় দাঁড়িয়ে। আতাপুর, মণিপুর, ছোটতুষনিয়া ও অন্য অসংখ্য গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ছোট ট্যাঙ্কে পানীয় জল। স্কুলে, স্টর্ম সেন্টারে দু’বেলা খিচুড়ি। সকালে চিঁড়ে আর আখের গুড়।’ ইয়াস-পরবর্তী সুন্দরবন।

রাহুল বোস (Rahul Bose)

রেখে গেছেন ম্যাজিক

‘পরিচালক হিসেবে উনি কী চাইছেন, সেটা সোজাসুজি বলতেন না, ওঁর একটা অদ্ভুত ঘুরিয়ে বলার ধরন ছিল। ধীরে ধীরে আমি সেই ধরনটা বুঝতে শিখলাম, ওঁর ইঙ্গিতগুলো ধরতে পরের দিকে আর অসুবিধে হত না। ওঁর কাছে, ছবিটার প্রাণভোমরা ছিল ‘অনুভূতি’।’
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্মৃতিচারণ।

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

আপন হতে বাহির হয়ে

কুইয়ারাবাদের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা অনাহিতা সারাভাই ও শামিনী কোঠারি তাঁদের অণুপত্রিকা ‘টিল্ট’এ বলেছেন, ‘কুইয়ারাবাদ হল এক অন্য পৃথিবী ও জীবনচর্চায় ঢোকার প্রবেশ পথ, যা সোজা নয় বরং ট্যাঁড়াব্যাঁকা।’ এলজিবিটি গোষ্ঠীর কথা

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৪

‘ভোরবেলা অগত্যা উঠে বের হয়ে গেলাম। সকালবেলার মোহাম্মদপুর ফাঁকা আর বাতাসময়। টাউন হলের দিকে যাবার পথে-পথে সবুজ পুলিশ আর সবুজ সবজির পসরা। এই ভোরবেলা পুলিশ এসে সবজিবাজার তুলে দিচ্ছে।’ ভোরবেলার ঢাকা ভ্রমণ।

শুভঙ্কর দে

নোনা জলের রাগ

‘সমুদ্রপাড়ে আমাদের একটা হোটেল আছে। এসে দেখি, হোটেলের মধ্যে যেন একটা ঝড় বয়ে গেছে। বেসমেন্টে রেস্টুরেন্ট। সেখানে যেন একটা ছোট সমুদ্র। প্রায় দশ ফুট সিলিং ছুঁয়ে থাকা শান্ত সমুদ্র। সমুদ্রের পাশ দিয়ে এক নতুন রাস্তা তৈরি হয়েছিল। সেই রাস্তা ‘ইয়াস’ কেড়ে নিয়েছে।’ দীঘায় ইয়াস-এর তাণ্ডব।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৭

বোর্ড পরীক্ষার্থীরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে নানা শিক্ষক-প্রতিষ্ঠান-শিক্ষাদানের ছোঁয়া পেয়েছে। স্কুল-জীবনের শেষের দিকে এই বদল একটি শূন্যতা তৈরি করে দিল ওদের মধ্যে। ফিনিশিং লাইনই থাকল না।

অদীপ দত্ত (Adip Dutta)

গন্ধর্বের খোঁজে

‘বস্তুর দিক থেকে, এই দুই বিশালাকার ফিগার রামকিঙ্করের পূর্ববর্তী কাজের চেয়ে একেবারেই আলাদা। রামকিঙ্কর এতদিন কাজ করেছেন কংক্রিটে, কিন্তু এই দুটি কাজ ছিল পাথরের। আঙ্গিকের দিক থেকে না হলেও, বস্তু এবং তার গাত্রত্বক-এর বিন্যাসে কাজদুটি রামকিঙ্করের বাকি ভাস্কর্যের তুলনায় দৃশ্যত পৃথক হয়ে উঠেছিল।’ রামকিঙ্করের ‘যক্ষ-যক্ষী’।

বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়

রামকিঙ্করবাবুর কথা

‘রামকিঙ্করবাবু কলাভবনে কিছুদিন কাজ করার পরে যখন এখানেই মডেলিং শেখাতে লাগলেন তখন আমিও এখানে কাজ শুরু করেছি। সেই সময় ছুটি-টুটিতে আমরা এখানেই থাকতাম, উনিও থাকতেন, কাজেই দেখাসাক্ষাৎ প্রায়ই হত। কাজের অ্যাসোসিয়েশনটা আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ করে দিয়েছিল।’ শিল্পীর কথা।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

সাক্ষাৎকার: আর. শিবকুমার

‘শান্তিনিকেতনে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের মতোই রামকিঙ্কর স্থানীয় প্রকৃতির সাথে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন, তবে তিনি সেই প্রকৃতিকে দেখেছিলেন এক ভিন্ন শিল্পবোধের দৃষ্টিতে, ভিন্ন শৈল্পিক প্রথার থেকে তিনি পেয়েছিলেন নিজের কলাকৌশল। সর্বজনীন জগৎটাকে তিনি দেখেছিলেন খুব ব্যক্তিগত ভাবে।’ রামকিঙ্করের শিল্পচেতনা।

অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Vishwanathan)

বিন্দাসিনী: পর্ব ৭

এই দেশে বোর্ড-পরীক্ষার ফলই পরবর্তীর জীবন আর চাকরি নির্ধারক অথচ এ বছরের পরীক্ষার্থীরা এক নিরালম্ব অবস্থায়। তাদের ১২ বছরের তপস্যায় নির্দিষ্ট ইতি পড়ল না। পরীক্ষা বাতিল মানে ভবিষ্যৎ বাতিল?