প্রবন্ধ

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৩

‘‘শান্তিনিকেতন’ জায়গাটার নামটাই কিন্তু একটা বাড়ি থেকে। বানিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথের বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ। আমার মতে শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের যতগুলো বাড়িঘর রয়েছে, ‘শান্তিনিকেতন গৃহ’ তাদের সেরা।’ শান্তিনিকেতনের বাড়ির কথা।

সম্বুদ্ধ বিশী

টিন্ডার বাম্বল

‘ছেলেদের যদি সপ্তাহে দুটো ম্যাচ হয় সে-ই অনেক। মেয়েদের দিনে ত্রিশটা ম্যাচ, তার মধ্যে আঠাশ জন প্রিডেটর, তাদের ফেলে বাকি দুজনকে ছেঁকে তোলা, এসব অনেক খাটনি, গোস্টিং ছাড়া ম্যানেজ করা যায় না।’ ডেটিং অ্যাপে সম্পর্ক তৈরির চড়াই-উতরাই।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

ন্যায়বিচারে ভরসা

‘আদালতের সমালোচনা জিনিসটা আবার অধার্মিকতা বা ব্লাসফেমির সমতুল্য, কারণ আদালত এবং আধুনিক বিচারব্যবস্থার সৃষ্টি আসলে আব্রাহামিক ধর্মের আখরে— সেখানে ঈশ্বর নরকযন্ত্রণার ভয় দেখিয়ে মানুষকে সৎ পথে চলতে বাধ্য করেন।’ ন্যায়ের সাত-সতেরো।

মালবিকা ব্যানার্জি (Malavika Banerjee)

সাক্ষাৎকার: আর. শিবকুমার

‘মার্ক্সিস্ট হিসাবে ওঁর মনে হত, প্রদর্শশালার পদ্ধতি ওঁর আদর্শের বিরোধী, এবং এসব থেকে দূরে থাকাই শ্রেয়। একই সঙ্গে, এই সিদ্ধান্ত ওঁকে পেশাদার সমালোচক বা আর্ট মার্কেটের পরোয়া না করে সৃষ্টিশীল হয়ে ওঠার স্বাধীনতা দিয়েছিল।’ সাক্ষাৎকারে শিল্পীর মূল্যায়ন।

পার্থ দাশগুপ্ত

ক্ষতের স্মৃতিরক্ষক

‘১৯৪৩-এ তিনি যখন মন্বন্তরের ছবি আঁকতে ব্যস্ত সে-সময়ে কলকাতায় সুভো ঠাকুরের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ক্যালকাটা গ্রুপ’। শিল্পী-সদস্যরা একত্রিত ভাবে এক ছাদের তলায় আসার কথা ভেবেছিলেন এমন একটা সময়ে, যখন বাংলা অন্নাভাবে কাতর।’ শিল্পে সময়ের ছাপ।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

চেয়েছিলেন শূন্যতার দাম

‘ছাপা ছবি দেখে সোমনাথদার মুখটা লাল হয়ে গেল। আমাকে বসতে বলে চা আনালেন। একটা কথাও বললেন না। তাঁর চোখে-মুখে ভয়ঙ্কর একটা অস্থিরতা। আমার একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। এক সময় বললেন, আমি ইচ্ছে করেই ছবির মাথায় ফাঁকা জায়গাটা ছেড়েছিলাম।’ স্মৃতিচারণা।

বিমল কুণ্ডু

অপেশাদারি স্বতঃস্ফূর্ততা

‘আমার রিয়েলাইজেশন হচ্ছে, যেহেতু সোমনাথদা স্কাল্পটার নন, ওঁর দুটো-তিনটে কাজ দেখলে জার্কিং মনে হয় ঠিকই, কিন্তু কুড়িটা কাজ একসঙ্গে দেখলে রিপিটেশন লাগে। আর উনি তো সাবজেক্টের বাইরেও যাননি। শুরু থেকে সেই জীবনের কথাই বলে গেছেন।’ ভাস্কর্যের মূল্যায়ন।

রামানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়

সাধারণ, অসাধারণ

‘ছাত্ররা সব সময়েই জানত সোমনাথদা পিছনে দাঁড়িয়ে আছেন। কেউ এচিং-এর হুইলটা টানতে পারছে না, উনি পিছন থেকে ধরে টেনে দিতেন। আমার মনে হয়, শিক্ষক হিসাবে সোমনাথদার মতো এত প্রভাব আর কেউ ফেলে যেতে পারেনি।’ আদর্শ শিক্ষকের কথা।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

শয়তান ও নরক

‘প্রাচীন যুগে শয়তানকে নিয়ে যেসব কাহিনি জনপ্রিয় ছিল, তাতে আজকালকার মতো শয়তানের খুর এবং শিংওয়ালা লাল রঙের এই রূপ কল্পিত ছিল না, যে-রূপে শয়তান অগ্নিময় নরকে মৃতদের আত্মাদের শাস্তি দেয়।’ শয়তানের অন্য রূপ।

গুলজার

লকডাউন আর বুড়ো আয়না

‘আমি একলা-সময় চেয়েছিলাম, বিচ্ছিন্ন হতে চাইনি। বিচ্ছিন্ন থেকে জীবনের রসদ পাওয়া যায় না। আর জীবনের রসদ না পেলে কলমের ডগায় অক্ষর এসে বসে না। জীবনের সঙ্গে অক্ষরের যে একটা গভীর যোগ রয়েছে।’ করোনাকালীন অনুভূতি।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ২

‘কৌস্তভ চক্রবর্তীর বিশ্লেষণে এই কাহিনি— এবং টোটোদের মৌখিক ইতিহাসে এর বহুবিধ বয়ান— হয়ে ওঠে ‘ক্যুয়ার জীবন’-এর প্রতিফলন, যেখানে বিষমকামী জীবনের বাইরে বাঁচা কোনও ব্যক্তি ধারাবাহিক ভাবে কিছু সম্পর্কের ভিতর দিয়ে যেতে থাকে।’ উপকথার বিকল্প পাঠ।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

কাঠগড়ায় দেবতারা

‘কৃষ্ণ কেন রাধাকে বিবাহ করেননি?
পরশুরাম তাঁর মা রেণুকার মুণ্ডচ্ছেদ করেছিলেন কেন? শিব কেন নিজের ছেলের মাথা কেটে ফেলে, পরে সেই জায়গায় একটি হাতির মাথা বসিয়ে দিলেন? কেন কালী নগ্ন হয়ে নৃত্য করেন?’ ঈশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ।