প্রবন্ধ

অরণি বসু

ঘুরে চলো টেপরেকর্ডার

‘প্রথম বই ‘গভীর এরিয়েলে’র নামকরণ ও কাব্যভাবনায় জীবনানন্দের প্রভাব ছিল ঠিকই, কিন্তু পরের বই ‘কফিন কিংবা সুটকেশ’ একেবারে অন্যরকম। ভাষা একেবারেই নতুন ও মৌলিক। বিষয় চারপাশের সমাজজীবন থেকে উঠে আসা। মনে রাখতে হবে, সময়কাল ১৯৬৩-১৯৭২।’ কবিতার মূল্যায়ন।

হৃদয়-বিদারক ফুটবল

‘বিদেশের অধিকাংশ ফুটবলার একেবারে জুনিয়র স্তর থেকে ফিটনেসের যে প্রশিক্ষণ এবং পরিচর্যা পান, তা খুব উচ্চ মানের… কিন্তু তা সত্ত্বেও এমন সব ঘটনা ঘটে… শরীরেরও এমন অজানা সব কাণ্ডকারখানা থাকে, যা কেবল ফিটনেস দিয়ে উতরে দেওয়া যায় না। এরিকসেনের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা সেরকমই হয়েছিল।’ খেলার মাঠে হার্ট-জনিত সমস্যা।

অনুপম রায়

লুটিয়ে পড়া নক্ষত্র

‘ডেনমার্কের লাল জার্সি পরে যখন তিনি বল পায়ে দৌড়চ্ছেন, মনে হচ্ছে, ওই তো আমাদের এরিকসন ছুটছে। একদম ফিট। তাহলে? পরমুহূর্তেই ওরকম ভাবে কী করে জ্ঞান হারালেন? সিপিআর কেন দিতে হচ্ছে? এরিকসন কি বেঁচে নেই?’ ফুটবলপ্রেমীর চোখে আহত খেলোয়াড়।

সুকন্যা দাশ (Sukanya Das)

আহারে গুজরাত

‘শাকাহারী গুজরাত নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে যে-ধারণা, তা আদতে গল্পকথা। যদিও এটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনেক দিনের সাধ। কিন্তু এই স্বপ্ন সফল করতে হলে তাঁকে রাজ্যের জনসংখ্যার একটা বড় অংশকে আমিষাশী থেকে নিরামিষাশীতে রূপান্তরিত করতে হবে।’ আমিষাশী গুজরাতের গল্প।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৫

‘শান্তিনিকেতনের পুরনো বাড়িগুলো তৈরি হত এমনভাবে, যেন তা বড় গাছের মাথা না ছাড়ায়। ছিল না পাঁচিল। প্রবেশ-তোরণে খোদিত ছিল ধানের শিষ। সমস্ত বাড়িঘর আর বইয়ের প্রচ্ছদের রং ছিল হাল্কা বাসন্তী। অনুষ্ঠানে রয়েছে বাটিকের উত্তরীয় পরার চল।’ শান্তিনিকেতনের রুচিবোধ।

পিয়া চক্রবর্তী

অদ্ভুতুড়ে

‘যা কিছু ধরাবাঁধা নিয়মের নোটবুকের বাইরে, তার প্রতি আমাদের একটা অস্বস্তি, একটা বিতৃষ্ণা কাজ করে। থাকে একটা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলার প্রবণতা। এও এক রকমের ফোবিয়াই— যুক্তিসঙ্গত কোনও কারণ নেই এই ভয়ের।’ মনের অদ্ভুত ভয়।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

পবিত্রতারও সময়সীমা আছে

‘ভক্তের সাথে দেবতার সম্পর্ক পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে, তা কখনওই চিরস্থায়ী নয়। যজমানের আদর-যত্নে গলে যাওয়া খুব সহজ, মনে হতে পারে এ ভালবাসা বুঝি আজীবন অটুট থাকবে। আদতে তা হয় না।’ স্বার্থের ভক্তি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

কিছু মোলাকাত

‘একদিন বুদ্ধদেব তাঁর পরিচালিত ‘লাল দরজা’ ছবিটা দেখাবার জন্যে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গেলেন গোর্কি সদন-এ। আমি বসেছি ঠিক তাঁর সামনে। সে যে কী অস্বস্তি, এক পরিচালকের এতখানি কাছে বসে তাঁর ছবি দেখা। একবার হাই তুললে যদি উনি ক্ষুণ্ণ হন!’ বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্মৃতিচারণ।

শ্যামল চক্রবর্তী

আমফান, ইয়াস এবং…

‘ধামাখালির ঘাটে পি.এইচ.ই.-র চিফ ইঞ্জিনিয়ারের বিশাল লঞ্চ ঠায় দাঁড়িয়ে। আতাপুর, মণিপুর, ছোটতুষনিয়া ও অন্য অসংখ্য গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাচ্ছে ছোট ট্যাঙ্কে পানীয় জল। স্কুলে, স্টর্ম সেন্টারে দু’বেলা খিচুড়ি। সকালে চিঁড়ে আর আখের গুড়।’ ইয়াস-পরবর্তী সুন্দরবন।

রাহুল বোস (Rahul Bose)

রেখে গেছেন ম্যাজিক

‘পরিচালক হিসেবে উনি কী চাইছেন, সেটা সোজাসুজি বলতেন না, ওঁর একটা অদ্ভুত ঘুরিয়ে বলার ধরন ছিল। ধীরে ধীরে আমি সেই ধরনটা বুঝতে শিখলাম, ওঁর ইঙ্গিতগুলো ধরতে পরের দিকে আর অসুবিধে হত না। ওঁর কাছে, ছবিটার প্রাণভোমরা ছিল ‘অনুভূতি’।’
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর স্মৃতিচারণ।

বিক্রম আয়েঙ্গার (Vikram Iyengar)

আপন হতে বাহির হয়ে

কুইয়ারাবাদের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা অনাহিতা সারাভাই ও শামিনী কোঠারি তাঁদের অণুপত্রিকা ‘টিল্ট’এ বলেছেন, ‘কুইয়ারাবাদ হল এক অন্য পৃথিবী ও জীবনচর্চায় ঢোকার প্রবেশ পথ, যা সোজা নয় বরং ট্যাঁড়াব্যাঁকা।’ এলজিবিটি গোষ্ঠীর কথা

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৪

‘ভোরবেলা অগত্যা উঠে বের হয়ে গেলাম। সকালবেলার মোহাম্মদপুর ফাঁকা আর বাতাসময়। টাউন হলের দিকে যাবার পথে-পথে সবুজ পুলিশ আর সবুজ সবজির পসরা। এই ভোরবেলা পুলিশ এসে সবজিবাজার তুলে দিচ্ছে।’ ভোরবেলার ঢাকা ভ্রমণ।