প্রবন্ধ

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৫

‘শহরের সমস্ত মহাসড়ক মৃত অজগরের মতো নিঃসাড়। মাঝে মাঝে অনিচ্ছুক বৃষ্টি হয়, তাতে কর্পোরেশনের ব্যর্থ ড্রেন থেকে উপচে পড়া জল থইথই করে। সকলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে, কেউ পার হয় না। ক্লান্ত চোখে সকলে মৃত্যুর খোঁজ নেয়।’ নিস্তব্ধ ঢাকা শহর।

ব্রাত্যজনের পালা

‘…বুধন থিয়েটারের লক্ষ্যই হল বিমুক্ত জনজাতি সম্প্রদায়গুলি বা ডিনোটিফাইড ট্রাইবাল কমিউনিটিজ থেকে এমন কিছু মানুষ তুলে আনা, যাঁরা একদিন তাদের সমাজে রাজনৈতিক ও শিল্পকলার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবেন। গুজরাতে বাস করে চল্লিশটি বিমুক্ত জনজাতি। বুধন চায়, সেখান থেকে অন্তত চারশো নেতা উঠে আসুক।’ প্রান্তিক মানুষের নাটক।

পৃথ্বী বসু

ওয়ার্ডটুন

‘অবাক লাগলেও একথা না মেনে উপায় নেই, যে কোনও শব্দকে তারই অনুষঙ্গে ছবিতে বদলে ফেলতে চিত্রশিল্পী শুভেন্দু সরকারের সময় লাগে গড়ে পাঁচ মিনিট থেকে সাত মিনিট। আর এ এমনই এক পদ্ধতি, যা শুভেন্দুরই মস্তিষ্কপ্রসূত। ছবি আঁকার এই পদ্ধতির নাম তিনি রেখেছেন ‘ওয়ার্ডটুন’।’ ছবির ম্যাজিক।

জমকালো জালিয়াত

রুপালি পর্দায় ‘বান্টি আউর বাবলি’তে তাজমহল বিক্রির দৃশ্য দেখে যারা হিন্দি ছবির বাড়াবাড়ি নিয়ে ঠোঁট বাঁকায়, তারা হয়তো অনেকে জানে না, অস্ট্রিয়ার ভিক্টর লাস্তিগ ১৯২৫ সালে ফ্রান্সের আইফেল টাওয়ার বিক্রি করে ৭০,০০০ ফ্রাঁ রোজগার করেছিল! জালিয়াতির হাতছানি, সর্বনাশ আর মোহ।

উল্কিতে যামিনী রায়, নন্দলাল!

পিঠ জুড়ে আলপনা, হাত পেঁচিয়ে সরা বা কাঠখোদাইয়ের নকশা, কালীঘাটের পটচিত্র অনুসারে দুর্গা-গণেশ-সরস্বতী এবং যামিনী রায় বা নন্দলাল বসুর বিখ্যাত কাজ — কলকাতা থেকে জার্মানির মানহেইমে ট্যাটুশিল্পী অভিনন্দন বসুর অসামান্য উল্কির জয়জয়কার।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৫

আশির এবং নব্বইয়ের দশকে ইংরেজি বই (উপন্যাস বা পদ্য সংকলন) কিনতে পাওয়া যায়, শিলিগুড়িতে এমন বইয়ের দোকান বলতে ছিল একমাত্র ‘মডার্ন এজেন্সিজ।’ উত্তরবঙ্গের বই-সংস্কৃতি, শিলিগুড়ির কলেজস্ট্রিট বইপাড়া।

মাসায়ুকি ওনিশি

অপ্রকাশিত সাক্ষাৎকার: সত্যজিৎ রায়

সত্যজিৎ রায়ের ছবি বাইরে যে-সমস্ত দেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল, জাপান তাদের মধ্যে অন্যতম। ৩৫ বছর আগে এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন সেই দেশেরই একজন বিশিষ্টজন। কথা হয়েছিল সত্যজিতের ছবি, তৎকালীন ভারতীয় সিনেমা, জাপানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এইসব নানান বিষয়ে।

শিল্পকলার আটচালায়

‘যে কোনও খাদিপ্রেমীই গুজরাতের বয়নশিল্পের ঐতিহ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। কিন্তু মাতা নি পচেড়ি সম্পর্কে এঁদের জ্ঞান অল্পই।’ অজানা শিল্পকর্মের খোঁজে।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৪

‘কিন্তু এ কী! কেনাকাটা বন্ধ রাখ কেনে।
দক্ষিণ দিল্লিবাসী দেখি একটু বেশি জানে।।

খান মার্কেটে দেখি খরিদ্দার বাড়ন্ত।
বিজলি বাতি জ্বলছে দোকানদার ঘুমন্ত।।

এরম করলে কেমনে ফিরবে ইকনমির হাল।
খরচ করো আজকে দেখা যাবে কী হয় কাল।।’

রাজধানীর ভাইরাস-পাঁচালি

দোলন গঙ্গোপাধ্যায়

একটি ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আখ্যান

‘এখনও কেন মহিলা কমরেডরাই মিটিং-এ চা তৈরি করেন? কেন সরকারি প্রোগ্রামে ছাত্রী কমরেডদের ‘থালি গার্ল’-এর ভূমিকা দেওয়া হয়? কেন স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পার্টিকর্মী হলে মিটিং-শেষে স্ত্রী দৌড়ে বাড়ি গিয়ে রান্না বসান আর স্বামী পার্টি অফিসে রাজা-উজির মারেন?’ রাজনৈতিক দলের সমালোচনা।

সুজান মুখার্জি

‘ঘরে বাইরে’র শিল্পকলা

‘২০২০-র জানুয়ারি মাসে কারেন্সি বিল্ডিং-এ ড্যাগ এই স্থায়ী প্রদর্শনীটি উপস্থাপনা করে। ড্যাগ-এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সি-ই-ও, আশিস আনন্দ জানিয়েছেন, একাধিক নতুন মিউজিয়াম এবং প্রদর্শনী গঠনের লক্ষ্য: দেশের সকল মানুষের কাছে ভারতবর্ষের চিত্রকলার গৌরবময় ইতিহাস পৌঁছে দেওয়া।’ স্থায়ী প্রদর্শনী ‘ঘরে বাইরে’ এবং বাংলার শিল্পীরা।

শান্তনু চক্রবর্তী

কিছু দূরত্ব কিছু যুদ্ধ

‘‌বুদ্ধদেব এই লম্বা সময়টা জুড়ে যেন একটাই ছবি বানিয়ে গেছেন বিভিন্ন পর্বে। সিনেমার হাড়ে-মাংসে, মানে ফর্ম আর কনটেন্টে এভাবে আমূল পাল্টে যাওয়ারও অবশ্যই একটা দর্শন আছে। শুধুই প্রকৃতি, পরিবেশ, স্মৃতি আর প্রান্তিক জীবন দিয়ে যাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না।’‌ চলচ্চিত্রের মূল্যায়ন।