প্রবন্ধ

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৬

‘…ওই নমো নমো করে আর কি! নো জাঁকজমক। এবারও তাই। ওটা তো ধর্মের ব্যাপার, আসল জিনিস তো প্যান্ডেল-ভিড়-স্টল-খাওয়া দাওয়া-পি.এন.পি.সি.। দিল্লির পি.এন.পি.সি. আবার স্পেশাল, আমলা-মন্ত্রী-সম্পাদক-টাইকুন এদের ছাড়া কারো নিন্দে কেউ ধার ধারে না।’ রাজধানীর পুজো।

সুকান্ত চৌধুরী

দান্তের দুনিয়া

‘…সাতশো বছর আগে যে অনুদার বিধান মানুষের অস্তিত্বকে এমন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছিল, আজ তা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাব কেন? একটা উত্তর, নিছক বৌদ্ধিক বিচারে এ এক অসামান্য সৃষ্টি। ইউরোপের মধ্যযুগ যে ‘অন্ধকার যুগ’ ছিল না, ঐতিহাসিকেরা অন্তত দুশো বছর ধরে বলে আসছেন।’ মহাকাব্যের প্রাসঙ্গিকতা।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৮

শর্বরী এগোচ্ছেন পুরস্কার নিতে। দাড়িতে ফুল নেই, নিশ্চিন্ত আয়োজকরা। পুরস্কারদাতার কাছাকাছি যেতেই সবাইকে হতভম্ব করে পকেট থেকে একটা ফুল হাতে নিয়ে দাড়িতে গুঁজে নিলেন শিল্পী। উল্টে দেখা কাজ অথবা খেয়ালি শিল্পীর দাড়িতে গোঁজা ফুলের জন্য পুরস্কার কিন্তু ফেরত নেয়নি রাষ্ট্র। শান্তিনিকেতনের আজব কিস্সা।

তৃণময় দাস

কমিক্সের সমালোচনায় কমিক্স

‘…অ্যালান মুরের আগে সুপারহিরোদের নিয়ে এত গভীর চিন্তা কেউ করেনি, করলেও সেগুলো সীমিত রেখেছে ‘কী ক্ষমতা হবে? কী রঙের প্যান্ট পরবে? দিনে ক’টা লোককে প্যাঁদাবে?’ এইসবের মধ্যে। এই প্রথম কমিক্সের নায়ক-নায়িকারা আকাশ আর গগগনচুম্বী অট্টালিকা থেকে নেমে মাটিতে পা রাখল।’ ‘ওয়াচমেন’ এবং সুপারহিরো কনসেপ্টের ডিকনস্ট্রাকশন।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

কর্মকারদের দেবতা

স্থাপত্যশাস্ত্র, বাস্তুশাস্ত্র, শিল্পশাস্ত্র, এবং জনবসতি ও ঘরবাড়ি সংক্রান্ত বিভিন্ন শাস্ত্রাদির সাথে তাঁর যোগসূত্র রয়েছে। বিশ্বকর্মাই সম্ভবত প্রথম কর্মকার, এবং বিশ্বকর্মা জাতি বা কর্মকার সম্প্রদায়ের (ছুতোর, এবং কামার শ্রেণীর মানুষ) প্রতিষ্ঠাতা। ভক্তিতে উপেক্ষিত দেবতা।

অনির্বাণ ভট্টাচার্য

কুছ খাস হ্যায়

একগাল হাসি মুখে একটা উইকেট তুলে সই করছেন সানি গাভাসকার। আমি ফ্রিজ করে নিই। টাইম, স্পেস ফ্রিজ করে নিই। দাদুর বয়স বাড়ে। ঠাকুমার বয়স বাড়ে। অপারেশনের দাগ, দেওয়ালের দাগ, কোনটা ভোগায় বেশি, কে জানে! একটুখানি বোরোলিন দিই ঠাম্মা? জীবনের ওঠাপড়ার দাগ।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

সন্ত্রাস ঠিক এরকম দেখতে

সন্ত্রাসবাদেরও হয়তো কিছুটা সুবিধে হয়ে গেল। কারণ লোকে চোখে দেখে উগ্রপন্থীদের ক্ষমতা সম্পর্কে বেশ ওয়াকিবহাল হল। এর আগে যে সন্ত্রাসের কথা আমরা শুনেছি, তা এভাবে দেখতে পাইনি। তাই, ভয়টা রাষ্ট্রও পেল, সাধারণ মানুষও পেল। ৯/১১ খোদাই করল অবিশ্বাস।

সৌভদ্র চট্টোপাধ্যায়

এক ধাক্কায় বদলাল সাংবাদিকতা

হিসেব বলে, মার্কিন টিভিগুলি ৯/১১ টানা ৯৩ ঘণ্টা সরাসরি কভার করেছিল। স্যাটেলাইট টিভির অকল্পনীয় মহা-ম্যারাথন! টিভির ইতিহাসে এত বড় ঘটনা এবং তার নিরবচ্ছিন্ন প্রচার এর আগে হয়নি। ৯/১১ বুঝিয়ে দিল টিভি সাংবাদিকতার অপার মহিমা।

ডাকবাংলা.কম

৯/১১: বিশিষ্ট ব্যক্তিদের চোখে

কিছু কিছু ঘটনা বা অনুভূতির ওপর একটা হালকা ধুলোর আস্তরণ পড়লেও, সেই ধুলো সরালে ক্ষত দগদগে হয়ে ফের জানান দেয়। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন-টাওয়ার আক্রমণের ঘটনাটাও ঠিক তেমন। কুড়ি বছর পরে সেই ভয়াবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই, কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁদের প্রতিক্রিয়া জানালেন।

ডাকবাংলা.কম

৯/১১: প্রবাসী বাঙালিদের চোখে

প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে চাননি ঘটনাটা। কিন্তু ক্রমশ আতঙ্কের কালো মেঘ ছেয়ে ফেলেছিল তাঁদের চারপাশ। ভয় আর রাগে তাঁরা হয়ে পড়েছিলেন স্তব্ধ, হতবাক। ৯/১১-র সে বীভৎস মুহূর্তের স্মৃতি, আজ বছর কুড়ি পরে উঠে এল তিনজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৭

‘সামনে আবার কী এক সরীসৃপের মৃৎশিল্প। চা খাবার আগে চিনা নিয়মমাফিক তাকে চা সাধতে হবে। কমলা আকারে ছোট, চায়ের পাত্র তার চেয়েও ছোট। এ পাত্রে কমলা ডোবাব কীভাবে মাথায় এল না। গৃহকর্তা জানালেন, ঘাবড়াও মাত! ও কমলা এমনিতেই গলে যাবে। ‘কমলা চা’ খাওয়া হল।’ অবাক চা-পান।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৭

‘টাকা-পয়সা আর মনোযোগের অভাবের চিহ্ন-ভরা তাকে আবিষ্কার করি একটা গাঢ় বাদামি রঙের বই, যার উপ-শিরোনাম ‘দার্জিলিং লেটারজ ১৮৩৯’ প্রথমেই আমার নজর কাড়ে। কিন্তু বইয়ের শিরোনামে ‘দ্য রোড অফ ডেস্টিনি’ কী বলতে চেয়েছিল?’ ইতিহাস পুনরাবিষ্কার।