প্রবন্ধ

দোলন গঙ্গোপাধ্যায়

ভাইফোঁটার চিঠি

অনেক কিছুই তুই করতে পারতিস,দাদা। এখনও পারিস। তুই বুক ফুলিয়ে আমার পাশে দাঁড়াতে পারতিস। বাবা-মার সঙ্গে আমার হ’য়ে কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে পারতিস। পাড়ার লোকের সঙ্গে পাঙ্গা নিতে পারতিস। পালিয়ে যাওয়া বোনের অ্যাখ্য়ান।

দেব রায়

রাখি কি সৌগন্ধ

আসলে ফিল্মে পাড়াতুতো মাস্তান দাদা সংক্রান্ত ট্রোপ টেমপ্লেট মোটের ওপর এর আশেপাশেই ঘোরাফেরা করে। বিপথগামী যুবক, উদ্ধত, বেপরোয়া। কিন্তু পাতানো বোনের রাখি কি সৌগন্ধ অথবা ভাইফোঁটার দিব্যি, জান লড়িয়ে দেবে। কোমল-হৃদয় পাড়ার মাস্তান দাদা।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৭

‘…বহু দিন হল সারা দেশে একটা ধারণা হয়েছে, দিল্লির কলেজে না পড়তে পারলে জীবন বৃথা। যদিও প্রত্যেক বছর যে শ্রেষ্ঠ কলেজের তালিকা বেরোয়, তাতে অন্যান্য শহরের বহু কলেজ আছে।’ রাজধানীর আডমিশন-পাগলামি।

জয় অর্জুন সিংহ (Jay Arjun Singh)

‘ম্যান ফ্রম ইন্ডিয়া’ থেকে ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’

‘জন্ম হয় ‘জালিয়ানওয়ালাবাগ’ নামে স্কিৎজোফ্রেনিক একটি সিনেমার, যার নির্মাণ ১৯৭৭ সালে সম্পূর্ণ হলেও বিভিন্ন বাধাবিঘ্নের কারণে তা মুক্তি পায় ১৯৮৭ সালে— এবং বিনোদ খান্নার রুপোলি পর্দায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে আগ্রহ তৈরি হওয়া সত্ত্বেও, এই সিনেমা দ্রুত লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়।’ সিনেমার গল্প।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৯

ব্রাহ্ম ভাবধারায় দীক্ষিত মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন আশ্রমে মূর্তি অথবা ব্যক্তিপূজার বিরুদ্ধে মত দিয়ে গিয়েছিলেন। শান্তিনিকেতনে তাই তার প্রতিষ্ঠিতা-আচার্যের কোনও মূর্তিও চোখে পড়ে না, যার সামনে নতজানু হয়ে তাঁর বন্দনা করা যায়। স্মৃতি উদযাপনের বিষাদ, আনন্দ ও স্বাধীনতা।

উন্নি

অ-সাধারণ মানুষ

‘…লক্ষ্মণের থেকে আমাদের শিখতে হবে, খুব রাগে ফেটে পড়ার চেয়ে জরুরি হল, কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে একটা অচল অবিশ্বাস, আর নাগরিকদের প্রতি প্রবল সহমর্মিতা… উনি (আর কে লক্ষ্মণ) বেঁচে থাকলে এখনও সমানে কাজ করে যেতেন। ক্ষমতাশালী লোককে এবং বহু পাঠককে অত্যন্ত অসন্তুষ্ট করতেন, আগের চেয়েও বেশি।’

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৮

‘দোকানে তিনি বিরহের গান বাজাতেন (মূলত মান্না দে)। কিছুকাল পরে তিনি দেখলেন, তাঁর দোকানে অনেকেই খাবারের অর্ডার করে, কিন্তু খাবার না খেয়েই বিল দিয়ে চলে যায়। দোকানি বুঝতে পারলেন, ক্রেতারা যে-কোনও কারণেই হোক, গান শুনে পুরনো স্মৃতিতে কাতর হয়ে পড়েন, খাওয়া আর হয়ে ওঠে না।’ দুঃখের রেস্তরাঁ।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

এক্স ফ্যাকটরের দেবী

শ্রীদেবী খানিকটা কপালের ফেরের মতো, ক্যারিসমা বা জনপ্রিয়তা, ব্র্যান্ড বা সামাজিক প্রতিপত্তির মতো। যে-প্রতিপত্তিকে ঠিক অঙ্কের হিসেবে মাপা যায় না, কিন্তু বাস্তব দুনিয়ায় আমাদের কত দাম বা দর, তার পিছনে এ-জিনিসের অবদান অপার। শ্রীদেবী দান করেন জৌলুস। লক্ষ্মীঠাকুরের দুই রূপ।

পূর্বায়ন চ্যাটার্জী

সুরকারের সুরকার

‘সমস্ত মহান শিল্পীদের মতোই নিখিলজীরও দর্শন ছিল এক-একটি মুহূর্তের মধ্যে সঙ্গীতের অন্তরাত্মার সন্ধান করা। লয়ের ব্যাপারে তাঁর দর্শন উপজ অঙ্গে সমান ভাবে এসে মিশত। তানগুলো প্রায়ই গিয়ে শেষ হত তেহাইতে, যা উঠে আসত তানের ভিতর থেকেই।’ পণ্ডিত নিখিল ব্যানার্জির সঙ্গীতদর্শন।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৮

‘ঠাকুরমশাই যতই কষে সাইকেলের বেল বাজান, রেগে চিৎকার করেন বা শেষমেশ কাকুতি-মিনতি করেন (‘ওরা আমার জন্য অপেক্ষা করছে যে…’), আমাদের নট নড়ন-চড়ন। এর পরেই আমাদের বাড়ির কম্পাউন্ডে ওঁর সাইকেল, এবং মন্ত্রপাঠ; প্রথমে আমাদের বাড়ি, তারপর বাপ্পাদের।’ পুরুতের হাইজ্যাক।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

সম্পাদকীয়

আবাহন আর বিসর্জন কি কেবল ঠাকুরের হয়, চলতি জীবনেরও হয়। ডাকবাংলা এবার পুজোয় সে রকমই কিছু বিষয় নিয়ে ভাবাভাবি করেছে, যা আমাদের জীবনে অদূর ভবিষ্যতে সানন্দে বা নিরানন্দে প্রবেশ করবেই, আবার সজ্ঞানে বা অজান্তে ছেড়ে চলেও যাবে।

তরুণ মজুমদার

আজকের আয়নায় গতকাল

‘পুজো বলতে গোটা শহরে হাতে-গোনা মোটে কয়েকটা। মালতীনগর, জলেশ্বরীতলা, বড় গোলা, কাটনার পাড়া আর শিববাটি— ব্যাস, গেল ফুরিয়ে। শিববাটিতে আবার পাশাপাশি দুটো পুজো। ধনী দত্ত পরিবার, তাদের দুই শরিকের। পরিবারের পুজো হলেও মনে হত সর্বজনীন।’ সেকালের পুজো।