প্রবন্ধ

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

স্বর্গ হারানো এবং পুনরুদ্ধারের ধারণা

বাইবেল অনুমান করে যে ঈশ্বর, সমস্ত প্রাণী এবং গাছপালা এবং মানুষ সহ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তিনি আশা করেছিলেন মানুষ কিছু নিয়ম মেনে বাঁচবে। কিন্তু, মানুষ সেই নিয়ম ভেঙেছে। ফলস্বরূপ, মানুষকে স্বর্গ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। মানব ইতিহাস তখন আদি স্বর্গ বা স্বর্গে ফিরে যাওয়ার এই অনুসন্ধানে পরিণত হয়।

নন্দনবোধে আনন্দময়ী: পর্ব ১

‘আর মাত্র তিন সপ্তাহ পরেই দেবীর মর্তে আগমন। বছরের এই পাঁচ দিন শহরের আনাচে-কানাচে যে সমসাময়িক শিল্পের নিদর্শন দেখা যায়, তা তুলনাহীন। যে শিল্পীরা অক্লান্ত পরিশ্রমে শূন্য থেকে একটি মণ্ডপকে তার সম্পূর্ণ রূপ দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে কিছু সময় কাটালো ডাকবাংলা, ঘুরে দেখা হল কিছু অসামান্য শিল্পকীর্তি, যা ক্ষণস্থায়ী, সপ্তাহান্তে আবার শূন্যে আবর্তিত।

অভীক মজুমদার

প্রকাশ্যে ঈর্ষার কথা বলি

‘সুনীলের কবিতা আত্মজৈবনিক, স্বীকারোক্তিমূলক। এখানেও আমি, সুনীল, নিখিলেশ— এইসব নানা রূপে উত্তমপুরুষ জটিল সব নকশা নিয়ে আবির্ভূত। কিন্তু, তাকে কবিতায় সাজিয়ে তোলার সাবলীল ক্ষমতা এবং বিশেষত সাহস, আবার বলি ঈর্ষণীয়।’ ফিরে পড়া বই।

সুস্নাত চৌধুরী

বিশ্বস্ত মূত্রানুসারে রচিত

‘শরীরের প্রয়োজনেই প্রাত্যহিক যাকে ত্যাগ করতে হয়, তাকেও কীভাবে আপন করে নেওয়া যায়, কানে-কানে সেই হিসিডাক শোনায় এই কিতাবদ্বয়। যেখানে তথ্য আছে, তথ্যের ভার নেই— দুইয়ে মিলে যেন টিপ করে পাঠকমনের দেওয়াল।’ পাঠ-অভিজ্ঞতা।

আবীর কর

শিক্ষা যাচাই, ‘শিক্ষক চাই’

‘স্কুল সার্ভিসের ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ার ব্যাপক শোরগোলের কাকতালে সাপ্তাহিক ‘অমৃতবাজার পত্রিকা’র পাতায় চোখ পড়ল উনিশ শতকের সাতের দশকের ‘কর্ম্মখালী’র বিজ্ঞাপনে। তখন চাকরি নয়, চাকুরেরই অভাব।’ বিজ্ঞাপনে শিক্ষকের খোঁজ।

দেবদত্ত পট্টনায়েক (Devdutt Pattanaik)

দক্ষিণা, দান, ভিক্ষা

‘পুরাণে, আমরা কর্ণের গল্প শুনি, যাকে দানবীর বলা হয়। আমরা ভাবি এত দানশীল হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁর জীবন এত করুণ। আমরা ভিক্ষাকে দানের সাথে গুলিয়ে ফেলি; দান করার বিনিময়ে কিছুই আশা করা হয় না। তাই কর্ণ দানশীল হয়েও কোনো উপকার পান না।’ দানের বিভাগ।

মধুজা বন্দ্যোপাধ্যায়

কোরিয়া পারল কী করিয়া

‘সাহস আর বিশ্বাসই কোরিয়ান কন্টেন্টকে সারা পৃথিবীর কন্টেন্ট-দুনিয়ায় একটা আলাদা জায়গা করে দিয়েছে। কোরিয়ানরা যখন তাদের রীতিনীতি, পরিবার, রান্না দেখায়— তা অন্য দেশের লোক বুঝবে কি বুঝবে না তার তোয়াক্কা করে না। আর সেটাই দর্শকদের ভাল লাগে।’

জয়া মিত্র

মহাভারথের বালা হিম্মত

‘এই ভীল ভারথ-এ কারো কোনও জন্মকথায় কোনও রহস্য নেই— কুন্তী, গান্ধারী, যথাক্রমে কুতরমা ও গতরমা, পাণ্ডবরা, দ্রৌপদী অর্থাৎ ধোঁফা— কারো নয়। ঈষৎ প্রচ্ছন্ন জন্মবৃত্তান্ত কেবল দুজনের— কর্ণ আর বালা।’ মহাভারতের অন্য পাঠ।

নবরূপে ভারতীয়তার প্রকাশ

ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৭৫ বছর পূর্তির উদ্‌যাপন উপলক্ষে, সৌম্যজিৎ-সৌরেন্দ্রর রূপায়িত ভারতের জাতীয় সংগীতের এই বিবর্ধিত সংস্করণটি বোনা হয়েছে গোটা দেশের ৭৫ জন শিল্পীকে নিয়ে। কথোপকথনে কলকাতা জুটি।

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

আশ্চর্য ছটফটানি ছিল

যখন বিউগল বেজে উঠল রাত বারোটায়, কী যেন একটা হল চারপাশে। কেউ কেউ আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল, কেউ কারও কোলে চেপে পড়ল, কেউ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট বাচ্চাকে কোলে তুলে নিয়ে হাওয়ায় ছুঁড়তে লাগল আর কেউ কেউ এমন কান্নায় ভেঙে পড়ল যে মনে হল, তার হৃৎপিণ্ড কেউ উপড়ে নিয়েছে। সে যেন শেষবারের মতো কাঁদছে, আর কোনও দিন চোখের জন সে ফেলবে না। কেমন ছিল সেই দিনের অভিজ্ঞতা!

সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়

মধ্যরাতের ভোর

এনসিপিএ-মুম্বই ১৪ অগস্ট রাত ১০টা থেকে আয়োজন করেছিল এক সঙ্গীতসন্ধ্যার—ডন অ্যাট দ্য মিডনাইট। যে সন্ধ্যায় ভারতীয় রাগসঙ্গীতের সঙ্গে পাশ্চাত্যের সঙ্গীতের আশ্চর্য মিশ্রণে শান্তনু মৈত্র তৈরি করেছিলেন এক মায়াবী সঙ্গীতআবহ। আর তাতে ফোঁটা ফোঁটা করে অমৃত যোগ করেছিলেন গুলজারজী। রাত পৌনে বারোটায় দর্শকরা স্বতস্ফূর্ত ভাবে গেয়ে উঠলেন ‘বন্দেমাতরম’। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হয়ে উঠল কানায় কানায়।

শ্রুতি কল্যাণী (Shruti Kalyani)

বইঠেক: পর্ব ২

‘একটি নির্দিষ্ট রেফারেন্স বই বা পাঠ্যবই— যা কোথাও পাওয়া যাবে না, শুধুমাত্র হিগিনবথামস-এ পাওয়া যাবে। আমরা সকলেই বিশ্বাস করতাম : যদি একটা বই কোথাও খুঁজে না পাওয়া যায়, হিগিনবথামস-এ খোঁজো, আর যদি সেখানে না পাওয়া যায়, পৃথিবীর অন্য কোথাও খুঁজে লাভ নেই।’ বইয়ের ম্যাজিক।