

তোফাজ্জল অথবা নিছক ভয়
‘সন্ত্রাসের তীব্রতা প্রতিদিন ফুলেফেঁপে উঠছে চুপিসারে, প্রকাশ্যে। দ্রুত সংক্রামিত করছে আমাদের চারপাশ। মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস শিথিল হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও আর খারিজ করা যাচ্ছে না। দেশ, প্রতিবেশের পরিস্থিতি ইদানীং এমনই।’
‘সন্ত্রাসের তীব্রতা প্রতিদিন ফুলেফেঁপে উঠছে চুপিসারে, প্রকাশ্যে। দ্রুত সংক্রামিত করছে আমাদের চারপাশ। মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস শিথিল হয়ে ওঠার সম্ভাবনাও আর খারিজ করা যাচ্ছে না। দেশ, প্রতিবেশের পরিস্থিতি ইদানীং এমনই।’
‘প্রকৃতিতে একেবারে অকস্মাৎ কোনও কিছুই ঘটে না, আগে কোথাও-না-কোথাও সতর্কবার্তা দেখা যায়। কেরালাও ব্যতিক্রম নয়। ২০১৫ থেকে ২০২২-এর মধ্যে দেশে যত ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছে, জানা যাচ্ছে তার শতকরা ষাট ভাগই ঘটেছে কেরালায়।’
‘মুনিঋষিরাও যে ‘পাই’-এর মান তিন ধরেই চলতেন, তার প্রমাণ রয়েছে মহাভারতের ভীষ্মপর্বে। সঞ্জয় যখন ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধের লাইভ রিলে করছিলেন, তখন যুদ্ধের কমেন্টারির ফাঁকে-ফাঁকে সমগ্র জম্বুদ্বীপ, আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি নিয়েও অনেক কিছু বলছিলেন।’
‘প্রবল পরিস্থিতির চাপে নতিস্বীকার না করে নিজেদের শিরদাঁড়া শক্ত রেখে মনুষ্যত্বের প্রতি সমর্থনে অন্য মানুষের ভূমিকা, রিল নয়, রিয়েল লাইফে দেখলাম একের পর এক এগিয়ে আসা, মধ্যরাতের স্লোগান-মুখরিত মিছিলগুলোয়। অনেকে সঙ্গে আনলেন নাবালক-নাবালিকা সন্তানদের।’
‘প্রাণ থাকে কি না সন্দেহ। মর্টারের আঘাতে প্রাচীন বাড়ির কোনদিক ধুসে পড়বে কেউ বলতে পারে? গায়ে গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে কাঁপছে সবাই। কথা বলার শক্তিও নেই। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছি আমরা ক’টি প্রাণী, পরস্পরের দিকে।’
‘ইন্দ্রপাদের মূল উদ্দেশ্যই ছিল, কেমন করে যৌনসুখের জন্য লিঙ্গদৈর্ঘ্য এবং রন্ধ্র/ছিদ্রপথের দৈর্ঘ্য মেপে গড়া হবে যথাযথ জুটি। আর সেখানে ভারতচন্দ্র যৌনসুখের প্রস্তাব করতে গিয়ে সুখের পথটাকেই ছেঁটে বাতিল করলেন।’
‘সচেতনভাবে রবীন্দ্রনাথকে ছাড়তে চাননি, রবীন্দ্রনাথকে ভাঙিয়ে খ্যাতি কি না, প্রশ্নের উত্তরে অকপটে স্বীকার করতেন, ‘উনি ছাড়া আমার খ্যাতি কী করে হবে!’ মৈত্রী-রক্ষায় তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম কিংবা খেলাঘর গড়ে তোলা, সবই যেন ওই স্বীকারোক্তিটির স্পর্ধাতেই ভাস্বর।’
‘দূর-দূর সব পাড়া থেকে অসুখ-করা মানুষজন ডাক্তারবাবুকে দেখাতে আসতেন। আর একবার আসা মানেই সারাজীবন আসা। তাঁর ওষুধে এমনই কাজ হত যে, হরেক রকম অসুখে তাঁরই কাছে আসতে বাধ্য হতেন সকলে।’
‘গত বছরেই ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা-র রেপার্টরি ‘তমস’ নিয়ে নাট্যপ্রযোজনার কথা ভেবেছিল; তখনও হিন্দুত্ববাদীদের তরফে সেই পুরনো অভিযোগ উঠেছিল— সাহনি বামপন্থী, সুতরাং নিরপেক্ষ নন। তাই তাঁর সাহিত্য থেকে কোনও প্রযোজনা করা চলবে না, করা যায়ওনি।’
‘কিছুটা গিয়েই মনে হল, নির্জন সৈকতে পিছু-পিছু কেউ আসছে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি চেনা মুখ। তিন বছরেও ভুলিনি। সে অবশ্য আমাকে চিনতে পারেনি। লোকটার চেহারাটাও বিচিত্র, চোয়াড়ে মার্কা, পাক্কা দালাল বোঝাই যায়। বিদেশিরাই ওর টার্গেট, তাই চোস্ত ইংরেজি বলে।’
‘পাহাড়ি শিল্পীদের থেকে অবনীন্দ্রনাথ সংগ্রহ করেন মিনিয়েচার ছবি আঁকার কায়দা। তাইকান, হিশিদা বা কাতসুতার মতন জাপানি শিল্পী-বন্ধুদের সংস্পর্শে এসে তিনি তুলি চালানোর নতুন শৈলী আবিষ্কার করেন এবং অজন্তা গুহাসমূহের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ফিরে যান এক দেশজ ক্লাসিসিজ্ম-এর দিকে।’ শিল্প-সংগ্রাহক মন।
‘১৮৩৪ সালে লর্ড বেন্টিঙ্ক তৈরি করেন কমিটি অন টি কালচার এবং সেই কমিটির সুপারিশে আসামের জলা-জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ি ঢাল এবং পতিত জমি তখন থেকে ক্রমশ ঢাকা পড়ে চা বাগিচার সবুজ গালিচায়। তার চার বছর বাদে ‘ক্যালকাটা’ জাহাজে চেপে প্রথম চা রপ্তানি হয় ব্রিটেনে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.