প্রবন্ধ

তৃণাঙ্কুর বন্দ্যোপাধ্যায়

মরুশহর, বিচিত্র ছাগল, অদ্ভুত পর্যটক

‘শুধুমাত্র বেড়াতে শুনে অফিসার স্তম্ভিত হলেন, আরবে আবার বেআক্কেলের মতো বেড়াতে কে যায়? বালি তো রাজস্থানেও আছে। রোজগার করতে ছাড়া যায় নাকি ওসব জায়গায়! অথচ কত হাজার বছরের রেশমপথের ইতিহাস বহন করে এই অঞ্চল।’

Shakti Chattopadhyay as Editor
শ্রীকুমার চট্টোপাধ্যায়

সম্পাদনা যেখানে ‘উন্মাদনা’

‘একজন সদ্য-যুবক কবিতালেখক গ্রন্থ সম্পাদনা করে কিছু অর্থ লাভ করবেন, এর মধ্যে অনর্থের কিছু নেই। কিন্তু এই বইগুলোর গঠনে এমন কিছুও নেই, যা দেখে বলা যায় শক্তি নিজের নামটা প্রকাশকদের ব্যবহার করতে দিয়েছেন শুধু।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ১০

‘মধ্যযুগীয় স্যাঁতসেতে প্রায়ান্ধকার একতলা বাড়িটাতে ঢুকলে গা ছমছম করে, তার ওপর ওইটুকু জায়গায় যা সব জিনিসপত্র সাজানো, বা বলা ভাল ছড়ানো, মড়ার খুলি থেকে মরক্কো চামড়ার কার্পেট, স্টাফড পশু থেকে বিচিত্র রঙের পাথরের মালা, মনে হবে দম বন্ধ হয়ে আসছে।’

সোহম দাস

এক আশ্চর্য ‘ওয়াকওভার’

‘বিশ্বকাপ খেলার মোহ দূরে রেখে সোভিয়েত দলের এই না-যাওয়া, ফিফার বদান্যতায় চিলির সুবর্ণ ওয়াকওভার, কোনওদিক থেকেই ফ্যাসিবাদের জয় ঘোষণা করেনি। অগাস্তো পিনোচে বা ফিফা-প্রচারযন্ত্রের ‘সবকিছু স্বাভাবিক’ প্রমাণের অসাধু চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৯

‘খুব পুরনো গির্জা পেরিয়ে ডানদিকে একটা গলি। চিনতে অসুবিধা হবে না, মুখেই পাঁচিলের গায়ে লেখা— হ্যাম্পস্টেড স্কোয়্যার এন ডব্লিউ থ্রি। বুকের ধুকপুক বেড়ে গেছে। শেষপর্যন্ত তাহলে আমরা পৌঁছতে পারলাম সেই তীর্থে!’

শিমূল সেন

অন্ধকারময়ী

‘রানিগঞ্জ বা ভিলাইয়ের মতো মধ্য ভারতের যাবতীয় খনি-অধ্যুষিত প্রদেশেই এই দেবী নিয়মিত পূজিতা। সমস্ত কোলিয়ারিতেই তাঁর ছবিটুকু টাঙানো থাকে। ওইসব জায়গার কোথাও-কোথাও তাঁর ডাকনাম ‘শক্তিদেবী’, কেউ ডাকেন ‘নিলোদি মা’ বলে।’ আঞ্চলিক দেবীর আখ্যান।

শান্তনু চক্রবর্তী

সিনেমার ভাইবোন আসলে সত্যি

নীতা তার শ্রম দিয়ে একদা শঙ্করের স্বপ্নকে আগলে রেখেছিল। ভারত-বিখ্যাত গায়ক হয়ে ফিরে আসা শঙ্করও অসুস্থ বোনকে শিলং পাহাড়ে যক্ষ্মা রোগীদের স্যানেটোরিয়ামে নিয়ে যায়। এখানে বোনের প্রতি ভালবাসা ও কর্তব্যের পাশাপাশি কোথাও হয়তো ঋণশোধের একটা জায়গাও ছিল।

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৮

‘কতজন বিশ্বাস করবেন জানি না, আমি কয়েকটা দাঁত পেয়েছিলাম বৃষ্টিভেজা মাটিতে। মানুষের দাঁত। হাতে করে নিয়ে গিয়ে দেখিয়েছিলাম ওদের অফিসে। বিশেষ পাত্তা দেয়নি। বলল, ওরকম দাঁত বা হাড়ের টুকরো নাকি বৃষ্টি হলে মাঝে মাঝেই উঠে আসে জমির ওপর।’

রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

টি এস এলিয়টের মার্জার-মহাকাব্য

‘বেড়ালকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে একটা নাম দিয়ে দেওয়া কাজের কথা নয়। অনেক ভেবেচিন্তে বেড়ালের নামকরণ করাই সমাজ-সংসারের পক্ষে মঙ্গলকর। বেড়ালদেরও মানমর্যাদা তাতে রক্ষা হয়। ‘দ্য নেমিং অফ ক্যাটস’ কবিতায় এই সার কথাটি বুঝিয়ে বলেছেন এলিয়ট।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৭

‘কোনও মহিলার হ্যান্ডব্যাগ এভাবে খুলতে পারে কেউ দেখিনি আগে। এদিকে আমার তো আত্মারাম খাঁচাছাড়া, ভেতরের চেনে একটা খামে রাখা আছে ডলার। অত ধৈর্য অবশ্য নেই দেখলাম পুলিশের। যে-ছোট চেনটায় টাকাপয়সা থাকে, সেটা খুলে সব রাখল টেবিলের ওপর।’

তপশ্রী গুপ্ত

ডেটলাইন : পর্ব ৬

‘আঙ্কর ভাটের দেবদাসী অবশ্য আদৌ সুন্দরী নন, এই সকালেই বেশ নেশাগ্রস্ত এবং তাঁর শরীরের আন্দোলনকে আর যাই বলা যাক, নাচ বলা ঠিক নয়। চারপাশে শ্বেতাঙ্গ ট্যুরিস্টদের ‘ওয়াও’ শুনে, অসংখ্য ক্যামেরার ক্লিক-ক্লিক শব্দে আরও উৎসাহ পেয়ে গেলেন মাঝবয়সি মহিলা।’

সুস্নাত চৌধুরী

মেগা ম্যাগাজিন : পর্ব ১০

‘প্রকাশক গেইনস মনে করতেন, গুণমান বজায় রেখে ম্যাগাজিন বের করতে হলে তার ধরাবাঁধা সময় থাকলে চলে না। কখনও দ্বিমাসিক, কখনও বছরে আট বার— নানা সময়ে নানা বিরতিতে প্রকাশিত হয়েছে এই পত্রিকা।’