ডায়েরি

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৭

‘সামনে আবার কী এক সরীসৃপের মৃৎশিল্প। চা খাবার আগে চিনা নিয়মমাফিক তাকে চা সাধতে হবে। কমলা আকারে ছোট, চায়ের পাত্র তার চেয়েও ছোট। এ পাত্রে কমলা ডোবাব কীভাবে মাথায় এল না। গৃহকর্তা জানালেন, ঘাবড়াও মাত! ও কমলা এমনিতেই গলে যাবে। ‘কমলা চা’ খাওয়া হল।’ অবাক চা-পান।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৭

‘টাকা-পয়সা আর মনোযোগের অভাবের চিহ্ন-ভরা তাকে আবিষ্কার করি একটা গাঢ় বাদামি রঙের বই, যার উপ-শিরোনাম ‘দার্জিলিং লেটারজ ১৮৩৯’ প্রথমেই আমার নজর কাড়ে। কিন্তু বইয়ের শিরোনামে ‘দ্য রোড অফ ডেস্টিনি’ কী বলতে চেয়েছিল?’ ইতিহাস পুনরাবিষ্কার।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৫

‘…অন্তত প্রথম দিন বিকেলে দেখা গেল, পড়ুয়ারা খুব বেশি সংখ্যায় পৌঁছয়নি। একে তো স্কুল যাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়নি, ইচ্ছে আর বাড়ির অনুমতি থাকলে তবেই যাওয়া। তাছাড়া নিয়ম হচ্ছে সবাই রোজ যাবে না… এখন এই বিষয়ে বাবা-মাদের কী ইচ্ছে আর ছেলেমেয়েরাই বা কী চাইছে, দেখে নেওয়া যাক।’ করোনা-কালে স্কুলে ফেরার পালা।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৭

‘…তিন চাকার রিকশাগুলো এখন প্রায় উঠে গেছে। তার বদলে এসেছে টোটো। গরুর গাড়ি আর এবড়ো-খেবড়ো রাস্তায় ঝুরঝুরে রিকশার আওয়াজ আমাদের ছেলেবেলা জুড়ে রয়ে গেছে। অঙ্কের কড়া মাস্টারমশাই জলে-ঝড়ে হাজির হতেন একটা যত্নে রাখা সাইকেল নিয়ে। সেই অনভিপ্রেত সাইকেলের চাকার কটকট আওয়াজ আমার সব আশায় জল ঢেলে দিত।’ শান্তিনিকেতনের শব্দেরা।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরের ডায়েরি: পর্ব ৬

এসব প্রশ্ন শুধু ‘টুরিস্ট’-দের জন্য নয়, যাঁরা এখানে পাহাড় আর জঙ্গল ‘এনজয়’ করতে আসেন, এবং আর কোনও বিষয়েই জানার আগ্রহ তেমন দেখান না। এ প্রশ্ন আমাদের জন্যেও, যারা এখানে থাকি। উত্তরের প্রশ্ন।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৬

‘ঈদের পরদিন কিছু ঝকমকে বইয়ের দোকান ছাড়া পুরনো বইয়ের বাজার সব বন্ধ। ফলে, আমি রিকশা বদল করি। বন্ধ বাংলাবাজারে যেতে হলে ভিন্ন রিকশা নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে রিকশায় উঠে পড়ি। পুরনো ঢাকার অলিগলিগুলো চিরকাল মোহনীয়।’ ঢাকায় ঘোরাঘুরি।

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৬

‘চন্দনা হোসেন তাঁর নির্বিকল্প এই নার্সারির জন্য গ্রামীণ কারিগরদের দিয়ে তৈরি করিয়েছেন টেরাকোটা আর বাঁশের অপূর্ব সব টব। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে কাজ করা জাপানি দারুশিল্পী এবং উদ্যানবিদ কিন্‌তারো কাসাহারার পরিবারই ‘গুল্ম’ গড়ে তুলেছেন এই বাড়িতে।’ অদেখা শান্তিনিকেতন।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৫

‘শহরের সমস্ত মহাসড়ক মৃত অজগরের মতো নিঃসাড়। মাঝে মাঝে অনিচ্ছুক বৃষ্টি হয়, তাতে কর্পোরেশনের ব্যর্থ ড্রেন থেকে উপচে পড়া জল থইথই করে। সকলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেখে, কেউ পার হয় না। ক্লান্ত চোখে সকলে মৃত্যুর খোঁজ নেয়।’ নিস্তব্ধ ঢাকা শহর।

সুমনা রায় (Sumana Roy)

উত্তরবঙ্গ ডায়েরি: পর্ব ৫

আশির এবং নব্বইয়ের দশকে ইংরেজি বই (উপন্যাস বা পদ্য সংকলন) কিনতে পাওয়া যায়, শিলিগুড়িতে এমন বইয়ের দোকান বলতে ছিল একমাত্র ‘মডার্ন এজেন্সিজ।’ উত্তরবঙ্গের বই-সংস্কৃতি, শিলিগুড়ির কলেজস্ট্রিট বইপাড়া।

অরুণাভ সিংহ

দিল্লি ডায়েরি: পর্ব ৪

‘কিন্তু এ কী! কেনাকাটা বন্ধ রাখ কেনে।
দক্ষিণ দিল্লিবাসী দেখি একটু বেশি জানে।।

খান মার্কেটে দেখি খরিদ্দার বাড়ন্ত।
বিজলি বাতি জ্বলছে দোকানদার ঘুমন্ত।।

এরম করলে কেমনে ফিরবে ইকনমির হাল।
খরচ করো আজকে দেখা যাবে কী হয় কাল।।’

রাজধানীর ভাইরাস-পাঁচালি

নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শান্তিনিকেতন ডায়েরি: পর্ব ৫

‘শান্তিনিকেতনের পুরনো বাড়িগুলো তৈরি হত এমনভাবে, যেন তা বড় গাছের মাথা না ছাড়ায়। ছিল না পাঁচিল। প্রবেশ-তোরণে খোদিত ছিল ধানের শিষ। সমস্ত বাড়িঘর আর বইয়ের প্রচ্ছদের রং ছিল হাল্কা বাসন্তী। অনুষ্ঠানে রয়েছে বাটিকের উত্তরীয় পরার চল।’ শান্তিনিকেতনের রুচিবোধ।

খান রুহুল রুবেল

ঢাকা ডায়েরি: পর্ব ৪

‘ভোরবেলা অগত্যা উঠে বের হয়ে গেলাম। সকালবেলার মোহাম্মদপুর ফাঁকা আর বাতাসময়। টাউন হলের দিকে যাবার পথে-পথে সবুজ পুলিশ আর সবুজ সবজির পসরা। এই ভোরবেলা পুলিশ এসে সবজিবাজার তুলে দিচ্ছে।’ ভোরবেলার ঢাকা ভ্রমণ।