

ডেটলাইন : পর্ব ২৩
‘একঝলক যা দেখলাম, তাকে অবাধ যৌনতা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। হতবাক আমি এবং ক্যামেরাম্যান। সঙ্গে সঙ্গে পিছন ফিরে নামতে শুরু করেছি। কৌতূহলের চক্করে রাতবিরেতে এরকম একটা গা ঘিনঘিনে পরিবেশে এসে পড়ে নিজের ওপর রাগ হচ্ছিল।’
‘একঝলক যা দেখলাম, তাকে অবাধ যৌনতা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। হতবাক আমি এবং ক্যামেরাম্যান। সঙ্গে সঙ্গে পিছন ফিরে নামতে শুরু করেছি। কৌতূহলের চক্করে রাতবিরেতে এরকম একটা গা ঘিনঘিনে পরিবেশে এসে পড়ে নিজের ওপর রাগ হচ্ছিল।’
‘ভক্তপুর বলতেই একদিকে যেমন মন্দির আর তাকে ঘিরে কুসংস্কারের অন্ধকূপ মনে পড়ে দম বন্ধ হয়ে আসে, অন্যদিকে ঠিক উল্টো হিমালয়ের উদাত্ত ডাক— নাগরকোট। কাঠমান্ডু উপত্যকার বারান্দা বলে যদি কিছু থাকে, সেটাই এই ছোট্ট গ্রাম।’
‘হুতোম যদি ব্রাজিল বা ত্রিনিদাদের কার্নিভাল দেখতেন, কী আমোদই না পেতেন! কলকেতার রাজপথে চড়ক সংক্রান্তিতে জেলেপাড়ার সং-এর যে বর্ণনা আছে ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’-য়, তাকে হাজার দিয়ে গুণ করলেও বোধহয় এর ধারেপাশে পৌঁছনো যাবে না।’
‘গায়নার জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক ভারতীয়। তাদের বলে, ইন্দো-গায়ানিজ। শ’দুয়েক বছর আগে থেকে ভারতীয়দের গায়না যাত্রা শুরু।’
‘সেন্ট লুসিয়া কিন্তু আক্ষরিক অর্থে আগ্নেয়গিরির শিখরে পিকনিক। এই দ্বীপের জন্ম আগ্নেয়গিরির উদগীরণ থেকে।’
‘যেমন ‘তারিণী মাঝি’-র খরস্রোতা ময়ূরাক্ষী আর নেই। ময়ূরাক্ষীর গর্ভজুড়ে শুধু ইটভাঁটার পর ইটভাঁটা। নদীর গর্ভজুড়ে কোথাও শস্যক্ষেত, ধানের ক্ষেত। মজে গেছে নদীর বুক। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে গনুটিয়ার ঘাট!’
‘প্রখর পৌরুষের শ্রেষ্ঠত্বের কলোনিয়াল ধারণায় প্রথম আঘাত করলেন— যথারীতি— মহাত্মা গান্ধি। লিঙ্গসাম্যের ধারনা সমাজে চারিয়ে দিতে গান্ধি নিজেকে বললেন God’s Eunuch— ঈশ্বরের হিজড়ে। অর্থাৎ তিনি লিঙ্গহীন। বা এক শরীরে একাধারে সমস্ত লিঙ্গের প্রতিনিধি।’
‘বিশ্বের নব্বই শতাংশ মানুষ যখন ঘরবন্দি হয়ে পড়ে, তখন VR— যা এতদিন নিছক কৌতুকে সীমাবদ্ধ ছিল— একটা নতুন রূপে নানান ছুটি নিয়ে আসে মানুষের হাতের মুঠোয়।’
বিশ্বকাপ দেখার দৌলতে কাতারকেও বেশ উপভোগ করলাম। অন্য একটা সংস্কৃতি, অন্য মানুষ, নতুন শহর, নানা দেশের দুর্দান্ত খাবারদাবার, আর্কিটেকচার— সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। যেন শহরজুড়ে একটা মহাযজ্ঞ চলছে। আর এই রকম একটা মহাযজ্ঞে আমিও সামিল ছিলাম, এটা ভেবেই দারুণ লাগছে।
ইউরোপের সালসবুর্গে ঘোরার ক্ষেত্রে একটা জায়গা বেছে নিতে হত— হয় সাউন্ড অফ মিউজিকের সফর নয়তো মোৎজার্টের বাড়ি। আমরা বেছেছিলাম দ্বিতীয়টা। তারপর গেলাম ইবেনসি বলে এক অজ পাড়াগাঁয়ে। ছবির মতো প্রকৃতি আর আতিথেয়তা ভরিয়ে দিয়েছিল আমাদের।
২০১৭ সাল। দ্বিতীয়বারের জন্য লন্ডন যাওয়া। নেহাতই ছুটি কাটানোর উদ্দেশ্য। প্রথমবার যা যা দেখা হয়নি, তার কিছু যদি দেখা যায়! ভাবতে-ভাবতেই প্রথম যা মাথায় এল, তা শেক্সপিয়রের বাড়ি! এই পর্বে রইল সেই অভিজ্ঞতার গল্প।
‘…কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মাথার মধ্যে দিয়ে কত কী বয়ে গেল। কোনও ছোট স্টেশনে ঝড়ের মতো রাজধানী পেরিয়ে গেলে যেমন হয়। একটা ঝমঝমে আওয়াজ আর বেসামাল স্মৃতির পাতাগুলো কিছুক্ষণ উড়তে থাকে রেললাইনের ওপর। দপদপানো লাল আলোটা একসময় মিলিয়ে যায় মাইগ্রেনের মতো। ‘তুমি চললে কোথায়?’ জিজ্ঞেস করায় বলল, ‘খুঁজছি’।’ চেনা-অচেনা কবি।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.