

মশক-মঙ্গল
‘বাংলা সাহিত্যকে কেন্দ্রে রেখে ব্যক্তিজীবন আর বিশ্বসাহিত্যপাঠকে সম্বল করে তন্ন তন্ন করে মশা খুঁজেছেন উষারঞ্জন। কিন্তু নিছক মশামারা কেরানির মতো গবেষণা করেননি। তাঁর তরতরিয়ে বয়ে চলা গদ্যে মশার পিছনে চলেছে তাঁর ভ্রমণকারী মনও।’
‘বাংলা সাহিত্যকে কেন্দ্রে রেখে ব্যক্তিজীবন আর বিশ্বসাহিত্যপাঠকে সম্বল করে তন্ন তন্ন করে মশা খুঁজেছেন উষারঞ্জন। কিন্তু নিছক মশামারা কেরানির মতো গবেষণা করেননি। তাঁর তরতরিয়ে বয়ে চলা গদ্যে মশার পিছনে চলেছে তাঁর ভ্রমণকারী মনও।’
‘হরর ফিল্মে পরিবেশটাকে গড়ে তুলতে হয়, এবং শুধু স্পেশাল এফেক্টের ওপর ভরসা না করে, চরিত্রগুলোকেও তৈরি করতে হয়। ভয়ের জিনিসটাকে হুড়মুড়িয়ে এনে ফেলে পেল্লায় তুর্কিনাচন গোড়া থেকেই লাগিয়ে দিতে হবে, এই দায় পরিচালকের কাঁধে কেউ ন্যস্ত করেনি।’
‘প্রশ্ন জাগে, প্রদর্শনীর মূল বিষয় যেখানে পঞ্চানন কর্মকার, সেখানে তাঁর ব্যবহৃত কোনও কিছুই নেই কেন? যে-যন্ত্রপাতি তুলে আনা হয়েছে, তার একটিও তো পঞ্চানন কর্মকারের নয়। পঞ্চানন কর্মকারের সাথে সম্পৃক্ত এই ইতিহাসকে আরও দক্ষতার সাথে উল্লেখ করা প্রয়োজন ছিল।’
‘এই অনুবাদের প্রাণভোমরা হল সেই আবেগ। যা পেরিয়ে যায় দেশ-কাল-ভাষার সীমানা। চিঠিগুলি পড়তে পড়তে মনে হয়, যেন বাংলা ভাষাতেই লিখিত হয়েছিল।’
‘সাম্প্রদায়িক অশান্তির সময়ে আক্রান্ত বাড়ির ছবি আঁকতে ব্যবহার করেছেন সিলভার পিগমেন্ট, যা তাঁর অন্য কাজগুলিতে চোখে পড়ে না। ১৯৭১ সালের অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাঁর বিমূর্ত ছবিতে ফুটে উঠেছে রক্তাভ ভ্রূণ। অক্ষর জন্ম নিয়েছে ছবির শরীরে।’
‘যেন সামনে মঞ্চে একটা অভিনয় হচ্ছে, আর আমরা প্রথম সারিতে সিট পেয়েছি। একক, দশক, শতক ধরে একই জায়গায় বসে দেখে যাচ্ছি, নির্বাচিত রোদবৃষ্টি।’
‘প্রদর্শনীর প্রতিটি প্রিন্টই অসাধারণ অবস্থায় রয়েছে, রংও সেই অর্থে বিবর্ণ হয়নি; এত সময় ধরে সংগ্রাহক যে শুধুমাত্র ছবিগুলি সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হননি, তা বোঝা যায়। ছবিগুলি অসামান্য যত্ন, দক্ষতার সঙ্গে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত।’
‘যেন এক বৃত্ত সম্পূর্ণ করে, ‘চার অধ্যায়’-এর এলা, ‘মহানগর’-এর আরতি থেকে পৌঁছে যায় ‘মায়ানগর’-এর এলায়। এই যাত্রা, পৃথিবী নামক এক গ্রহের, কলকাতা নামক একদা আলোকপ্রাপ্ত কোনও এক শহরের ধংসের ইতিহাসের কথা বলে আসলে।’
‘মূল ছবি জুড়ে শুধু একটা বাড়ি আর একজোড়া নর-নারী, এবং বাইরের বিশ্বের প্রতিনিধি হয়ে তাদের নিরিবিলি পরিসরে হানা দিচ্ছে অন্য লোকটা। যেন একটা রিক্ত প্রান্তরে আদম আর ইভ এবং একটা অবাঞ্ছিত সাপ।’
‘‘সাতগাঁর হাওয়াতাঁতিরা’ এক আশ্চর্য উপন্যাস, যাকে সময় বা ভূখণ্ড দিয়ে বোঝাতে পারা মুশকিল। অজস্র চরিত্র, কমপক্ষে সত্তর-আশিটি তো বটেই, যার মধ্যে বাড়ির পোষা সেই কাকাতুয়া ও ঘোড়াটি, এমনকী, লঝঝরে হার্লে-ডেভিডসনটিও, গুরুত্বে কিছু কম নয়।’
‘১৯৪৯-এ ন্যাশনাল বুক এজেন্সি লিমিটিডের পক্ষ থেকে সুরেন দত্ত ‘ভাঙার গান’-এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন এক টাকা বিনিময় মূল্যে। তারপর ৭৫ বছরে ‘ভাঙার গান’ বইটি প্রকাশ পেল না। ২০২৫, ব্ল্যাকলেটার্স প্রকাশনা সংস্থা থেকে শতবার্ষিকী সংস্করণ প্রকাশ পেল।’
‘এ-বইয়ের প্রকাশক এবং অনুচ্চারিত সম্পাদক আরও একটা ভ্যালু যোগ করেছেন এতে, নির্দেশিকা। স্মৃতিকথা বা আত্মজীবনীর নির্দেশিকা তৈরি করাটা একটা সময়ের ইতিহাসের স্বার্থেই ভীষণ জরুরি সেটা মনে রেখেছেন তাঁরা, এটা বিশেষ ভাবে বলতেই হয়।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.