
জেলজীবনে নারী
জেলখানায় কেমন কাটে নারী বন্দিদের জীবন? লিঙ্গবৈষম্য যে কারাগার তার জন্য সমাজের মধ্যে তৈরি করেছে, তা কি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে কারাগারের অন্দরে?

জেলখানায় কেমন কাটে নারী বন্দিদের জীবন? লিঙ্গবৈষম্য যে কারাগার তার জন্য সমাজের মধ্যে তৈরি করেছে, তা কি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে কারাগারের অন্দরে?

“বিদেশি বা তথাকথিত বিধর্মী কারিগরের হাতে নির্মিত বিস্কুটকে দেশীয় হিন্দুদের কাছে নিয়ে আসার চেষ্টায় ১৮৯৮-তে দিল্লিতে লালা রাধামোহন খুললেন ‘হিন্দু বিস্কুট কোম্পানি’। নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে, ধর্মের আবেগকে কাজে লাগানো হচ্ছে বিস্কুট নির্মাণের ক্ষেত্রেও।”

‘পুজো বাঙালির নস্টালজিয়া, এই হুজুগে মাততে বাঙালি ভালবাসে। আর সেই সুযোগে বইপাড়ায় হু-হু করে বিকোয় পুজো বিষয়ক ভাল-মাঝারি-মন্দ সবরকমের বই, সোশ্যাল মিডিয়ায় থিকথিক করে মিথ্যে বা অর্ধ সত্য পোস্ট। উক্ত বইটিও লেখকের কলকাতার পুজোকে ঘিরে আপ্লুত আবেগের অসংলগ্ন প্রকাশ।’

‘ক্রাসনাহোরকাইয়ের ক্লোস্ট্রোফোবিক মহাবিশ্বে, কোনও আইন বা শৃঙ্খলা নেই এবং রাষ্ট্র খুব কমই গুরুত্বপূর্ণ। মানুষের অগ্রগতি একটি করুণ মিথ, জীবন হল অর্থহীন অস্তিত্বের একটি বরফের জাদুঘর এবং জ্ঞান কেবল পাইকারি বিভ্রম বা অযৌক্তিক হতাশার দিকে পরিচালিত করে বলে মনে হয়।’

‘এমনিতে ছবির ভঙ্গিটা কেজো, যেন, যা হচ্ছে তা দেখাচ্ছি, ওরা কথা না বললে আমি তো আর সংলাপ তৈরি করে দিতে পারি না। চরিত্র দু-জনকে দেখানো হয় কোনও একটা দোকানে ঢুকে খাবার কিনছে, ফুটপাথ দিয়ে হাঁটছে, কোনও খেলার দোকানে ঢুকে স্ক্রিনে একবার কাটাকুটি খেলল, ভারী সুটকেসটা স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে টানতে টানতে তুলছে, টিকিট নেই বলে মেট্রো রেলের গেটের তলা দিয়ে গলে বেরিয়ে গেল। কিন্তু ছোট ছোট আঁচড়ে বহু কথা বলা হয়।’

একটা সার বুঝে নেওয়া প্রয়োজন এই বই পাঠের আগেই। দিনের শেষে এই বই সমাজচিত্রকে তার গতিবিধিতে ধরার চেষ্টা করে। জ্যোতিষশাস্ত্র এবং পঞ্জিকা সম্পর্কে সম্যক চর্চা ও চর্যা তার কাঠামো নির্মাণে সাহায্য করছে। তাই তাত্ত্বিক পরিসরটুকু নির্মাণের জন্য লেখক চোখ রেখেছেন পঞ্জিকার পাতায় পাতায়।

ইতিহাস আশ্রিত বা ঐতিহাসিক উপন্যাস লিখতে গেলেই প্রথম যে বাধার সামনে পড়তে হয়, তা হল ভাষা। সময়টাকে ধরতে গিয়ে অনেক লেখক একটা আড়ষ্ট, কৃত্রিম ভাষার ফাঁদে পড়ে যান। এই বইয়ের লেখক সেই ফাঁদে পা দেননি।
বই সমালোচনা। ‘তাম্বুলি-আখ্যান’

‘সত্যি অর্থে আয়নায় মুখ দেখলে বাঙালির জাতিসত্তায় যা উঠে আসে, তা হল বুদ্ধিমত্তার আত্মাভিমান। সত্যির অহংকার যদি সত্যির থেকে বড় হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আসল সত্যি ভস্মীভূত হয়।’

“আমাদের চেতনা, বিশ্বাস আমাদের সামাজিক সত্তাগুলো নির্ধারণ করে না, বরং সামাজিক সত্তাই চেতনার নিয়ন্ত্রক। ঠিক এ-সংক্রান্ত একটি বিতর্ক উসকে দেন যশোধরা তাঁর বইতে। তিনি লিখছেন, ‘বিজ্ঞাপন সমাজমনকে নির্ধারণ করে, নাকি সমাজমনই আসলে বিজ্ঞাপনগুলি কেমন হবে প্রস্তুত করে দেয়;’”

‘পত্রিকাটির মোট আশিটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সব ক’টি সংখ্যাকে প্রতিলিপি সংস্করণের (Facsimile Edition) মাধ্যমে তিনটি খণ্ডে বিন্যস্ত করে প্রকাশ করা হয়েছে, যা বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্র সংকলনের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত ব্যতিক্রমী ও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।’

‘তিনভাগে বিন্যস্ত এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে দাবার জগতে অপরায়ন, অবদমন ও নাছোড় প্রতিরোধের তিনটি সম্প্রসার। আফ্রিকান ও আফ্রো-আমেরিকান কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ, লাতিন আমেরিকার দাবা এবং সবশেষে নারী দাবাড়ুদের সমানাধিকারের লড়াইয়ের বিশ্লেষণাত্মক বিবরণ মনোগ্রাহী নিঃসন্দেহে।’

‘বাংলা সাহিত্যকে কেন্দ্রে রেখে ব্যক্তিজীবন আর বিশ্বসাহিত্যপাঠকে সম্বল করে তন্ন তন্ন করে মশা খুঁজেছেন উষারঞ্জন। কিন্তু নিছক মশামারা কেরানির মতো গবেষণা করেননি। তাঁর তরতরিয়ে বয়ে চলা গদ্যে মশার পিছনে চলেছে তাঁর ভ্রমণকারী মনও।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.