শ্রীজাত

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪

‘বাজারে নীল আপেল ওঠে বৃষ্টি ধরার পরে,/ সন্দেহ তার মিনার খোলে, সুযোগ নিজের ঝুলি/ হারানো মুখ কেউ আঁকে ঠিক গোয়েন্দা দফতরে/ডাইরি নিজের মধ্যে লুকোয় অচেনা অঙ্গুলি।/ ছুটছ তুমি। থামবে না। মন নির্দেশিকা শোনায়।/ বন্দি নজর এড়িয়ে ফের দেখতে পাব কবে?’ নতুন কবিতাগুচ্ছ।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৪

‘ছুটির দিনগুলোতেই খেলা হত বেশি, মনে আছে। স্কুল থাকলে পড়ি কি মরি করে ফিরে বাড়িতে ব্যাগটা নামিয়েই মাঠে, আর না-থাকলে সাড়ে তিনটে বেজেছে কি বাজেনি, পাড়ায় ক্রিকেট বাহিনীর টহল শুরু। একে-তাকে বাড়ি থেকে ডেকে ডেকে বার করা, তারপর মাঠে হাজির।’ ছোটবেলার ক্রিকেট।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৩

‘এই গ্রামে যে-পাহাড়, সে কোন উপকথার নাতি/ যে-মেঘ আসে প্রান্তরে, কোন সমীকরণ শোনায়/
সান্ধ্য জমায়েতের মাথায় ঠান্ডা সড়কবাতি/ বাকিটা যাক কোলাহলে এবং আবর্জনায়।/ সরে দাঁড়াও। ঘর ভাঙো। তার জানলা খুলে ওড়াও/বাতাস কেবল ছুড়ো না ওই ক্ষুধার্তদের দিকে…’ নতুন কবিতা।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৩

‘সুযোগ পেয়েছি যখন, প্রণামের লোভ ছাড়ব না। পায়ে হাত ঠেকাতেই মাথায় পেলাম ওঁর হাতের স্পর্শ। সোজা হয়ে উঠে দাঁড়াতে আমার কাঁধে রাখলেন একখানা হাত। বললেন, ‘তোমার লেখা তো পড়েছি আমি। কখনও বাড়িতে এসো।’ এই বলে অতি মৃদু হাসলেন।’ শঙ্খ ঘোষের সান্নিধ্য।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ২

‘আরতি। প্রার্থনাগান। সংখ্যা নিয়ে জড়ো হয় লোকে।/ বিষের অমৃত ছোটে রোম থেকে বারাণসী, কাবা…/মানুষ আতর মাখে। কুকুর গায়ের গন্ধ শোঁকে।/ সেই একই ঘুঁটি দিয়ে একই চালে খেলা হচ্ছে দাবা।’ নতুন কবিতা।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ২

‘বুড়ি পোড়ানোয় আমাদের অতিরিক্ত আনন্দ ছিল সেই আগুনে আলু পুড়িয়ে, আচ্ছা করে জম্পেশ মেখে সেটাকে খাওয়া। তাই এত আয়োজন। কিন্তু সেই সন্ধের মুখে হবে বুড়ি পোড়ানো, তার জন্য দুপুর থেকেই আমাদের লেগে পড়তে হত কাজে।’ শৈশবের ন্যাড়া পোড়ার স্মৃতি।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১

‘পালাতে পালাতে শেষে বর্গি ঢুকে এল দেশে/ তারপর জুড়িয়ে গেল পাড়া…/ মানুষ ঘুমোতে চায়। প্রতি রাতে ঘুমপাড়ানি শোনে।/ শান্ত এই পৃথিবীর অন্তহীন বসন্তের বনে/ কী আর উপায় আছে, প্রেমের কবিতা লেখা ছাড়া?’ নতুন একগুচ্ছ কবিতা, নতুন কলাম।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১

‘সরস্বতী যে আলাদা রকম পুজো চান, বসন্তই সে-কথা বুঝিয়ে দিত বরাবর। ওই সাহসী বাতাসের চুল ওড়ানো বিলাসিতায়, ওই রোদ্দুরের কাঁচা গন্ধে মাতোয়ারা সকালে পুজো কি কেবল পুজো হয়েই থাকতে পারে?’ নতুন কলাম।