কলাম

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৫

‘একা সেই মুড়ি কীভাবে আর পথ চিনে ফিরে আসবে। আজ বুঝি, মুড়ি মাখার আসল উপকরণটাই সেদিন বুঝতে পারিনি। ছোটবেলা দিয়ে মাখা হত সেই মুড়ি। মধ্যবিত্ত, সাধারণ ছোটবেলা দিয়ে। তাই সে আজ এত আশ্চর্য হয়ে ফুটে আছে ভাবনায়।’ ছেলেবেলার মুড়ি-মাখা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৯

‘ফাইনালে সবাই যখন ভাবছে, নাদালের সঙ্গে সেমিফাইনালে ওই বন্য মহিষের সংগ্রাম জকোভিচকে হা-ক্লান্ত করেছে এবং দু’সেট পিছিয়ে এমন প্রকাণ্ড টেনশনের ম্যাচ এমনিতেই কেহ জিততে পারে না, তখন তিনি বোধহয় মনের মিহি-মার্জিনেও সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাননি।’ এ বছরের ফরাসি ওপেন।

ভি ভি এস লক্ষ্মণ (V.V.S Laxman)

প্রেরণার টেস্ট ক্রিকেট

‘…ফলের চেয়ে, এই খেলাটা অনুষ্ঠিত হওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। টেস্ট ক্রিকেটের ঠিক এই উৎসাহটা, এই উদ্দীপনাটারই প্রয়োজন ছিল।’ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও নিউজিল্যান্ড।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৮

‘সুস্থতা তখনই সম্ভব, যখন দুই পক্ষই অন্যদের যুক্তি শুনতে রাজি, তা বুঝতে সক্ষম। আমাদের সমাজব্যবস্থায় তাই অনেক সময় ছোটদের কথাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না, তাদের কর্মকাণ্ডকে সিরিয়াস ভাবে দেখা হয় না। কিন্তু অগ্রজদের বুঝতে হবে, উল্টে ফেলার সময় এসেছে।’ পারস্পরিক বোঝাপড়া।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪

‘বাজারে নীল আপেল ওঠে বৃষ্টি ধরার পরে,/ সন্দেহ তার মিনার খোলে, সুযোগ নিজের ঝুলি/ হারানো মুখ কেউ আঁকে ঠিক গোয়েন্দা দফতরে/ডাইরি নিজের মধ্যে লুকোয় অচেনা অঙ্গুলি।/ ছুটছ তুমি। থামবে না। মন নির্দেশিকা শোনায়।/ বন্দি নজর এড়িয়ে ফের দেখতে পাব কবে?’ নতুন কবিতাগুচ্ছ।

শুভা মুদ্গল (Shubha Mudgal)

শুভারম্ভ: পর্ব ৬

এর পরের ছ’ঘণ্টা ধরে নির্মলার প্রত্যেকটি প্রচেষ্টাই হয়ে উঠল প্রহসন। যতবার এক পায়ের উপর ভর দিয়ে নানা মুদ্রা দেখানোর চেষ্টা করলেন, সারা শরীর থরথর করে কেঁপে উঠল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ৪

মানুষের মেমরিকার্ডের সঙ্গে আরও কিছু জড়িয়ে আছে, যা আমরা এখনও ঠিক ধরতে পারি না। সময় লাগছে বুঝতে। কী দিয়ে মাখিয়ে দেয় স্মৃতিগুলোকে? কম্পিউটার অনেক বেশি সত্ই, মানুষের চেয়ে

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৮

‘একটা জানোয়ার, যে শুরু করেছিল অন্য সব্বার মতো স্রেফ খাদ্য অন্বেষণে দৈনিক হাওয়া-শোঁকাশুঁকি দিয়ে, সে গ্রহতারকার পাশ দিয়ে শাঁ করে বেরিয়ে যায়, আবার ঝামেলা হলে মহাকাশযানের ধারে পা রেখে মেরামত অবধি করে! এ প্রায় সুপার-একলব্যের মতো মার্কশিট।’ মানুষের বিবর্তন।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ৭

বোর্ড পরীক্ষার্থীরা একটি দীর্ঘ সময় ধরে নানা শিক্ষক-প্রতিষ্ঠান-শিক্ষাদানের ছোঁয়া পেয়েছে। স্কুল-জীবনের শেষের দিকে এই বদল একটি শূন্যতা তৈরি করে দিল ওদের মধ্যে। ফিনিশিং লাইনই থাকল না।

অনুষা বিশ্বনাথন (Anusha Vishwanathan)

বিন্দাসিনী: পর্ব ৭

এই দেশে বোর্ড-পরীক্ষার ফলই পরবর্তীর জীবন আর চাকরি নির্ধারক অথচ এ বছরের পরীক্ষার্থীরা এক নিরালম্ব অবস্থায়। তাদের ১২ বছরের তপস্যায় নির্দিষ্ট ইতি পড়ল না। পরীক্ষা বাতিল মানে ভবিষ্যৎ বাতিল?

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ৩

‘ভোরবেলা সাত তলায় যে-মেয়েটা এক্সারসাইজ করে, তার শুধুমাত্র হাতদুটো চোখে পড়ে। আমার একেবারে উল্টোদিকের জানলায় যারা থাকে, তাদেরই একমাত্র চিনি। ও-বাড়ির একজন মহিলা মাঝে মাঝেই জানলায় এসে এদিক-ওদিক কী সব খোঁজেন। অন্য ফ্ল্যাটগুলোয় যারা থাকে, চিনি না।’ প্রতিবেশীর গল্প।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ৪

‘ছুটির দিনগুলোতেই খেলা হত বেশি, মনে আছে। স্কুল থাকলে পড়ি কি মরি করে ফিরে বাড়িতে ব্যাগটা নামিয়েই মাঠে, আর না-থাকলে সাড়ে তিনটে বেজেছে কি বাজেনি, পাড়ায় ক্রিকেট বাহিনীর টহল শুরু। একে-তাকে বাড়ি থেকে ডেকে ডেকে বার করা, তারপর মাঠে হাজির।’ ছোটবেলার ক্রিকেট।