কলাম

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ১৩

“যে তোমার মার্চ মাস, ছুটি নিয়ে জুলাই সেজেছে/তার টুপি পড়ে আছে বালিতে, সে সমুদ্রে উদাস/তুমি কী আশ্চর্য লোক/ভাঙা সময়ের মধ্যে বেঁচে/বৃষ্টির সুতোয় বুনে বসে আছ বসন্তের মাস”। নতুন কবিতা

জয়ন্ত সেনগুপ্ত

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ১৩

‘যে প্রজ্ঞাসুন্দরী রান্না শিখেছেন এপার বাংলার ঠাকুরবাড়িতে, তাঁর নিরামিষ খণ্ডের পোস্ত চচ্চড়িতে কিন্তু টিপিক্যাল পশ্চিমবঙ্গ-স্টাইল পাঁচফোড়ন নেই, আছে তিন ফোড়ন। অথচ ‘বাঙালবালা’ রেণুকা দেবী চৌধুরানীর বইতেই দেখছি পাঁচফোড়ন সহযোগে আলুপোস্তই শুধু নয়, রয়েছে ঝিঙেপোস্ত, পটলপোস্ত-সহ পোস্তর পাঁচমিশেলি প্রসার।’ বাঙাল-ঘটির রান্না।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১২

আমাদের চারপাশটা আবারও অন্ধকার হয়ে আসছে। আশঙ্কার কালো মেঘ যেন মাথার ওপর দিয়ে যাতায়াত করছে, দেখা যায়। এই বিপন্ন সময়ের মাঝখানে দাঁড়িয়ে, কালকের সিরিয়া, আজকের ইউক্রেন সব একাকার হয়ে গেছে। সর্বত্র শুধু ভয় আর আতঙ্ক। এই পর্বের কবিতাগুচ্ছের মধ্যে সেই কালো সময়েরই প্রতিধ্বনি।

ম্যাকি: পর্ব ১৩

‘অন্য মানুষ-ই হলো তোদের কাছে নরকের সমান। অন্য মানুষ কী ভাবছে তাই নিয়ে ভেবেই তোরা শেষ হয়ে যাবি। অন্য মানুষের মাথায় তোকে নিয়ে কী ছবি আঁকা হছে তাই যেন তোদের বেঁচে থাকার আসল উদ্দেশ্যে। সেই নিয়ে অশান্তিতে থাকবি। রাগারাগি করবি, ঝামেলা বাঁধাবি। ফাইনালি আইসোলেট করবি নিজেকে।’ একা থাকার হিউজ প্রবলেম।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ: পর্ব ১১

‘দরজার বাইরে দুজন। অন্ধকারে প্রায় এক হয়ে আছে। চোখ সয়ে আসছে। দুটো মাথা কখনও আলাদা হচ্ছে। আবার ডুবে যাচ্ছে অন্যের মধ্যে। এরা কারা? ভাড়াটে? নাকি ওঁর পরিবারের কেউ? এমন একটা জায়গায় ওরা রয়েছে যে, পাশ দিয়ে না দেখার ভান করে নেমে যাওয়া যাচ্ছে না।’ অদ্ভুত পরিস্থিতি।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৭

ভারতে বহু স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান নাম অর্জন করেছেন। তবে তার জন্য তাঁকে যে মূল্য দিতে হয়েছে তা এই দেশের বাইরে কোনো শিল্পী ভাবতেও পারেন না। বিদেশের কমেডিয়ানরা টেলিভিশন শো-এ তাঁদের দেশের কঠোর সমালোচনা করতে পারেন! কিন্তু ভারতে? স্ট্যান্ড আপ অন দ্য বেঞ্চ মানে শাস্তি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৫

এক রুশ খবরকাগজের সম্পাদক (যাঁর কাগজ এখনও সরকারের কাছে বিকিয়ে যায়নি) বললেন, পুতিনের এই কাজের এক বিশ্রী ফল: এবার রাশিয়ানরা হয়ে উঠবে সারা পৃথিবীর কাছে ভিলেন। কিছু ভুল নয়, এভাবে সব রুশকে পুতিনপন্থী ভাবাও অন্যায়, কিন্তু এই হল যুদ্ধের বহুমুখো করাত। পুতিনের সাইডএফেক্ট।

শ্রীজাত

হিয়া টুপটাপ, জিয়া নস্টাল: পর্ব ১২

পড়তে-পড়তে তাদের রুটির আশ্চর্য গন্ধ এসে নাকে লাগছে, তাদের কেকে-র মিঠে ভাপে ভরে উঠছে আমার শীতকাল। যেন আমাদের ভাতের হাঁড়ি এসবের চেয়ে খুব বেশি দূরে নয়। তাই দেব সাহিত্য কুটিরের পাশাপাশি রাদুগা ছিল আমাদের ভরসা, ইন্দ্রজাল কমিকস-এর কাছাকাছি ভস্তককে চিনতাম।

খুচরো খাবার: পর্ব ৬

‘এই শহরের হারিয়ে-যাওয়া আরও বহু, বহু ধরণের ভ্রাম্যমাণ খাদ্যপণ্যবিক্রেতাদের মতোই, এক সময়ে ছোলা-চ্যাপটা ফেরিওয়ালাদের ফেরির একটা বড় অংশ ছিল তাঁদের রঙ্গ-তামাশার গান। ছোট্ট-ছোট্ট দু-চার লাইনে ছন্দে বাঁধা তাঁদের গানগুলোর বিষয় দিনের রাজনৈতিক ঘটনাবলি থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ আদিরসাত্মক হয়ে উঠতে পারত, আর সব গানের শেষেই ফিরে-ফিরে আসত ‘ম্যয় লাহুঁ মজেদার, চানাচো-র গরম্‌’-এর মতো ধুয়া…’

সুদেষ্ণা রায়

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ১১

ঋতু এল, এসে ওকে দেখে বলল, কাজল তোলো, চোখের কোলে কালি চাই, যদি না থাকে দাও, আর বলেই টিস্যু নিয়ে ওর ঠোঁট আর গাল ঘষে দিল । চলবে না, কোনো প্রসাধন চাই না, তুমি এমনিই সুন্দরী, একেবারে রাশিয়ার সাদা ক্রেন প্রজাতির এলিগ্যান্ট পাখি। আমি সেটাই চাই। ঋতু চলে যাওয়ার পর ও জিজ্ঞেস করল,’ ও কি আমার প্রশংসা করল না কি…অথ ঐশ্বর্য কথা।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৪

নব্বইয়ের দশকের নতুন সাউন্ড, ‘গ্রাঞ্জ’-এর সমার্থক ব্যান্ড নির্ভানা। আশির দশকের শেষ অবধি মূলশ্রোতের পশ্চিমি জনপ্রিয় গানে যা-যা ঘটেছে, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা একটা ঘরানা তৈরি হল ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়্যাট্ল‌ শহরে, এবং সেই ঘরানার (কিছুটা কি অনিচ্ছাকৃত?) পোস্টার-বয় হয়ে উঠলেন কার্ট কোবেন এবং তাঁর ব্যান্ড নির্ভানা। অনির্বাণ কার্ট এবং নির্ভানা-কথা।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৩

অমিয় চক্রবর্তী বাংলা সাহিত্যের এক অসামান্য কবি, যাঁর কবিতায় আমরা পাই অভিনব চিত্রকল্প, পুরনো ও সমসাময়িক শব্দ পাশাপাশি সাজিয়ে তৈরি করা আশ্চর্য আবেদন, সময় নিয়ে অপূর্ব খেলা। মাত্র একটা শব্দের স্থান বদলে তিনি জাদু সৃষ্টি করেন, নরম অথচ সপ্রতিভ কবিতায় কখনও মিলিয়ে দেন ঝোড়ো হাওয়া আর পোড়ো দরজার বৈপরীত্যও।