কলাম

খুচরো খাবার: পর্ব ১০

‘বিশ্বাস হয়নি; লোহগড় দুর্গ, ভাজা কেভ্‌স, মালাভলি স্টেশন, আমার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ক্যান্টিন, দাদার স্টেশন, ভিক্টোরিয়া টার্মিনাস, বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়া রাতভর ট্রেকের শেষে পাহাড়ে সুর্যোদয়— এ-সব পেরিয়ে ওয়াড়া-পাও, ‘ওয়াড়াপ্পাও’, কলকাতায়, বালিগঞ্জে, ভবানীপুরে, আমার পাড়ায়? তারপর শুনলাম, শুধু বালিগঞ্জ কেন, সল্টলেক, তিলজলা, কলেজ স্ট্রিট, হাতিবাগান, কসবা, বড়বাজার – ওয়াড়া-পাও নাকি কলকাতা ছেয়ে ফেলেছে।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৯

সৌরভ গাঙ্গুলি, এমন একজন খেলোয়াড়, যাঁর সম্পর্কে কথা বলতে গেলে কেউ তাঁর বিশেষ শট বা ফিল্ডিং সাজানোর কথা বলে না। বলে তাঁর অ্যাটিটিউড-এর কথা, তাঁর সাহসের কথা, তাঁর জেদের কথা, তাঁর কামব্যাকের কথা। এখানেই সৌরভের জয়। ক্রিকেট তাঁকে নিজস্ব গণ্ডিতে বেঁধে রাখতে পারেনি। সৌরভ কেবল ক্রিকেটের একটা পার্ট হয়ে থেকে যাননি, বরং ক্রিকেট তাঁর জীবনের একটা অঙ্গ হিসেবে রয়ে গেছে।

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৭

নচিকেতা প্রাণ ভরে গান গাইলেন, মীর মজার কথা বলে লোক হাসালেন। দর্শক দেদার হাসল। আর অ্যান্টনি? হাসির বদলে তাকে চেপে ধরল হাঁচি। বিড়ম্বনার শেষ নেই! কিন্তু কে সেই মেয়ে, যে তাকে প্রথমে অ্যান্টি অ্যালার্জিক দিয়ে শেষে আলাপ জমিয়ে ফেলল?

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ১৭

‘মিছিল তোমায় চেনাল এই দেশে/ ওই ভেসে যায় তরণীবক্তৃতা—/ দ্যাখেইনি যে, কী করে আঁকবে সে/ নদীর উপর জ্বলন্ত সেই চিতা?/ বরং তাকে বিচার করা ভাল/ যে-বালিকা প্রবঞ্চনায় ধীর…/ তোমার প্রিয় তরুণ পরিচালক—/ আমার ছিল প্রহরামঞ্জির।’ নতুন কবিতা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৮

লখিমপুর খেরির ১৯ বছরের মেয়ে, তার ১২ বছরের বোনকে শাস্তি দিল প্রেমিক ও তার বন্ধুদের দিয়ে ধর্ষণ ও খুন করিয়ে। কারণ বোন বলেছিল, দিদির প্রেমের কথা মা-বাবাকে বলে দেবে। এই ভয়াবহ ঘটনার জন্য় কে দায়ী? বোন? প্রেমকে পাপ ভাবার মানসিকতা? মানুষের হিংসার প্রতি অদম্য আকর?

অনুপম রায়

ম্যাকি: পর্ব ১৭

কিছু জিনিস যেগুলো তোরা খেটে অর্জন করেছিস, যেমন ধরা যাক বহু সঞ্চয় করে, গুচ্ছের ই.এম.আই. দিয়ে কেনা একটা গাড়ি, তা নিয়ে গর্ব করছিস, বোকা কাজ করছিস কিন্তু তার একটা তাও মানে আছে। আমরা বুঝতে পারি। যখন দেখি তোরা চামড়ার রং নিয়ে গর্ব করছিস এবং একে অপরকে পাতি ছোট করছিস ওই বেসিসে, আমরা হ্যাং করে যাই। মানুষ বনাম মেশিনের দম্ভ!

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৬

শক্তি চট্টোপাধ্যায় এমন এক জন কবি, যিনি বুকের গহীনে সব সময় উচ্চারিত হতে থাকেন। তাঁর স্বতত টলটলে উপস্থিতি সর্বদা বিদ্যমান। কিন্তু তা ভার বাড়ায় না। তাঁর উপস্থিতি বড় অনায়াস। কিন্তু তাঁর লেখা আত্মস্থ করার সময় মনে হয় তিনি অনন্য। আপাত সহজতা থাকলেও, তা সহজে লেখা যায় না। তাই তাঁর সঙ্গে বার বার দেখা করতে হয়।

হেঁশেলের হিস্‌সা: পর্ব ১৬

‘তিন কাল গিয়ে এক কালে ঠেকল, শৈশবের মায়ামুকুরে দেখা কত কিছুই খেয়ে উঠতে পারলাম না এখনও, যেমন রবি ঠাকুরের পিড়িং শাক, যেমন সুকুমারের বার্মার ‘ঙাপ্পি’। কিন্তু যোগীন্দ্রনাথের ‘দাদখানি চাল’?’ চাল ও বাঙালি জীবন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি: পর্ব ২

‘বিশ্বাস এত মূল্যবান, এর ওপরে ভর করেই গল্প ও তাবৎ শিল্প চলছে। আমরা যখন ছবি দেখতে যাই, যদি সৎ দর্শক হই, তাহলে আমাকে যা বলা হবে তা-ই বিশ্বাস করব বলেই যাই। যে-কোনও শিল্পের প্রতি শিশুর মতো উন্মুখ ও উন্মোচিত থাকাই ভোক্তার প্রাথমিক কর্তব্য। কিন্তু সেই বিশ্বাস উৎপাদনের হাজারটা প্রক্রিয়া, পদ্ধতি, উপায় আছে।’ সিনেমায় ‘বিশ্বাস’।

ব্যাকস্টেজ: পর্ব ১৪

‘ বিমানবন্দরে ঢোকার মুখে শুনলাম প্লেন লেট হবে। আমরা ঢুকে বোর্ডিং পাস নিয়ে যখন রেস্তোরাঁয় ঢুকব, দেখি অসিত সেন বসে আছেন বাইরে। আমি চিনতে পারিনি, রাণাই চিনল। আমরা এগিয়ে গেলাম ওঁর দিকে। নিজেদের পরিচয় দিলাম। রাণা বলল, ‘আমরা দুজন ভাবী ফিল্মমেকার!’ কথাটা শুনে উনি হাসলেন, বললেন ‘আমিও এভাবেই আরম্ভ করেছিলাম।’

শুভারম্ভ: পর্ব ১৭

ভিড় সামলানোয়, মঞ্চ ও সাউন্ডের ব্যবস্থাপনায় শিল্পীদের কোনও হাত নেই। একমাত্র যেখানে তাঁদের হাত আছে, সেটা হল প্রায়শ এইসব অস্বাস্থ্যকর, বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে তাঁরা পারফর্ম করবেন কিনা সেটা জানানোর অধিকার। তাঁরা সেই অধিকার প্রয়োগ করবেন কিনা, সেটা হয়ত ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত এইসব সত্য স্বীকার না করা হবে, ততক্ষণ কেউ কিছু বদলানোর আশা করতে পারবেন না।

অনুপম রায়, শুভ চক্রবর্তী

বেঙ্গালুরুতে অ্যান্টনি: পর্ব ৬

বিরক্তি যখন চরমে পৌঁছয়, তখন ফেসবুক-ও আর ভাল লাগে না। এই যেমন অ্যান্টনি, সেখান থেকে পালাবে-পালাবে করছে! কিন্তু পালাব বললেই কি পালানো যায়? ফেসবুক থেকে নাহয় মুক্তি মিলল, কিন্তু টম? তার হাত থেকে রেহাই নেই। তারই জোরাজুরিতে অ্যান্টনিকে এবারে যেতে হল নচিকেতা আর মীরের অনুষ্ঠান দেখতে।