কলাম

শ্রীজাত

দূরপাল্লা: পর্ব ৫

ইতালি ভ্রমণের শেষ তিন দিন এমন আশ্চর্য় মুগ্ধতা অনুভব করেছিলাম যে, মুগ্ধতার ওভারডোজে খানিক মাথা ঝিমঝিম করছিল। প্রথম দিন পিসার হেলানো টাওয়ার, দ্বিতীয দিনে মিকেল অ্যাঞ্জেলোর ভাস্কর্য ডেভিড এবং তৃতীয় দিনে ভ্যাটিক্যান সিটির সেন্ট ব্যাসিলিকা।

বিশ্বকাপের ডায়েরি: শেষ পর্ব

বিশ্বকাপ দেখার দৌলতে কাতারকেও বেশ উপভোগ করলাম। অন্য একটা সংস্কৃতি, অন্য মানুষ, নতুন শহর, নানা দেশের দুর্দান্ত খাবারদাবার, আর্কিটেকচার— সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। যেন শহরজুড়ে একটা মহাযজ্ঞ চলছে। আর এই রকম একটা মহাযজ্ঞে আমিও সামিল ছিলাম, এটা ভেবেই দারুণ লাগছে।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি: পর্ব ৮

‘উপন্যাসের পিনোকিও অবাধ্য থেকে বাধ্য হয়, আর সিনেমার পিনোকিও অবাধ্যতাকেই তার মূলধন করে রাখে, এবং পরিচালক বলেন, অবাধ্যতার মূল্য অসীম, আর একটা ইন্টারভিউতে এও বলেন, তাঁর সিনেমায় ‘সকলেই পুতুল, একমাত্র পুতুলটা একেবারেই পুতুল নয়।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৬

সান্তা ক্লজ নিয়ে মাতামাতির মধ্যে কিছু লোক বলেন, বাচ্চাদের বলে দেওয়া হোক, সান্তা ক্লজ আসলে নেই। বাকিরা রুখে দাঁড়িযে বলেন, শুধু শুধু কঠোর সত্যি আউড়ে ঘোর ভেঙে দেওয়া নিতান্ত বেরসিকের কাজ।

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ৩

সিঁড়ি ভেঙে উঠে প্রথমবার মাঠের সামনে দাঁড়ানো! এই অভিজ্ঞতাটার তুলনা হয় না! আমি বার বার দাঁড়াতে চাই, ওই বৃহতের সামনে, যেখানে আমার নিজের কোনও স্বার্থ নেই, কোনও ম্যাচের হারাজেতার ওপর আমার কিচ্ছু নির্ভর করে না।

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ২

আমাদের পিছনে কিছু ইংলিশ ফ্যানেরা বসে ছিল। বিশাল তাদের গলার জোর, এমন জোর চিৎকার করছে যে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়! অমন গলা পেলে আমি সত্যিই মাইক ছাড়া গাইতে পারতাম। তার ওপর যা গালাগালি করল ফ্রান্সের গোলকিপারকে!

অনুপম রায়

বিশ্বকাপের ডায়েরি: পর্ব ১

খেলা দেখতে আসা দর্শকের এ রকম উন্মাদনা আগে সত্যি দেখিনি। আর এই উন্মাদনার একটা কারেন্ট যেন সবার মধ্যে ছড়িয়ে যায়। নিজের উত্তেজনা সব সময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। চারদিকে দেখলে মনে হয় একটা বিশাল উন্মাদনার যজ্ঞে আমিও একজন কনট্রিবিউটার।

শ্রীজাত

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ২২

‘তখনও সে মৃত নয়, তার নামে চিঠি যদি আসে/ কোথাও আড্ডায় যদি নাম ওঠে, তাহলে জীবিত।/ সকলের কথা জমে পৃথিবীর কোনও শেষ মাসে/ সময় পিওনমাত্র, যে পুরনো চিঠি এনে দিত।’ নতুন কবিতা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩৭

‘বলা হচ্ছে, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কোচ সাহস দেখানোর পর থেকেই অনেকে বুঝেছিলেন, এই লোকটাকে নামালে বরং আধুনিক খেলার ছন্দ নষ্ট হচ্ছে। হতে পারে। কিন্তু এগুলো আসল সংকট নয়।’ রোনাল্ডো-জল্পনা।

শুভময় মিত্র

মিহি মন্তাজ : পর্ব ১৮

‘হলের মাঝখানে কিছু ধাতুর ভাস্কর্য। দেওয়ালে বড়-বড় ছবির ক্যানভাস। ফুটকির মতো এক-আধজন দর্শক। প্রথম ছবিটার সামনে দাঁড়িয়ে মন ভাল হয়ে গেল। আর্ট-কে আমি ভয় পাই। সে সম্মোহিত করে। ডেকে আনে। তারপর দরজা থেকে ফিরিয়ে দেয়।’

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ২১

বিনয় মজুমদার, কেবল বাংলা কবিতা জগতে নন বরং বাংলা ভাষা গঠনের ক্ষেত্রেও এক অনন্য স্তম্ভ। তাঁর রচিত দৃশ্যকল্প দৃঢ় অথচ মর্মস্পর্শী। এ কবির রচনায় উপস্থিত দার্শনিক ও জৈবনিক তত্ত্ব। তাঁর মায়াময় কিন্তু অপার বিস্তৃত লেখার কাছে বার বার নতজানু হতে হয় আমাদের।

অনুপম রায়

ম্যাকি : পর্ব ২২

‘গায়ক-গায়িকারা পারলে মাসে তিরিশ দিনে চল্লিশটা অনুষ্ঠান করতে রাজি শুধুমাত্র টাকার লোভে। কেউ একবারও ভাবে না, গলাটার বিশ্রামের প্রয়োজন। পর পর দু-দিন গান গাইলেই গলার উপর যা প্রেশার পড়ে, লাগাতার করলে পার্মানেন্ট ড্যামেজের কথা কারও মাথায় আসে না।’ লোভ-নিয়ন্ত্রিত জীবন।