

ছায়াবাজি: পর্ব ১৬
‘যার তাকানোর মধ্যে কামনা আছে, একটু পরেই সেখানে ক্রোধ এসে বসে। বা হতাশা। ছবিটা যেন মারা-র সেই পিডিএফ-এর ভুলের মতোই বলতে চায়, অর্থবোধক শব্দ সবটা প্রকাশ করে না। বা এমনকী ভাবনার উল্টোটাও প্রকাশ করে।’
‘যার তাকানোর মধ্যে কামনা আছে, একটু পরেই সেখানে ক্রোধ এসে বসে। বা হতাশা। ছবিটা যেন মারা-র সেই পিডিএফ-এর ভুলের মতোই বলতে চায়, অর্থবোধক শব্দ সবটা প্রকাশ করে না। বা এমনকী ভাবনার উল্টোটাও প্রকাশ করে।’
‘জার্মানি থেকে আসা লোককে কলকাতার লোক লিফ্ট দিতেই পারে। সুভাষকে কি হিটলার দেননি? আশেপাশে টুকটাক আরও কীসব কিনলেন। কেকের দোকানে ফিরে, পেমেন্ট মিটিয়ে, বাক্সটা নিয়ে ট্যাক্সি ধরলাম। ওঁর হাতে একটা বড় প্লাস্টিকের ব্যাগ।’
‘এক মাস আগে দেবুর জ্বর হয়। রক্ত পরীক্ষায় দেবুর শরীরে এক মারাত্মক রোগ ধরা পড়ে। ডাক্তার দেবু-কে জানিয়ে দেয়, খুব বেশি হলে আর দু-মাস। এই কিছুদিন আগেও ওরা সিকিম থেকে ঘুরে এলো, একদম সুস্থ। হঠাৎ কী হয়ে গেল?’
‘কত নেকড়ে ডেকে উঠল টিলার উপরে/ সেসবের কোনও চিহ্ন তোমার হাতে নেই।/ আছে কেবল বিয়ের নিমন্ত্রণ, সন্ধেবেলা মৃদু আড্ডা/ আর থিয়েটারের বিজলি আলো।/ আমি, বোকা লোক, তোমার হাত ধরতে এসে কেবল একা হয়ে যাই’ নতুন কবিতা।
‘মজার জন্যই হয়তো নারী-নিগ্রহের কিংবা দলিতের মুখে প্রস্রাবের ছবি মোবাইলে হুবহু তুলে রাখা হয়, কিন্তু তা বেরিয়ে পড়লে ছড়িয়ে পড়লে দেশের নগ্ন চিত্রও সামনে আসে। এইদিক থেকে সর্বস্ব নথিবদ্ধ করে রাখার উৎকট স্বভাব, ন্যায়ের কাজে লেগে যাচ্ছে।’
‘আমাদের জন্যে ছিল আলাদা অনেকগুলো তাক, তাতে থরে-থরে বই রাখা। রংবেরঙের মলাট তাদের, আর হরেকরকম নাম। কিছু শোনা, বেশির ভাগই না-শোনা। ভিতরে ঢুকলেই মনে হত সোনার খনিতে নেমেছি বুঝি।’
মধ্যপ্রদেশের কয়েকটা ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেল, জনজাতির মানুষকে অকথ্য অত্যাচার করা হচ্ছে। এই অত্যাচার মোবাইলে রেকর্ড করলেও কেউ বিচলিত নয়। আবার, চূড়ান্ত অপমানিত জনজাতির মানুষ বলছেন, উচ্চবর্ণের মানুষকে তার এই সামান্য ভুলের জন্য ক্ষমা করতে বলছেন।
২০০৫ সালে ব্যাঙ্গালোরে বসে লেখা এই গান। কলকাতার প্রতি, নিজের শহরের টান, এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে। আর ফুটে ওঠে মায়ের কাছে ফেরার বাসনা। কোথাও একটু অভিমানও হয়তো-বা। ২০১৮ সালে সৃজিত মুখার্জি তাঁর ‘উমা’ ছবিতে এই গানটি ব্যবহার করেন।
মা বললেই কান্না পেয়ে গেলে, আধুনিক ছবি করা শক্ত, অন্তত আউটসাইডার-উত্তর যুগে। এই মাঝামাঝি-কাটিং ছবি বলেই বোধহয় খুব বিখ্যাত হয়েছে এই ফিল্ম, এবং সেজন্যেই আরও সন্দেহের চোখে দেখা উচিত যে কোনও মাঝ-আকাঙ্ক্ষী প্রয়াসকে।
‘টিভির পূর্ণ সমাধির পর জেঠুর হাতের নাগালে থাকত একটা ট্রানজিস্টর রেডিও। তার ব্যাটারি গলে গিয়েছিল। জল-রস বেরিয়ে পড়েছিল। জেঠুর চোখের মতো। আমি সরিয়ে-সুরিয়ে, আলাদা বাক্সে ব্যাটারি ফিট করে, তার জুড়ে, টেপ মেরে চালু করে দিয়েছিলাম।’
অনেক সময় গরিবের এক-একটা অভ্যাসকে তুলে নিয়ে ফ্যাশনে বসালে, তা হয়ে ওঠে নতুন হুজুগ । চিনে মাঝিরা খাবার না পেয়ে নদীর নুড়ি চুষতেন, তা হালে চিনের এক জনপ্রিয় খাবার। তবে, দরিদ্রদের ব্যাপারটা থেকে নিলেও, ইতিহাসটা কদিন পর খসে যায়, ফ্যাশনটাই শুধু থাকে।
শিল্প চিরকালই ফ্যাশন থেকে নিত্য জীবনযাত্রাকে সরাসরি প্রভাবিত করেছে। সম্প্রতি সুইডেনে বেয়নস-এর অনুষ্ঠানে এত টিকিট বিক্রি হল, সেই জন্য হোটল ও অন্যান্য ব্যবসায় এমন প্রভাব পড়ল যে সুইডেনের মূদ্রাস্ফীতি বেড়ে গেল। শিল্প আর অর্থনীতি সরাসরি যুক্ত, প্রমাণিত হল।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.