ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

প্রিয় ডাম্বলডোরকে, ইতি- এক অপদার্থ

এ ইতিহাসের মৃত্যু, শিক্ষার মৃত্যু, স্পষ্টতার মৃত্যু ও সর্বোপরি, স্পর্ধার মৃত্যু। যে স্পর্ধা ছাত্রদের জন্য নিজে বুক পেতে ব্যারিকেড গড়ায় ছিল, যখন দুষ্কৃতীরা হুমকি দিয়েছিল। যে স্পর্ধা অতি কঠিন পৃথিবীতে বন্ধুত্বের দুঃসাহস দেখাত, ছাত্রদের ভালবেসে ‘অপদার্থ’ বলে সম্বোধন করত।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ২০

‘অমানবিক কাজের ধরনের জন্যই মানসিক অবসাদে ভুগছেন বহু কর্মী, কাজের বাইরের জীবন থেকে তাঁরা বিচ্যুত : পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়, ভালবাসার মানুষ, বৃহত্তর জগৎ— সব থেকেই। এই বীভৎস চেহারায় বহু সংস্থা আবার আশা রাখছেন, কর্মীদের কর্মক্ষমতা, কাজে নিপুণতা, মনঃসংযোগ ইত্যাদি বাড়বে। আমার ভয় করছে!’ বর্তমানে কাজের ধরন।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৯

‘থিয়েটারের অলিখিত শর্ত: দর্শকের আসন আর মঞ্চের শিল্পীদের মিলিত আদান প্রদানে একটা সৃষ্টি হবে, সেটা বিদেশের থিয়েটারের দর্শক হয়ে বারবার অনুভব করলাম তীব্র ভাবে। আদান প্রদানটা আসলে সম্মান, শ্রদ্ধা, স্নেহের। হাততালি বা স্টান্ডিং ওভেশন ছাড়াও একটা অদৃশ্য শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দিয়ে আড়াই ঘণ্টা অডিটোরিয়াম ভরিয়ে রাখা! ভিন্ন ভাষার, প্রদেশের, চিন্তার ও বয়সের মানুষ এক বোধে আবদ্ধ হচ্ছেন! এখানেই তো নির্মাণের বৃত্ত পূর্ণ!’

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৮

‘আবার সেই জুদ্দু নিয়ে নাটক? আবার সেই রাজনৈতিক কচকচানি? তারপরেও উনি দেখছেন পৃথিবীর এখন হুবহু সেই আগেরই চেহারা, সেই যুদ্ধবাজি! রাশিয়া বনাম ইউক্রেনের কথাও বললেন! ৬০ বছরে মানুষের সভ্যতার বিবর্তনের চেহারাটা বিপথগামী দেখে ব্রেখট বোধহয় একটু রাগেই পাইপটা ছুঁড়ে ফেলে দিলেন।’ ব্রেখট-এর সঙ্গে উত্তমের দেখা।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৭

ভারতে বহু স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান নাম অর্জন করেছেন। তবে তার জন্য তাঁকে যে মূল্য দিতে হয়েছে তা এই দেশের বাইরে কোনো শিল্পী ভাবতেও পারেন না। বিদেশের কমেডিয়ানরা টেলিভিশন শো-এ তাঁদের দেশের কঠোর সমালোচনা করতে পারেন! কিন্তু ভারতে? স্ট্যান্ড আপ অন দ্য বেঞ্চ মানে শাস্তি।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৬

‘ আমাদের থিয়েটার কোনও মারাত্মক মার্কেট, বড় অঙ্কের আয়, দশতলা বাড়ি, চাড্ডি গাড়ি প্রভৃতির শর্ত দেয় না। সে একটু প্রান্তিক। এবং সেই প্রান্তিকতাই হল তার অন্যতম শক্তি। যেখানে এইসব হিসেব-নিকেশের বাইরে আছে সঠিকভাবে শিল্প চর্চা করার চাহিদা ও শিক্ষা। তাই কর্মী আর দর্শকের সমাগমের অভাব নেই।’ অতিমারী পেরিয়ে বাংলা থিয়েটার।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৫

এ যুগের গণধোলাই — ট্রোলিং। তবে এবার কাজটা আরও সহজ; কোনো কায়িক পরিশ্রম নেই, হাঁপানির চিন্তা নেই, পাল্টা মার খাওয়ার ভয় নেই। আড়াল থেকে ইন্দ্রজিৎ বা মেঘনাদের মতো, মানুষকে আঘাত করার এ এক অনন্য পদ্ধতি। লাগামছাড়া ট্রোলিং ভাইরাস।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৪

‘তৈরি হচ্ছে ‘রিলস’ ও অনলাইনে ‘গেমস’। আপনি বাড়িতে বসে সেই খেলা খেলতে পারেন ও তার ভিডিও প্রকাশ করতে পারেন আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায়। যে কোরিয়ার মানুষের দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির আতঙ্কজনক চিত্র ছিল এই নির্মাণে, সেগুলো এখন মোবাইলে গেম হিসেবে খেলা হচ্ছে।’ সমাজে ওয়েব সিরিজের প্রতিক্রিয়া।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১৩

‘আমরা প্রত্যেকেই আসলে সাধারণ। আর পাঁচজনের মতোই স্বাভাবিক একটা জীবন কাটিয়েছি, এবং এভাবেই চলবে। আমরা কেউ হিরো হব না! ছোট থেকে টেলিভিশন, চলচ্চিত্র আর বিজ্ঞাপন আমাদের বলেছে, সাধারণের মাঝেই সকলে অসাধারণ।’ জীবনের বাস্তবতা।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১২

বিশেষ করে যৌনতা সংক্রান্ত কোনওরকম মন্তব্য যদি মূলধারার বিশ্বাসের বাইরে হয়, তাহলে বক্তাকে কালিমালিপ্ত করতে কেউ বাদ রাখবে না। আরও মজার ব্যাপার, এই প্রসঙ্গে কথা বলা একরকম পাপ বলেই ঠাওর করা হয়। লিঙ্গ নির্বাচনের স্বাধীনতা।

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১১

আনলক-পর্বে যখন কোনও রকম চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা নেই, বা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, বারবার প্রেক্ষাগৃহ সেখানে শেষ স্থানে কেন? যদি ভাইরাস-সংক্রমণের চিন্তা থাকে, তাহলে রাজনৈতিক রোড-শো,
বা মিছিলে নিয়মের উল্লঙ্ঘন কেন?
আনলক-পর্বে উপেক্ষিত সিনেমা হল

ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়

মুখঋত: পর্ব ১০

‘তারপর এল অপ্রয়োজনীয় কাজ বা ‘নন-এসেনশিয়াল সার্ভিস’-এর তালিকা। শীর্ষ স্থান পেল শিল্প। অর্থাৎ শিল্পীদের কাজ গুরুত্বপূর্ণ নয়, জরুরি নয়, সহজ ভাষায় বেকার, বাজে, ফালতু। এটা মানুষের কাছে ‘সার্ভে’ করে, তাঁদের প্রশ্ন করে, জনমত থেকে উঠে আসা একটা কথা।’ সমাজে শিল্পের স্থান।