চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৬

‘আয়ুকে বিশ্বাস করে পোস্টাপিসে টাকা রাখলেন, ১০ বছর বাদে ডবল হবে আর আপনি উদযাপন-বিরিয়ানি সাঁটাবেন রায়তা সহ, ও হরি, হার্ট-বাবাজি পরের মঙ্গলবারেই চকিত ডিগবাজি খেয়ে চাকরি ছেড়ে দেশে চলে গেল, শত ভেন্টিলেটর বাগিয়েও ঘুলঘুলিবাচক রশ্মি এসে পড়ল না লাস্ট সিনে।’ বিশ্বাসের স্বরূপ।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৮

ঘন ঘন রং বদলনোর হিড়িক দেখে ডারউইন সাহেব পড়েছেন মহা ফ্যাসাদে। কষ্ট করে, দাড়ি চুমড়ে ইয়াব্বড় তত্ত্বখানি যে বলেছিলেন, তা এখনকার মনুষ্যপ্রজাতি এদিক এদিক ফিরতে নস্যাৎ করে দিচ্ছে। এই তৃণমূল তো এই বিজেপি, এই বিজেপি তো এই সিপিএম। ডারউইন প্রায় মিথ্য়েবাদী প্রমাণ হতে চলেছেন আর এদিকে গিরগিটি রেগে লাল। তবে সিপিএম হয়নি এখনও সে।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৫

আজকের কম্পিউটার-নির্ভর জীবন ও প্রযুক্তি বিশ্বকর্মা আর সরস্বতীরই কো-প্রোডাকশন ধরতে হবে। তার মধ্যে বেঁচে ও তার কোলেপিঠে কেশেহেঁচে যদি আমরা হাতি-সওয়ার লোকটিকে এভাবে কাঁচকলা দেখাই, তা অত্যন্ত অশোভন কৃতঘ্নতা নয় কি? বিশ্বকর্মা মাঈ কি…

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৭

রাজা জিজ্ঞেস করলেন, আমাকে কীসের মতো ভালবাসো? এক মেয়ে বলল, নুনের মতো। হাসাহাসি পড়ে গেল, রাজা রেগে লাল। তখন সেই মেয়ে তখন খুব ভেবেচিন্তে বিরাট ভোজের আয়োজন করল, কোনও রান্নায় নুন দিল না। খেয়েদেয়ে সবাই কী বলল? আর গানে, সামুদ্রিক লাল কাঁকড়া বিষয়ে নিরবচ্ছিন্ন কৌতূহলের সরল-সাদা প্রকাশ।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৪

‘…গল্পগুলির মূল থিমটা হল, মেয়েদের কাছ থেকে সুবিধে নিংড়ে নাও এবং না পেলে তাদের মারো। মারো। হাড় ভাঙো, পোড়াও, পেটের মাংস কাটো। কারণ মেয়েরা নিচু। বোধহীন। পুরুষের অধীন।’ অ্যানুয়াল পুজো, ডেইলি নারী-নির্যাতন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৭

লর্ডসে ইন্ডিয়া অসামান্য খেলে ম্যাচ জিতল, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়, একইসঙ্গে তারা করল প্রবল অভদ্রতা ও দুর্ব্যবহার, তার জন্য কোনও নিন্দাই যথেষ্ট নয়। অনেকেই অবশ্য এই অভদ্রতাকে তীব্র সমর্থন জানিয়েছেন, আর বলেছেন, এই হচ্ছে দেখার মতো আগ্রাসন। কিন্তু এ হল কথার খেলা। আইকনদের বুঝতে হবে, যে কোনও মূল্যে ম্যাচ জিততেই হবে, এ প্রবণতা অসভ্যতাকে আশকারা দেয়।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১৩

‘যদু: ইন্ডিয়ার তুলনাটা বাড়াবাড়ি না? এখানে তো মেয়েরা মডেলিং করছে, মামলা করছে, ডিভোর্স করছে…’

‘নীতা: আমি পারছি, দেশের অনেক জায়গাতেই অনেকে পারে না। আর, মেয়েদের গুলি করে মারছে না বটে, কিন্তু পণ না দিলে পুড়িয়ে মারছে। মেয়েরা জন্মানোমাত্র জ্যান্ত পুঁতছে…’

সব দেশেই নাকি তালিবান?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১২

মানুষই তো একমাত্র প্রাণী যে নিজের কাছে অতিমানুষতা দাবি করে ও আদায় করে ছাড়ে। সেই উদাহরণের বদলে আচমকা নিজের সীমাবদ্ধতা কবুলের উদাহরণকে উচ্চ-বেদীতে প্রতিষ্ঠা করছি কেন? মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব স্বীকার, আর মানসিক স্বাস্থ্য বেঠিক থাকায় ওয়াক-ওভার দেওয়াকে মাথায় তুলে নেত্য করা তো এক ব্যাপার নয়। টিম-স্পিরিট না নিজের অসুখ, কোনটা আগে?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৬

পাড়ায় মাস্কহীন জমায়েত দেখলে বলি বে-আক্কেল, ইউরো কাপের মাস্কহীন জমায়েত দেখে মুগ্ধ। মা-মাসি সিরিয়ালে মজে থাকলে বলি গাঁইয়া, নিজেরা ওয়েব-সিরিজ (যা সিরিয়ালই) দেখে ভাবি, স্মার্ট। প্রেম-পাগলিনি রাধাকে পুজো করি, কিন্তু বাঙালি রাজনীতিক প্রেমের জন্য় সর্বস্ব ছাড়লে মিম বানাই।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১১

‘…এ আকাশ-পাঁইপাঁই সংবাদে তাই মৃদুহাস্যে হোয়াটসঅ্যাপ-চিত্রের প্রতীক্ষাই বিধেয়। মানুষ পপকর্ন খেতে খেতে ছায়াপথে রকেট-জগিং’এ গেলেও বিশ্ব জুড়ে কোটি কোটি লোক হাউহাউ করে মরে যাবে, না-গেলেও।’ চাঁদ বা ঝলসানো রুটি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ১০

‘মঞ্চে বসে দু’কানকাটা কোশাকুশিতে গঙ্গোদকের ছিটে ছিটকে দিব্যি প্রেস-মিট উতরে যায়। ঝামেলা মুখপাত্রদেরও, স্টুডিওতে ঢুকেছেন সাড়ে সাতটায়, নিজের লোককে প্রশস্তি মাখিয়ে ও বিরোধী লোকের কাপড় খুলে দিয়ে সাতটা চল্লিশে বেরিয়ে দেখেন, দল পাল্টাপাল্টি হয়ে গেছে।’ বঙ্গ-রাজনীতির সার্কাস।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৯

‘ফাইনালে সবাই যখন ভাবছে, নাদালের সঙ্গে সেমিফাইনালে ওই বন্য মহিষের সংগ্রাম জকোভিচকে হা-ক্লান্ত করেছে এবং দু’সেট পিছিয়ে এমন প্রকাণ্ড টেনশনের ম্যাচ এমনিতেই কেহ জিততে পারে না, তখন তিনি বোধহয় মনের মিহি-মার্জিনেও সিঁদুরে মেঘ দেখতে পাননি।’ এ বছরের ফরাসি ওপেন।