চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৪

অমরত্ব বলতে আমরা বুঝি চিরযৌবন। মনে মনে যখন ভাবি, ইশ! যদি পঁচিশ বছর বয়সে ফিরে যেতে পারতাম ভারি ভাল হত। আসলে, আমরা চাই ৬২ বা ৭২ বছর বয়সের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আর মস্তিষ্ক নিয়ে যৌবনে ফিরে যেতে। এক বারও ভাবি না যে পঁচিশে ফিরে গেলে, মস্তিষ্কও সেই বয়সের মতোই থাকবে এবং অভিজ্ঞতাও। এবং সারা জীবন ধরে যে ভুল ও ঠিক করে চলেছি, সেই সবই করে চলব। সুতরাং দ্বিতীয় সুযোগ হল প্রথম ভুল- ঠিকের পুনরাবৃত্তি মাত্র।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৬

যাঁরা সংস্কৃতির মানচিত্রের ভগবান, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নির্ঘাত পিওর-প্রণম্য, এবং সুদীর্ঘ ও যুগ-যুগব্যাপী বিস্ময়ের যোগ্য, তাঁদের অনুরাগী ও ভক্ত হওয়া দিব্যি চমৎকার ঘটনা, জীবনের কেন্দ্রে তাঁদের অধিষ্ঠিত রেখে নিত্য জাগরণ এক শুদ্ধ ব্রত, কিন্তু তার সঙ্গে যেন এই বোধ থাকে: আমার দেবতাকেও কেউ এসে গাল দিতে পারে, সেই গালে যদি যাথার্থ্য থাকে আমি তা অনুধাবনের চেষ্টা করব। একরৈখিক ব্যক্তিপুজো।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৫

এক রুশ খবরকাগজের সম্পাদক (যাঁর কাগজ এখনও সরকারের কাছে বিকিয়ে যায়নি) বললেন, পুতিনের এই কাজের এক বিশ্রী ফল: এবার রাশিয়ানরা হয়ে উঠবে সারা পৃথিবীর কাছে ভিলেন। কিছু ভুল নয়, এভাবে সব রুশকে পুতিনপন্থী ভাবাও অন্যায়, কিন্তু এই হল যুদ্ধের বহুমুখো করাত। পুতিনের সাইডএফেক্ট।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৩

রাশিয়ায় এক আর্ট গ্যালারিতে এক প্রহরী একটা ছবিতে দুটো মুখে ছোট্ট চোখ এঁকে দিল। হুলুস্থুলু। সে বলল, কী করব, বোর লাগছিল। এই স্বীকারোক্তি এত সরল ও ভানহীন, চমক জাগায়। আর মনে হয়, একঘেয়েমি থেকেই কি নষ্টামির মতোই, সমস্ত শিল্প বা বিনোদনেরও জন্ম নয়?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৪

‘নির্জীব আগাছা-ল্যান্ডে একমাত্র পরিত্রাণ করতে পারত কৃষ্ণনগরের স্কুলে দুই শিক্ষকের পরস্পরকে হাঁইহাঁই পেটানোর ভাইরাল ভিডিও। একজন আরেকজনকে চড় কষাতেই আক্রান্তের তুরন্ত তেড়ে যাওয়া ও প্রায় ফাস্ট-ফরোয়ার্ডে ঝটিতি প্রতি-আক্রমণ। তারপর আবার প্রশ্ন ধেয়ে আসছে, আপনি তো হেডস্যার, আপনি গায়ে হাত দিলেন কেন? এই রে, ফের বৃত্ত সম্পূর্ণ। প্রায়-সুমন-ঘটনা। প্রবৃত্তির পানে ধাইব, না নিবৃত্তি?’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২৩

‘কোটি কোটি শুয়োরকে মেরে ফেলা হচ্ছে বেকন সসেজ হ্যামের লোভে, আর মাত্তর হাজারখানেক শুয়োরকে মারা হচ্ছে তাদের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ তুলে মানুষের দেহে বসিয়ে বাঁচাবার চেষ্টায়। শুয়োরকে যদি হৃৎপিণ্ডের জন্য মারা না হত, মাংসপিণ্ডের জন্য তো হতই, আজ নয় কাল।’ শুয়োর হত্যা ও কয়েকটা প্রশ্ন।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১২

দামি গাড়ি রোলস রয়েস-এর রেকর্ড বিক্রি হল গত বছর। সারা পৃথিবী যখন আর্তনাদ করছে আর খরচা কমাচ্ছে, তখন বড়লোকরা কোটি কোটি টাকা খরচা করে গাড়ি কিনছেন কেন? এতে কি ধনী ও দরিদ্রের মূল মনোভঙ্গির তফাত বোঝা যায়?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২২

এ-গ্রহের অতি নির্বোধ লোকও মালুম পেয়েছে, কোভিড ধাঁ করে উবে যাবে না, একে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে, একটু হাঁচো-কাশো, তারপর সাতদিন ঘরে কাটিয়ে ফের নাচো-হাসো, পরবর্তী সংক্রমণে ধুত্তোর বলে পুনরায় ঘরে ঢুকে পড়ো— এই প্যাটার্নই আগামীর থিম।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এ বছর কী কী ঘটবে

‘উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের গাদা-গাদা ব্রণ গজাবে মাস্কে, এবং এই মানবেতিহাসে প্রথম, কান থেকে সুতো ছিঁড়ে একটি জিনিস টান মেরে ফেলে দিলেই গুচ্ছের ব্রণদাগ নিমেষে হাপিস। আবার উল্টোও হবে, ছেলে কলেজ যাওয়ার কালে হাঁকবে, মা! আমার ব্রণভরা মাস্কটা ফেলে দিয়েছ না কি!’ আগামীতে যা ঘটবে।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২১

ইরানে বলা হচ্ছে, অন্য জন্তুর প্রতি ভালবাসা খরচা করে মানুষ তার হৃদয়স্থিত প্রেমের অপব্যবহার করছে, কারণ ওই শুদ্ধ আবেগ মানুষের আধারে প্রদত্ত হয়েছে তো পরিবারের অন্য সদস্যদের, গোষ্ঠীর অন্য মানুষের প্রতি ধাবিত হবে বলেই। তাই পোষ্য রাখার অভ্যাস ‘ক্ষতিকর সামাজিক সমস্যা’।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১০

গানে কান্না-সিলিন্ডার উঠছে, এবং সামনের পার্কে ইউএফও নামছে। আর গল্পে, জ্যাক আর জিল পাহাড়ের চুড়ো থেকে জল আনতে গিয়ে, হোঁচট খেয়ে গড়িয়ে একদম নীচে পড়ে যাওয়ার পর, জিল যদি-বা উঠতে পারে, জ্যাক কিছুতেই আর পারে না। তার কোমর ভেঙে গেছে। তাহলে তার ভাগ্যও কি ভেঙে গেল

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ২০

‘বিবাহ প্রাথমিক ভাবে যৌন চুক্তি, ফলে এক কুমার ও এক কুমারীর বিয়ে হবে, তারা প্রথম যৌনতার স্বাদ পাবে পরস্পরের কাছ থেকে, শয্যাতুলুনিতে রক্ত দেখে মেয়ের ব্যাপারটায় আত্মীয় ও প্রতিবেশীরাও নিশ্চিত হবে (কারণ তার সতীত্বই বেশি গুরুত্বপূর্ণ), এরপর বাচ্চা হবে এবং কোনও সন্দেহই থাকবে না এটি কার বাচ্চা।’ বিবাহের উদ্দেশ্য।