চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ১১

‘কোনও বাষ্পাকুল রূপকথা না শুনিয়ে, ছবিটা বলে, লিখনপ্রয়াস আর ফোটোগ্রাফ দিয়ে মানুষের এই সমুদ্রের ধারে বালির বাঁধ তৈরির প্রক্রিয়ার কিছু তিক্ত হাসি ও কিছু অশ্রুফোঁটা প্রাপ্য।’ সমালোচনা।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক : পর্ব ৩২

নারী দিবস পালন করা মানেই কি নারীদের জীবন স্বাভাবিক হয়ে যাওয়া? একেবারেই নয়। ইরান-আফগানিস্থানের দিকে তাকালেই সে-কথা বোঝা যায়। আমাদের সমাজ এমনই, দেবীদের পুজো করি আর মহিলাদের নিগ্রহ। লিঙ্গসাম্য তাহলে কি একটা অবাস্তব ধারণা?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৪০

আত্মহত্যা বেঁচে থাকার ও বাঁচতে চাওয়ার অনন্ত স্রোতের মধ্যে এক দগদগে ব্যত্যয়, সে যখন একাধিক লোক মিলে হয়— তা বিশালতর ধাঁধা, কিন্তু গোটা পরিবার মিলে স্বেচ্ছায় মারা যাওয়ার মধ্যে গুরুজনদের তরফে বিশ্রী দায়-অস্বীকার আছে। অন্যের চরম ক্ষতির প্রতি কুচ্ছিত অবহেলা আছে।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক : পর্ব ৩১

উইনি দ্য পু, অত্যন্ত জনপ্রিয় এক চরিত্র। গত বছর, এই চরিত্রের স্বত্ব বিক্রি হওয়ায় এক পরিচালক বানালেন এমন এক সিনেমা, যেখানে মিষ্টি স্বভাবের পু রূপান্তরিত হল ভিলেনে। প্রশ্ন হল, আমাদের ছেলেবেলার পছন্দের চরিত্রকে কি বিকৃত করা সম্ভব?

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

ছায়াবাজি : পর্ব ১০

‘ক্রমে একটা শান্ত নির্বিবাদী লোক কীভাবে হিংস্র ও প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠে, একটা চমৎকার বন্ধুত্ব কীভাবে একেবারে মিটমাটের সম্ভাবনাহীন শত্রুতায় গড়িয়ে যায়, কিন্তু এমন ভয়ানক পরিণতির কোনও কারণ বা যুক্তিই বোঝা যায় না— তা নিয়ে গল্প।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ৩০

ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে মানুষকে না জড়িয়ে গরুকে জড়ানোর ফরমান জারি হল কেন? কারণ গরু আমাদের মা। অনাত্মীয়কে আলিঙ্গনের চেয়ে মা’কে আদর ভাল নয়? তবে অসুবিধেও আছে, গরু হয়তো জড়াজড়িতে সম্মত নয়, তখন গুঁতিয়ে দিলে বড্ড মুশকিল।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩৯

‘সন্দেহ নেই যে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে থাকতে বা ক্ষমতা ভোগ করতে-করতে অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং মারতে খুব ভাল লাগে, এবং সেই ঔদ্ধত্য ও ধর্ষকাম সাদা-কালো নির্বিশেষে চারিয়ে যায়।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৯

অভিনেতা বা খেলোয়াড়দের আমরা আপনজনের মতো ভালবাসি কেন? এঁরা বীর ও সফল, তাই সহজে আমাদের মুগ্ধ করেন?এঁরা হেরে গেলে এঁদের মধ্যে আমরা নিজেদের দেখতে পাই? না, আসলে সব পেরিয়ে, এঁরা আমাদের বন্ধু। বহু একঘেয়ে মুহূর্তকে উত্তেজক করে তোলার সঙ্গী।

ছায়াবাজি: পর্ব ৯

‘একটা জীবনের এদিক সেদিক পাশাপাশি তাসের প্যাকেটের মতো ফেলে রাখা হয়, কোনও ব্যাপারকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করে অনেকক্ষণ টেনে নিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও নেই।’

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৮

কিছু মানুষ বারবার ফিরে যায় অপমানের স্মৃতির কাছে। এই ফেরার জ্বলুনি প্রচুর, তার চোটে এরা বিড়বিড় করতে করতে হাঁটে, বাথরুমে ১৫ বছর আগেকার অপমানের মোক্ষম উত্তর দেয়, আর একটা সময় এই বেদনার হাত থেকে বাঁচতে মোবাইলে বা ওটিটি-তে নিজেকে ডুবিয়ে দেয়।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

সামথিং সামথিং: পর্ব ৩৮

মানুষ আদতে নিজের সুখ-দুঃখ-আনন্দ-বেদনা-রাগ-বিরক্তি-ঘেন্না ছাড়া আর কিছুই ভাবে না। মনের খুব কাছের মানুষ না হলে, অন্যের মৃত্যুতেও তার খুব ইতরবিশেষ ঘটে না। সে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে চায়, নিজেকেই ভুলে থাকার জন্য। তাতে একটু অসংবেদনশীল হতেও সে রাজি।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ২৭

পেলে শুধু খেলোয়াড় নন, বহু বাঙালির কাছেই তিনি রূপকথার নায়ক। পেলে কলকাতায় যখন খেলতে এলেন, তখন তাঁকে নিয়ে প্রবল উন্মাদনা, সংবাদপত্র থেকে চায়ের আড্ডা শুধু তাঁর অলৌকিক শৈলী ও গোল নিয়েই হইচই। তারপর ম্যাচ দেখে সবাই হতাশ, তিনি মাঠে নামলেন বটে, কিন্তু খেলা তেমন কিছু দেখালেন না। এই ঘটনা থেকে আমরা দুটো শিক্ষা পাই।