

সামথিং সামথিং : পর্ব ৭০
‘এই দেশের লোকের, কর্তৃপক্ষের সাড়া পাওয়ামাত্র পেট-গুড়গুড় শুরু হয়ে যায়। বস লিফ্টে উঠেছেন শুনেই সবাই সিকনির রুমাল পকেটে ঢুকিয়ে, তাসখেলা মিনিমাইজ ক’রে, গলা-খাঁকারি দিয়ে সিধে-পিঠে বসে, যৌবনবতী কলিগের পানে পারতপক্ষে তাকায় না।’
‘এই দেশের লোকের, কর্তৃপক্ষের সাড়া পাওয়ামাত্র পেট-গুড়গুড় শুরু হয়ে যায়। বস লিফ্টে উঠেছেন শুনেই সবাই সিকনির রুমাল পকেটে ঢুকিয়ে, তাসখেলা মিনিমাইজ ক’রে, গলা-খাঁকারি দিয়ে সিধে-পিঠে বসে, যৌবনবতী কলিগের পানে পারতপক্ষে তাকায় না।’
‘ছবির শেষে জানা যাবে, এই মূল্যায়নের আগে থেকেই রাষ্ট্র ঠিক করে দিয়েছে, কেউই পাশ করবে না (গত ছ’বছর ধরে কাউকে পাশ করানো হয়নি), কারণ নতুন মানুষ এলে তাকে লালন করার ক্ষমতা এই সমাজের এই মুহূর্তে নেই। শুধু নাগরিকেরা যাতে খুব হতাশ না হয়, তাই অভিনয় করতে হয়।’
‘প্রেম কেড়ে নেওয়ার তরবারি যেমন কতটা ছেদ করে যায় বোঝা যায় না, তেমনি আরোগ্য-কাণ্ডের কোলকুঁজো স্টান্স এবং ভিটভিটে রেলাও তার তুখড় খেলা আবডালে রাখে। আগে কে জানত, তেড়ে ফুচকা খেয়ে নিলেই যে-জ্বালাটা ধরে, তেঁতুলজল আর অশ্রুজলে তফাত গুলিয়ে যায়!’
‘এই দেশে নারী হয়ে জন্মাবেন না, যদি জন্মান, পরিবারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে কদাপি যাবেন না, তাদের পছন্দের পুরুষকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে করে ফেলুন। নিতান্ত প্রেম করলে নিজের জাতের পুরুষের সঙ্গে করুন (হোয়াটসঅ্যাপে আগে কুষ্ঠি দেখুন, পরে সেক্সটিং)।’
ইরান নিজের দেশে স্বাধীনতা চায়, কিন্তু সেই স্বাধীনতা দেবে আমেরিকা ও ইজরায়েল? এমন দাবি ইরান মানবে কেন?
‘যে নতুন ফোটোগ্রাফারটি এই দলে ভিড়েছে, সে ক্রমশ হিংসা ও হত্যা দেখতে অভ্যস্ত হয়, প্রবল গুলি চলছে ও ডাইনে-বাঁয়ে লাশ পড়ছে, একটি লোক সামনে তড়পে মারা যাচ্ছে, তার মধ্যেই সেও অন্যদের মতোই ছবি তুলতে থাকে।’
কালের নিয়মে মৃত্যুশোক সকলকেই পেতে হয়। কিন্তু তার পূর্বাপর নিয়ে আমরা ভাবি কি?
‘হিংসাত্মক ন্যায়বাসনার উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে সভ্যতা কী বলে? লোকটা যা-ই করে থাকুক, হুড়মুড়-সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, এর বিচার হবে, তার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। এ-কথা শুনলে সাধারণের মুখ ভার হয়ে যায়।’
একপ্রকার উচ্ছন্নে যাওয়া গোটা পৃথিবীতে প্রায় সবাই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে যা ইচ্ছে তাই অসৌজন্য প্রকাশ করে। তবু এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা তাঁদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাঁরা এমন কিছু উদাহরণ তৈরী করেছেন যা আমাদের শেখা উচিত।
‘হরর ফিল্মে পরিবেশটাকে গড়ে তুলতে হয়, এবং শুধু স্পেশাল এফেক্টের ওপর ভরসা না করে, চরিত্রগুলোকেও তৈরি করতে হয়। ভয়ের জিনিসটাকে হুড়মুড়িয়ে এনে ফেলে পেল্লায় তুর্কিনাচন গোড়া থেকেই লাগিয়ে দিতে হবে, এই দায় পরিচালকের কাঁধে কেউ ন্যস্ত করেনি।’
কাশ্মীরে উগ্রপন্থী হানার পর প্রতি মুহূর্তে উগ্রতর পন্থার অকুণ্ঠ প্ররোচনা ও প্রতিজ্ঞা দেখে আতঙ্ক তৈরি হতেই পারে। একটা জনপিণ্ড ‘যুদ্ধ চাই যুদ্ধ কই’ লাল ফেলতে-ফেলতে লাফাচ্ছে, দেখলে দেশপ্রেমের বদলে দেশঘৃণা জাগাও স্বাভাবিক।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.