

ছায়াবাজি : পর্ব ৩৯
‘যে নতুন ফোটোগ্রাফারটি এই দলে ভিড়েছে, সে ক্রমশ হিংসা ও হত্যা দেখতে অভ্যস্ত হয়, প্রবল গুলি চলছে ও ডাইনে-বাঁয়ে লাশ পড়ছে, একটি লোক সামনে তড়পে মারা যাচ্ছে, তার মধ্যেই সেও অন্যদের মতোই ছবি তুলতে থাকে।’
‘যে নতুন ফোটোগ্রাফারটি এই দলে ভিড়েছে, সে ক্রমশ হিংসা ও হত্যা দেখতে অভ্যস্ত হয়, প্রবল গুলি চলছে ও ডাইনে-বাঁয়ে লাশ পড়ছে, একটি লোক সামনে তড়পে মারা যাচ্ছে, তার মধ্যেই সেও অন্যদের মতোই ছবি তুলতে থাকে।’
‘হিংসাত্মক ন্যায়বাসনার উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে সভ্যতা কী বলে? লোকটা যা-ই করে থাকুক, হুড়মুড়-সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, এর বিচার হবে, তার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। এ-কথা শুনলে সাধারণের মুখ ভার হয়ে যায়।’
‘হরর ফিল্মে পরিবেশটাকে গড়ে তুলতে হয়, এবং শুধু স্পেশাল এফেক্টের ওপর ভরসা না করে, চরিত্রগুলোকেও তৈরি করতে হয়। ভয়ের জিনিসটাকে হুড়মুড়িয়ে এনে ফেলে পেল্লায় তুর্কিনাচন গোড়া থেকেই লাগিয়ে দিতে হবে, এই দায় পরিচালকের কাঁধে কেউ ন্যস্ত করেনি।’
কাশ্মীরে উগ্রপন্থী হানার পর প্রতি মুহূর্তে উগ্রতর পন্থার অকুণ্ঠ প্ররোচনা ও প্রতিজ্ঞা দেখে আতঙ্ক তৈরি হতেই পারে। একটা জনপিণ্ড ‘যুদ্ধ চাই যুদ্ধ কই’ লাল ফেলতে-ফেলতে লাফাচ্ছে, দেখলে দেশপ্রেমের বদলে দেশঘৃণা জাগাও স্বাভাবিক।
‘লোকে দিব্যি দেখে যায়, অমুক নেতা মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে কদর্য সাম্প্রদায়িক কথা, তমুক নেত্রী ব্যক্তিস্বাধীনতা-বিরোধী কথা, জমুক-যুবা শিক্ষা-ঘাতী কথা বলছেন— সঞ্চালক আপত্তি জানালেও দমছেন না।’
‘‘বিউটি অ্যান্ড দ্য বিস্ট’কে উলটে দিয়ে নয়, সেই গল্পটার উপসংহার এক রেখেই লেখক-পরিচালক আমাদের চমকে দেন, কারণ রূপ যে গুণের কাছে (বিনাগুণ রূপ যে রূপরিক্ত গুণের কাছে) গো-হেরে যেতে পারে, সে-কথাটা আমাদের এক বৃহৎ ঝটকা মনে হয়।’
‘যেন সামনে মঞ্চে একটা অভিনয় হচ্ছে, আর আমরা প্রথম সারিতে সিট পেয়েছি। একক, দশক, শতক ধরে একই জায়গায় বসে দেখে যাচ্ছি, নির্বাচিত রোদবৃষ্টি।’
একজন শিল্পীর কি আপস করা উচিত? না কি আপস শিল্পীসত্তাকে নষ্ট করে?
‘মূল ছবি জুড়ে শুধু একটা বাড়ি আর একজোড়া নর-নারী, এবং বাইরের বিশ্বের প্রতিনিধি হয়ে তাদের নিরিবিলি পরিসরে হানা দিচ্ছে অন্য লোকটা। যেন একটা রিক্ত প্রান্তরে আদম আর ইভ এবং একটা অবাঞ্ছিত সাপ।’
‘পুরাকালের স্থাণু বা নব্যযুগের ঝানু— সকলেই চটজলদি সমীকরণে বিশ্বাসী। কেউ-ই মনে রাখে না, একটা গোটা গোষ্ঠী অবিমিশ্র ভাল বা বেধড়ক মন্দ হওয়া অসম্ভব (একটা গোটা মানুষের বেলায়ও তা খাটে)।’
বাঘে-শূকরে এক কুয়োতে আটকে পড়েছিল মধ্যপ্রদেশের একটা গ্রামে। বনদফতর উদ্ধার করেছে তাদের। কিন্তু এই বিপদের সময়টায় বাঘ ও শূকর খাদ্যখাদক সম্পর্ক ভুলে পাশাপাশি ছিল। বাঘ আক্রমণ করেনি আর শূকর ভরসা করেছিল। মানুষ কি এসব নীতিনিয়ম আদৌ মেনে চলে?
গোটা গ্রিনল্যান্ড কিনে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প? দেশ কি তবে এবার বিকিকিনির বাজারের পণ্য হয়ে উঠবে? ভাড়াও নেওয়া যাবে দেশ? তবে দেশ কেনাতেই আটকে থাকবে কেন? মানুষ-সংস্কৃতি সবই কিনে নেবে হয়তো! দখলরির নতুন ব্যাকরণ তৈরি হল বলে!
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.