

ডেটলাইন: পর্ব ২৮
‘আমরা ভাবি, জীবনের পথে ওঠাটাই সমস্যা, নামাটা সহজ। পাহাড়ের পথে কিন্তু ঠিক উলটো। সেটা এর আগেও টের পেয়েছি, কিন্তু ভুলে যাই বারবার। কে বলে নেড়া একবারই বেলতলায় যায়! অতএব সপাটে আছাড় খেলাম মাঝপথে…’ ডেটলাইন। পর্ব ২৮…
‘আমরা ভাবি, জীবনের পথে ওঠাটাই সমস্যা, নামাটা সহজ। পাহাড়ের পথে কিন্তু ঠিক উলটো। সেটা এর আগেও টের পেয়েছি, কিন্তু ভুলে যাই বারবার। কে বলে নেড়া একবারই বেলতলায় যায়! অতএব সপাটে আছাড় খেলাম মাঝপথে…’ ডেটলাইন। পর্ব ২৮…
‘একদিকে যেমন দেখেছি সংখ্যালঘু আশাকর্মীকে তাঁর বর প্রত্যেকদিন কর্মস্থলে এসে টিফিন দিয়ে যান, আবার এও দেখেছি যে, পঞ্চায়েত সমিতির ইলেক্টেড মহিলা মেম্বারকে তাঁর বর মোবাইল ফোন পর্যন্ত ব্যবহার করতে দেয় না। এমন বৈপরীত্য এই বাংলার বুকেই বিদ্যমান।’
‘রবীন্দ্র সদনের উলটোদিকে তখনকার মাঠে জমজমাটভাবে জরুরি অবস্থাকে যেন তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে ১৯৭৬-এর ৫ মার্চ শুরু হয়েছিল গিল্ড আয়োজিত প্রথম কলিকাতা পুস্তকমেলা। গৌরকিশোর ঘোষ, বরুণ সেনগুপ্ত, জ্যোতির্ময় দত্ত তখনও ছিলেন জেলে।’
‘এই দেশের লোকের, কর্তৃপক্ষের সাড়া পাওয়ামাত্র পেট-গুড়গুড় শুরু হয়ে যায়। বস লিফ্টে উঠেছেন শুনেই সবাই সিকনির রুমাল পকেটে ঢুকিয়ে, তাসখেলা মিনিমাইজ ক’রে, গলা-খাঁকারি দিয়ে সিধে-পিঠে বসে, যৌবনবতী কলিগের পানে পারতপক্ষে তাকায় না।’
এখনও যখন মৃতপ্রায় একজন রোগী দেখি, সেই রাতের কথা মনে করি। ওইটা যদি সম্ভব হয়, তাহলে এটাও সম্ভব। অত সহজে মানুষের জীবন যায় না। সেই রাতে যাঁরা সাথী ছিলেন, তাঁরা এখন কোথায়, জানি না। সিস্টারদের তো কোনও খবরই নেই। কিন্তু সেই মুখগুলো মনে আছে।
‘আমাকে একা রাস্তা পেরোতে দেখে গাড়ি তো দাঁড়িয়ে পড়লই, এমনকী একটা গাড়ির চালক নেমে এসে মাথা ঝুঁকিয়ে বাও করে হাত প্রসারিত করলেন, যেন আমি রাস্তা পেরিয়ে ওঁকে ধন্য করলাম! তত বাড়াবাড়ি না হলেও, থিম্পুতে বেশ লজ্জা লাগছিল এরকম রাজকীয় চালে রাস্তা পেরোতে।’
“কিছুটা হাঁটার পর নদী পড়ল। আমি তো অবাক! পেরোব কী করে? নেপালি ভদ্রলোককে মোটেই বিচলিত দেখাল না। ওদের ভাষায় বলল, ‘আমার পিঠে উঠে পড়ুন ডাক্তার! চিন্তা নেই কোনও।’”
‘ছবির শেষে জানা যাবে, এই মূল্যায়নের আগে থেকেই রাষ্ট্র ঠিক করে দিয়েছে, কেউই পাশ করবে না (গত ছ’বছর ধরে কাউকে পাশ করানো হয়নি), কারণ নতুন মানুষ এলে তাকে লালন করার ক্ষমতা এই সমাজের এই মুহূর্তে নেই। শুধু নাগরিকেরা যাতে খুব হতাশ না হয়, তাই অভিনয় করতে হয়।’
‘জরুরি অবস্থা যখন এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে সমাজদেহে জাগছিল মুক্তিব্যাকুল উসখুস। বিশেষত ছটফট করছিল সাহিত্য, সংস্কৃতি, শিল্পজগতের মানুষজন। নাটকের দলগুলি নড়াচড়া শুরু করে দিয়েছিল।’
‘ছেচল্লিশ বছরে এমন অনেক দিন গেছে, অনেক সন্ধে গেছে, যখন কেবল আড্ডাই মেরেছি। প্রসেনিয়াম থিয়েটার দলগুলোর মতো আমাদের টার্গেট পয়েন্ট ছিল না। আড্ডা দিতে-দিতে, ইচ্ছেখুশির পাল তুলে দিয়ে খেয়ালখুশির ভেলায় চড়ে আমরা কাটিয়ে দিলাম এতগুলো বছর!’
‘পাহাড়ি পথের দু’ধারের গাছে লাগানো রংবেরঙয়ের প্রেয়ার ফ্ল্যাগ। বৌদ্ধদের বিশ্বাস, এগুলো সৌভাগ্যের প্রতীক, অশুভ শক্তি থেকে বাঁচায়। কিন্তু শুধুই কি এরকম দুর্গম জায়গায় বলে এত বিখ্যাত ভুটানের আইকন এই মনেস্ট্রি?’
‘প্রেম কেড়ে নেওয়ার তরবারি যেমন কতটা ছেদ করে যায় বোঝা যায় না, তেমনি আরোগ্য-কাণ্ডের কোলকুঁজো স্টান্স এবং ভিটভিটে রেলাও তার তুখড় খেলা আবডালে রাখে। আগে কে জানত, তেড়ে ফুচকা খেয়ে নিলেই যে-জ্বালাটা ধরে, তেঁতুলজল আর অশ্রুজলে তফাত গুলিয়ে যায়!’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.