

মেডিসিনারি : পর্ব ১১
‘আজও রূপান্তরকামীরা শিক্ষিত সমাজের কাছে কৌতুকের পাত্র। অথচ তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে-অসম লড়াই চালিয়ে যান, চিকিৎসক হিসেবে আমি তার প্রত্যক্ষদর্শী। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি মাত্র…’
‘আজও রূপান্তরকামীরা শিক্ষিত সমাজের কাছে কৌতুকের পাত্র। অথচ তাঁরা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে-অসম লড়াই চালিয়ে যান, চিকিৎসক হিসেবে আমি তার প্রত্যক্ষদর্শী। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে আমার দায়িত্বটুকু পালন করেছি মাত্র…’
‘হিংসাত্মক ন্যায়বাসনার উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে সভ্যতা কী বলে? লোকটা যা-ই করে থাকুক, হুড়মুড়-সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না, এর বিচার হবে, তার একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। এ-কথা শুনলে সাধারণের মুখ ভার হয়ে যায়।’
‘বারাউনি জংশন স্টেশনে ট্রেন থেকে শুনলাম শহরগুলি ও শিল্পাঞ্চল থেকে জনগর্জন: তানাশাহি নহি চলে গা… ইন্দিরা হঠাও… বিহার তখন কাঁপছিল জয়প্রকাশ নারায়ণের ইন্দিরাবিরোধী আন্দোলনে। অর্থাৎ আমি ইতিহাসের ভিতরে ছিলাম।’
‘কত বছরই বা আগের কথা। বছর পনেরো-কুড়ি হবে। মফসসলের এক হাসপাতালের অপারেশন ঘর। অপারেশন টেবিলে লাইগেশন অপারেশন। রোগীর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ও মৃত্যু। সমস্ত হাসপাতালে দমবন্ধকর অবস্থা। অনিমেষের আহ্বানে সব ডিপার্টমেন্টের ডাক্তাররা ওটিতে হাজির।’
‘মেট্রো থেকে যখন টালিগঞ্জে নামছি, তখন আরেক দফা হুড়মুড়িয়ে নামল আকাশ ভেঙে। বুঝলাম, আজ কপালে প্রভূত দুঃখ অপেক্ষা করে আছে। এই মুষলধার বৃষ্টিতে কতক্ষণ যে লাইনে দাঁড়াতে হবে, কেউ জানে না, অটো পাওয়া তো অনেক পরের কথা।’
কতগুলো গুজব এখানে ছিল, যার কিছুটা সত্যিও— সেগুলোর মধ্যে একটা, মন্টুদার সঙ্গে সুচিত্রা মিত্রের খুব বন্ধুত্ব, সে এতটাই বন্ধুত্ব ছিল, প্রেম হিসেবে আমরা ধরে নিতাম। একদিন আড্ডায় সুচিত্রা মিত্রের প্রসঙ্গ উঠল…
‘একঝলক যা দেখলাম, তাকে অবাধ যৌনতা ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। হতবাক আমি এবং ক্যামেরাম্যান। সঙ্গে সঙ্গে পিছন ফিরে নামতে শুরু করেছি। কৌতূহলের চক্করে রাতবিরেতে এরকম একটা গা ঘিনঘিনে পরিবেশে এসে পড়ে নিজের ওপর রাগ হচ্ছিল।’
‘হরর ফিল্মে পরিবেশটাকে গড়ে তুলতে হয়, এবং শুধু স্পেশাল এফেক্টের ওপর ভরসা না করে, চরিত্রগুলোকেও তৈরি করতে হয়। ভয়ের জিনিসটাকে হুড়মুড়িয়ে এনে ফেলে পেল্লায় তুর্কিনাচন গোড়া থেকেই লাগিয়ে দিতে হবে, এই দায় পরিচালকের কাঁধে কেউ ন্যস্ত করেনি।’
কবিতা লেখা একটা ডায়েরি আমাকে দিয়ে বলল, পড়বেন, ভুল মনে হলে কারেকশন করে দেবেন। আমি বললাম, পড়ব নিশ্চয়, কিন্তু কারেকশন করতে পারব না। বরং নেক্সট চেক-আপে যখন তুমি আসবে, কেমন লেগেছে কবিতাগুলো, তখন মতামত জানাব।
‘গোস্বামীবাবুর বইটি বাংলা ভাষায় লেখা বাংলা অক্ষরজ্ঞান, ভাষাশিক্ষা ও নীতিশিক্ষা সম্পর্কিত পাঠ্যপুস্তকের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস। বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন স্বপন বসু। অতীতচারণায় এসেছে প্রাচীন ও মধ্যযুগের পাঠক্রম থেকে বিংশ শতাব্দীর তিনের দশক পর্যন্ত ইতিবৃত্ত।’
‘বড় রুমাল একটি মাথায় বেঁধে দু’পাশে ঝুলিয়ে সুনীলদা আমারও রুমালটি ওইভাবে বাঁধলেন, গেলাসে চুমুক দিতে-দিতে সুনীলদা বললেন, মরুদ্যানে ধাবায় হাইওয়ের ধারে বেদুইনরা এভাবেই মদ খায়।’
‘অথচ দিন ছিল তো বেশ ঢালু/গড়াত রোদ নীল জলের দিকে/এখানে তাও প্রবাদ আছে চালু,/সহানুভূতি পায় না দুঃখীকে। আবার কোনও বসতি-অবসরে/চিঠির ভাঁজে বানিয়ে নিয়ো বিমান…/তোমার হাতে ক্ষয়ক্ষতির পরে/বিষাদ মাপে অবসানের সীমা।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.