
শুধু কবিতার জন্য: পর্ব ৪৮
‘তোমারও ঘুমের রং কফির মতোই নীল কড়া ও কাফের/ যেমন নাটক ছিল পাড়ার মলিন স্টেজে ছোটকাকাদের/ তেমনই তোমার মন দুটো ছোট হাততালি জড়িয়ে ঘুমোয়/ বিরহ রাহুল দেব গুলজার হয়ে এসে পাশ ফিরে শোয়’

‘তোমারও ঘুমের রং কফির মতোই নীল কড়া ও কাফের/ যেমন নাটক ছিল পাড়ার মলিন স্টেজে ছোটকাকাদের/ তেমনই তোমার মন দুটো ছোট হাততালি জড়িয়ে ঘুমোয়/ বিরহ রাহুল দেব গুলজার হয়ে এসে পাশ ফিরে শোয়’

‘আমাদের সময়ের কবি, সে-সময়ে সুপরিচিত ছিলেন; তিনি ছিলেন ওই নাবিক সংগঠনে। তবে তিনি নাবিক ছিলেন না। ওই সময়ে খিদিরপুর বন্দরে থামা একটি গ্রিক জাহাজ ঘুরে-ঘুরে দেখেছিলাম। দীপক ছবি তুলেছিলেন।’

বাবা ফরিদের শ্লোকে একদিকে যেমন চরম বৈরাগ্য, জীবনের সব আকর্ষণ তুচ্ছ করে সংযমের কথা আছে, বারবার আছে মৃত্যুর অনিবার্যতার কথা, তেমনই এসবের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করেছে পরম সত্তার সঙ্গে মোলাকাতের জন্য অস্থিরতা। ‘সিন্ধুপারের সুফি’ পর্ব ২-এ পড়ুন ‘বাবা ফরিদউদ্দিন মাসুদ শকর্গঞ্জ’ সংক্রান্ত লেখার দ্বিতীয় কিস্তি…

“নাসা চত্বরে আরও দুর্ধর্ষ সব দেখার জিনিস রয়েছে। এয়ারপোর্টে যেমন প্লেনের হ্যাঙার থাকে, এখানেও তেমন আছে। সেখানে স্পেস শাটল থেকে রকেট সব দেখতে পাবেন। যত ইচ্ছে ছবি তুলুন, নিজেকে মহাকাশচারী কল্পনা করে পোজ দিন। এমনকী একসময়ে সত্যি মহাকাশযাত্রা করেছে, ‘অ্যাপোলো’ ১৭-র মতো যানও রাখা আছে।”

‘আমরা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর-রা একটা সময়কে ডকুমেন্ট করি; দর্শক যে-রকম স্বচ্ছন্দে কোনও রিল বা ভিডিও দেখেন, সেটা বানানোর নেপথ্যে কিন্তু সেই স্বচ্ছন্দ গতিটা থাকে না, এটা দীর্ঘ পরিশ্রম ও সময়সাধ্য কাজ। ফলত এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আমাদেরও ভেবে ক্লান্তি হয়, পরের দিন আবার একটা নতুন ভিডিও শুট!’

‘দুরন্ত খেলোয়াড়দের অটল ঈশ্বরবিশ্বাস দেখে কেউ জিজ্ঞেস করতে পারে, এঁরা যখন হেরে যান, বা সহজ শট ফসকান, তখন ঈশ্বরকে দায়ী করেন কি? কিংবা জেমাইমাই যে-দুটো লোপ্পা ক্যাচ তুলেছিলেন ওই ম্যাচে, যদি সেগুলো ফিল্ডাররা ধরে নিতেন, তাহলে কি ঈশ্বরের দোষ দেওয়া হত?’

‘একদিন অফিসে আমার টেবিলের সামনে এসে পরিচয় দিলেন তিন নাবিক। একজনের পরনে পেতলের বোতাম আঁটা ধূলিধূসরিত নীলচে জ্যাকেট, মাথায় গল্ফ ক্যাপ, বাকি দু’জনের ওই ধাঁচে জোব্বা, ঝোলা… করমর্দনের হাত বাড়ালেন জীবনযুদ্ধে লড়াকু তিন জলমানব।’

কত বিচিত্র পথে হেঁটেছেন ফরিদ। জন্মস্থান থেকে কাবুল গেছেন ধর্মতত্ত্ব পড়তে— তাঁর গুরু ফকির কুতবুদ্দিন বখতিয়ার কাকি প্রথমে তাঁকে শিষ্য হিসেবে মেনে নেননি, বলেছিলেন আরও লেখাপড়া শিখে এসো বাপু, তবে ছাত্র করে নেব তোমায়। ফরিদ তাই গিয়েছিলেন কাবুল। কিছুকাল পড়াশোনা করে ফিরে আসেন। শিষ্যত্ব মেলে। ফরিদ দিল্লি এসেছেন অনেকবার।

‘বিলি ওয়াইল্ডার একজন মাস্টার গল্প-বলিয়ে। এই গোটা ছবি জুড়ে প্রায় ব্যাকরণ বইয়ের উদাহরণের মতো গল্প বলার প্রাথমিক টেকনিকগুলির প্রদর্শনী তৈরি করে গেছেন তিনি। চাইলে খুব সহজেই একজন শিক্ষানবিশ তাঁর কাছ থকে এগুলি ধার করতে পারেন।’

‘লন্ডনের রাস্তায় প্রাচীন লোহার ঢাকনার কাছে কান পাতলে, আমি শুনতে পাই টেমসের জলস্রোতের শব্দ। আমেরিকার অনেক শহরে একটুকরো শিল্পকর্ম খোদাই করা থাকে ওই ঢাকনার ওপর। বহু জায়গায় লেখা থাকে মেড ইন ইন্ডিয়া। হিউস্টনেও ফুটপাথে নজর করে দেখলাম, ভারতে তৈরি এই লোহার ঢাকনা।’

‘আমিও ঢাকের কাঠি থেকে হাত সরিয়ে নিয়েছি অনেকদিন হল। মনে-মনে কত কী বিসর্জন দিতে হল এই ক’বছরে, আর কানে-কানে শুনতে পেলাম সেই ম্লান ঢাকের বাদ্যি, সে আর বলার না। বিষণ্ণতা আসলে এক শেষ-না-হতে-চাওয়া পূজা পর্যায়, আর দূর থেকে ভেসে আসা ঢাকের আওয়াজ আসলে হেমন্তকালের ডাক।’

‘তা-ই হয়, আমাদের শত সংসারে আমাদের শিশুকন্যার নিগ্রহ আমরা ‘চুপ চুপ’ রবে চাপা দিতে উন্মুখ হই, আত্মীয়টির (বা অনাত্মীয় শিক্ষকটির) মুখোমুখি হই না, কী দরকার বাবা শান্তি বিঘ্নিত করে, হইচই বাগালে সকলেরই ঝঞ্ঝাট। স্মৃতির অনেকগুলো স্তর এতদিন চাপা পড়েছিল, নায়িকার চেষ্টায় তারা পর পর খুলে যেতে থাকে এবং নায়িকা বোঝে, সেই পুরুষ (এখন প্রবল বিখ্যাত কোচ) আসলে এক অপরাধী, নারী-শিকারী, অনেকের সঙ্গেই এমন করেছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.