

সংবাদ মূলত কাব্য: পর্ব ২০
“জলপাই কাঠ দিয়ে কি এসরাজ তৈরি হয়? আমি জানিনা। ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ নামটি আমার মাথায় এসেছিল, অতি সুন্দর কয়েকটি ছবি দেখে।”
‘সংবাদ মূলত কাব্য’। পর্ব ২০
“জলপাই কাঠ দিয়ে কি এসরাজ তৈরি হয়? আমি জানিনা। ‘জলপাই কাঠের এসরাজ’ নামটি আমার মাথায় এসেছিল, অতি সুন্দর কয়েকটি ছবি দেখে।”
‘সংবাদ মূলত কাব্য’। পর্ব ২০
‘ভাল মাঞ্জার জন্য যা যা সরঞ্জাম দরকার সব ওরাই কিনে আনত দোকান থেকে, কিন্তু আসল মন্ত্র ছিল কাচের গুড়ো। ওইটি ঠিকঠাকভাবে সুতোর গায়ে মাখিয়ে রাখতে পারলেই কেল্লা ফতে। এ-বাড়ি ও-বাড়ি থেকে বাতিল বোতল চেয়ে এনে বস্তায় পুরে শিলনোড়া দিয়ে সেসব কাচ ভাঙার কাজ চলত।’
‘সপ্তাহের দিনগুলোতে একরকম আর সপ্তাহান্তে আরেকরকম শিডিউল। আমরা মলের ভেতর স্যুভেনির শপে গিয়ে দু-চারটে জিনিস কিনতে না কিনতে তাড়া লাগালেন ড্রাইভার কাম গাইড। লেকের ধারে পৌঁছে দেখি লোকে লোকারণ্য। অনেক আগে থেকেই সবাই ভাল জায়গা দখল করে দাঁড়িয়ে আছে।’
‘রাজনৈতিক রণাঙ্গণে বহু রক্তপাত ঘটিয়ে, অনেক অশ্রুপাতে মুখ থুবড়ে পড়েছে যাবতীয় বৈপ্লবিক প্রচেষ্টা। কিন্তু মেয়েরা বাংলার সমাজক্ষেত্রে একটি নীরব বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে বিগত তিন-চারটি দশকে।’
‘সংবাদ মূলত কাব্য’। পর্ব ১৯
‘এছাড়া লোককে ভক্তিতে তটস্থ রাখার জন্য সামান্য কিছু দড়িদড়ার জোগাড় দেখতে হয়, নিষেধের পেরেক বিছিয়ে রাখতে হয়, যাতে সে সিধে সজাগ হয়ে চলে। আসল বার্তা হল: সবাইকে ভালবাসো, বিশেষত নিজের ধর্মকে। এবং সেই অনুরাগ জঙ্গি হওয়াই ভাল।’
‘আর কিছু পারে না নিজেকে এক্সপ্রেস করার জন্য? জামা খুলে খুলে নিজেকে এক্সপ্রেস করতে হবে? একজন ব্যক্তির যদি অর্থ ছাড়া আর কিছুই না থাকে নিজেকে এক্সপ্রেস করার, সে তো অবশ্যই গরীব।’
‘নীলা-নীলাব্জ’। পর্ব ১৮…
‘…শুনলাম, কোন ম্যাজিকে বালির ওপর দাঁড়িয়ে আছে এত উঁচু বাড়ি। অনেকটা নীচে কংক্রিট পাইল করে, ওপরের জমিতে পাথর আর কংক্রিট দিয়ে বেঁধে তবে দাঁড় করাতে হয়েছে স্থাপত্যের এই বিস্ময়কে। শুনে নতুন করে আর অবাক হলাম না যে, এই হোটেলে আছে আন্ডারওয়াটার রেস্তরা।’
‘ডেটলাইন’ পর্ব ৩১…
‘এমনিতে ছবির ভঙ্গিটা কেজো, যেন, যা হচ্ছে তা দেখাচ্ছি, ওরা কথা না বললে আমি তো আর সংলাপ তৈরি করে দিতে পারি না। চরিত্র দু-জনকে দেখানো হয় কোনও একটা দোকানে ঢুকে খাবার কিনছে, ফুটপাথ দিয়ে হাঁটছে, কোনও খেলার দোকানে ঢুকে স্ক্রিনে একবার কাটাকুটি খেলল, ভারী সুটকেসটা স্টেশনের সিঁড়ি দিয়ে টানতে টানতে তুলছে, টিকিট নেই বলে মেট্রো রেলের গেটের তলা দিয়ে গলে বেরিয়ে গেল। কিন্তু ছোট ছোট আঁচড়ে বহু কথা বলা হয়।’
‘মনে পড়ছে এখনও টেরাকোটার কাজ করেন এমনই শিল্পী পরিবারগুলিতে গিয়েছিলাম মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে। দু-এক বছর ঘুরতে, মাস্টারমশাই লাজুক ভঙ্গিতে দিয়েছিলেন তাঁর একমাত্র কবিতার পুস্তিকাটি। ছাত্র বয়সে লিখতেন কবিতা। তখন আমি সদ্যতরুণ, সে-পুস্তিকা পড়েছিলাম। কিচ্ছুটি হয়নি।’
রবি-সোমের মধ্যে যে শাশুড়ি-বউমার সম্পর্ক, তা আমি দিব্য নিজের মতো করে গুছিয়ে নিতে পেরেছি। শাশুড়িকে তদগত হয়ে বউমার আদর করতে দেখেছি, আবার বউমাকে খুব শ্রদ্ধা নিয়ে শাশুড়ির যত্ন নিতে দেখেছি। এখন রবি আর সোমের মধ্যে কে শাশুড়ি, কে বউমা, এই প্রশ্ন আবার আমার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
‘ষাট-সত্তরের কোঠায় বয়স হলে আজকের ইয়াঙ্গনে পা রাখার আগে নিশ্চয়ই ভেবেছিলেন, কিশোরবেলার নায়ক বিপ্লবী সব্যসাচীর খোঁজে ঘুরে আসবেন শরৎচন্দ্রের পাড়া। সে গুড়ে বালি, কেউ আপনাকে এতটুকু হদিশ দিতে পারবে না!’
‘অনেক চিন্তাবিদ, কবি, লেখক সপ্তাহে দু’দিন বসেন আমাদের বাড়ির একতলার একটি ঘরে, যেখানে একটি ঢালাও তক্তাপোশ, গোটা চারেক চেয়ার, দু-তিনখানা মোড়া, একটা লম্বা বেঞ্চি, দুটো টুল আছে। পুরনো বই, চটা-ওঠা দেওয়াল, সিগারেট, চা, পান, বিড়ি— সব মিলিত একটা সোঁদা-মিঠা গন্ধ আছে।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.