ভিডিও

দেবশঙ্কর হালদার

স্পটলাইট: পর্ব ৫

মঞ্চ এক আশ্চর্য জিনিস। তার ওপর হঠাৎ কোনও অপ্রস্তুত দুর্বিপাক অভিনেতার কাছে আশির্বাদ হয়ে উঠতে পারে, কখনও তা দাঁড়ায় অভিশাপে। যতই আগে থেকে পা মেপে, ফিতে ধরে, উইংস গুণে অভিনয়ের ছক কষা থাক না কেন, সে সেই মুহূর্তে নিজ মহিমাগুণে অভিনেতাকে ভেল্কি নাচন নাচিয়ে দিতে পারে। তা কখনও দর্শকের কাছে হয়ে ওঠে প্রাপ্তি আর অভিনেতার কাছে দুঃস্বপ্ন, আবার কখনও বা ওখান থেকেই তৈরি হয় ওই মুহূর্তের অমরত্ব। স্টেজের জাদু।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৬

ক্যারেন আর রিচার্ড কার্পেন্টার। দামাল সত্তরের রক প্রেক্ষাপটে সহজাত ভঙ্গীতে প্রেমের গান গেয়ে খ্যাতির শীর্ষস্থানে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই দাদা আর বোনের ‘ভোকাল ডুও’, আমেরিকান পপ-রক সঙ্গীতের সম্ভারে যে অসাধারণ গানের ডালি উপহার দিয়ে গিয়েছিলেন, তার জুড়ি মেলা ভার। ‘টপ অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ থেকে ‘সলিটেয়ার’, ফিরে দেখা, সহজ, সরল গান গাওয়াকে।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৫

‘কবির সঙ্গে দেখা’র নিয়ম থাকে, যে-সমস্ত কবির সঙ্গে দেখা হয়নি শ্রীজাতর, তাঁদের কবিতা পড়া। কিন্তু এবার সেই নিয়ম ভেঙে হাজির হয়েছেন শঙ্খ ঘোষ। তিনি আজ নেই, কিন্তু তাঁর কবিতা আমাদের আজও আচ্ছন্ন করে রেখেছে। এবারের কবিতা-পাঠ ‘সীমান্তবিহীন দেশে-দেশে’ নামক তাঁর শেষ কাব্যগ্রন্থ থেকে।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৫

আবিষ্কার হয়েছে চালকহীন গাড়ি। শুনে অনেক ভাবছেন, ‘যাক, ড্রাইভারের ঝামেলা মিটল’, অনেকে ভাবছেন, ‘পেছনের সিটে ইন্টু-মিন্টু করার আর বাধা রইল না।’ কিন্তু এই আবিষ্কারের কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। অ্যাক্সিডেন্ট হলে গণধোলাই দেওয়া হবে কাকে? কার ওপর যখন তখন প্রভুত্ব ফলাবে অহং-বাজ মধ্যবিত্ত? চালকের অস্তিত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব।

শ্রীজাত

কবিতার আড্ডাঘর: পর্ব ১৩

অন্য কথায়, অন্য মানুষের কথায় মিশে থাকা নিজের মনের অনুভূতি। এ কবিতা যেমন অন্যের, তেমন তাঁরও। এ কবিতা আদত উদুর্তে জাভেদ আখতারের, অনিবাদে শ্রীজাত। কিন্তু কবি যে কখন অনুবাদকের অনুভূতির মধ্যে চাড়িয়ে গিয়ে তৈরি করেন আশ্চর্য এক মিশেল, তা বোঝা দায়। তাই এ কবিতা যেমন জাভেদ আখতারের, তেমন শ্রীজাতর। আসলে অনুবাদ কবিতা না ভেবে বরং, মিশ্র-অনুভূতির কবিতা বলাই ভাল।

দেবশঙ্কর হালদার

স্পটলাইট: পর্ব ৪

নাটকের মধ্যে যখন এক জন অভিনেতা থাকেন, তখন তাঁর মনে সচেতনতার একটা ভিন্ন স্তর তৈরি হয়। সেই স্তরের অনুভূতি কিন্তু অভিনেতার মনের ভেতরে এক অন্য রকম নাটক তৈরি করে। যে নাটকের মোহে অভিনেতা মূল নাটক এবং নিজের মনের মধ্যে চলতে থাকা নাটকের মধ্যে বার বার যাতায়ত করেন। সেই নাটকীয়তা নিয়ন্ত্রণ করাটা কিন্তু খুব সহজ ব্যাপার নয়। অতিনাটকীয় বলে যে দুয়ো দেওয়ার চল রয়েছে, তা কিন্তু বুঝে দেওয়াই ভাল কারণ নাটকীয়তার একটা নিজস্ব চলন আছে, নাটকে এবং অভিনেতার মনের মধ্যে। আর সেই দুইয়ের মধ্যে সংযোগ খুব কম।

উপল সেনগুপ্ত, চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১৩

রাজা মাইডাস দেবতার কাছে বর চেয়েছিলেন যে, তিনি যাই ছোঁবেন তা যেন সোনা হয়ে যায় অর্থাৎ তাঁর সব কাজে যেন সাফল্য আসে। কিন্তু দেবতা তা আক্ষরিক অর্থে গ্রহণ করে যে বর দেন, তাতে রাজা মাইডাস বেজায় বিপদে পড়লেও আক্ষরিক বরের গুণে সম্পদশালী হয়ে ওঠেন। কিন্তু পরে রাজারই বুদ্ধিতে দেবতা পড়েন বিপদে। আর গানে বলা হচ্ছে যে মার-ই হল আদর্শ একটি শব্দ, যার প্রয়োগ ভাল-খারাপ নির্বিশেষে মানুষকে ছুঁয়ে যায়।

অনুপম রায়

ক্যাসেট কথা: পর্ব ১৫

পাঙ্ক রক্‌ কাকে বলে? আগাপাশতলা ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক যাকে বলা হয়, তার শুরু কি পাঙ্ক রক্‌ থেকে? মূলশ্রোতের জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যাওয়া একটা ব্যান্ড কি তার পাঙ্ক রক্‌ মূল্যবোধকে পেছনে ফেলে আসে, দামাল যৌবনের হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর মতো? অথ গ্রিন ডে কথা।

ডাকবাংলা.কম

কলকাতা লিটারারি মিট

যাঁরা বইপ্রেমী, ভালবাসেন সংস্কৃতির নানান দিক, তাঁদের কাছে টাটা স্টিল কলকাতা লিটারারি মিট (২২-২৭ মার্চ) এনে দেবে অনাবিল আনন্দ, প্রাণের আরাম আর ভাবনার সমৃদ্ধি। এই উৎসবে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি রয়েছে একাধিক বাংলা অধিবেশন। আর ডাকবাংলা.কম যেহেতু এই সাহিত্য উৎসবের এক আত্মীয়ও বটে, তাই সে এই আত্মীয়তার সূত্রে জড়িয়ে নিতে চায় তার গ্রাহকদের।

চন্দ্রিল ভট্টাচার্য

এক শালিক: পর্ব ১৪

অমরত্ব বলতে আমরা বুঝি চিরযৌবন। মনে মনে যখন ভাবি, ইশ! যদি পঁচিশ বছর বয়সে ফিরে যেতে পারতাম ভারি ভাল হত। আসলে, আমরা চাই ৬২ বা ৭২ বছর বয়সের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা আর মস্তিষ্ক নিয়ে যৌবনে ফিরে যেতে। এক বারও ভাবি না যে পঁচিশে ফিরে গেলে, মস্তিষ্কও সেই বয়সের মতোই থাকবে এবং অভিজ্ঞতাও। এবং সারা জীবন ধরে যে ভুল ও ঠিক করে চলেছি, সেই সবই করে চলব। সুতরাং দ্বিতীয় সুযোগ হল প্রথম ভুল- ঠিকের পুনরাবৃত্তি মাত্র।

শ্রীজাত

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ১৪

ঈশ্বর গুপ্ত এমন এক জন কবি যাঁর ছোঁয়ায় বাংলা ভাষা বেঁচে উঠেছে, উজ্জীবিত হয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার বহমান স্রোতের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্য শুরুর দিকের কবি তিনি, পরলোক গমন করেছেন ১৮৫৯ সালে, অথচ কী আধুনিক, কী উদার মন। তাঁর কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয়, আমরা তখন কত এগিয়ে ছিলাম মানসিকতার দিক দিয়ে, সেই উদারমনস্কতা বয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমরা পালন করতে পারব তো?

ডাকবাংলা.কম

দুই হুজুরের গপ্পো: পর্ব ৩

বড় ম্যাচের আগে ইস্টবেঙ্গলের শরীরী ভাষা অনেক আগ্রাসী, আত্মবিশ্বাসী। সেদিক থেকে ইস্টবেঙ্গল হয়তো এগিয়ে। তবুও, মনোরঞ্জন কেন শেষ দু-বছর খেললেন মোহবাগানে? মাঠের দুই ওস্তাদ মুখোমুখি।