
সুর ও সাধনা
‘সুধীন দাশগুপ্ত এবং সলিল চৌধুরী, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের সংগীত জীবনের দু’টি ‘কী নোট’। সুধীন দাশগুপ্তর সুর-সৃষ্টির সমগ্র প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন জটিলেশ্বর। গুরুর প্রভাব তাঁর গানে যে বিশেষ মাত্রা এনে দিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য।’

‘সুধীন দাশগুপ্ত এবং সলিল চৌধুরী, জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের সংগীত জীবনের দু’টি ‘কী নোট’। সুধীন দাশগুপ্তর সুর-সৃষ্টির সমগ্র প্রক্রিয়ায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন জটিলেশ্বর। গুরুর প্রভাব তাঁর গানে যে বিশেষ মাত্রা এনে দিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য।’

‘আমাদের দেশের আরও বহু শিল্পী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছেছেন তাঁদের নিজেদের ক্ষমতায় এবং যোগ্যতায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতীয় সংগীতকে সফলভাবে পৌঁছে দিয়েছেন প্রথমে উদয়শঙ্কর এবং তারপরে আরও বিস্তৃত পরিসরে রবিশঙ্কর।’

‘১৯৫৩ সালে গণনাট্যর বম্বে সম্মেলনে বাবার সঙ্গে এই নিয়ে ওঁর তর্কটা হয়। বাবার বক্তব্য ছিল, এই দেশের লোকের কাছে পৌঁছতে হলে লোকজ সুরকে মাধ্যম করা উচিত। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্কেস্ট্রেশনের বিপদ আছে। সলিলের তর্ক ছিল, তবে কি লোকোমোটিভের যুগে লোকে গরুর গাড়ি চড়বে?’

‘আমার মনে হয়, সলিল চৌধুরীকে বুঝতে গেলে, সবচেয়ে জরুরি এটা বোঝা— তিনি কীভাবে এখানকার ভোকাল মেলোডিকে ভেঙে, সম্পূর্ণ নতুন একটা রূপ দিলেন। এমনকী পাশ্চাত্যেও সুরের কতগুলো নির্দিষ্ট সরলরৈখিক চলন আছে, কিন্তু সলিল সেটাকে আত্তীকরণের সময়ে সরলরৈখিক রাখলেন না।’

“সলিল চৌধুরী তখন বাসু চ্যাটার্জিকে বলেছিলেন, ‘ছবিটা আমাকে দিন, আমি ১০,০০০ টাকায় করে দেব।’ এরপরেই চুক্তি পাকাপোক্ত হয়ে যায়। সলিল আগ্রায় গিয়ে লোকেশন দেখেন এবং ব্রজভাষার কয়েকটি লোকগান রেকর্ড করে আনেন, যা পরে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরে ব্যবহৃত হয়।”

সলিল চৌধুরী যেভাবে আমাদের দেশের সংগীতের সঙ্গে পশ্চিমি সংগীতের মেলবন্ধন ঘটাতে পেরেছিলেন, তার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল একটা ‘তৃতীয় ধারা’।
বাঙালি রবীন্দ্রনাথের গানের সঙ্গে নাচের সম্মিলন দেখেছে, দেখেছে নজরুল-এর গানের সঙ্গেও। ‘মান্না দে-র গানের সঙ্গে নাচ!’— প্রাথমিকভাবে শুনে বিস্ময়কর মনে হলেও, সম্প্রতি কলকাতা শহর সাক্ষী থাকল এক বিরল শিল্পভাবনার।

‘অন্ধকারের গান বাঁধলেও মানুষ হিসেবে কিন্ত ভারী মিষ্টি ছিলেন অজি। পুরোটাই উনি করেছেন সুন্দর রসবোধের মাধ্যমে, মজার সঙ্গে। এটাই ভীষণ অনুপ্রেরণা দেয় আমাকে। ‘Changes’, ‘Dreamer’, ‘Mama I’m coming home’-এর মতো গান ওঁর ভীষণ সংবেদনশীল একটা দিককে সামনে আনে।’

হারিয়ে যাচ্ছে মূল সংগীত, থেকে যাচ্ছে ভাইরাল অংশটুকু। সংগীত এবং তার উৎস এককালে ছিল গানের জগতের মূল বিষয়। কিন্তু বর্তমান সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে

‘‘ওই ন’টা কুড়ি থেকে, সাড়ে ন’টা-ন’টা চল্লিশ অবধি আড্ডাটা চলত। বিচিত্র সেই আড্ডার বিষয়! এ-ওর পিছনে লাগা, গান-নাচ নিয়ে নানা কথা, এমন কত কী! অশেষদা, অশেষ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেই আড্ডার কর্ণধার ওরফে মধ্যমণি। মোহরদি, মঞ্জুদি, বাচ্চুদি, মাধবদা— এমন অনেকে ছিলেন এই আড্ডার অঙ্গ! তবে সংগীত ভবনের আড্ডার, প্রাণ ছিল ‘গান’।’’

‘তাঁকে যখন ভরা গানের আসরে একদা এক শ্রোতা জিজ্ঞেস করেছিলেন, কী এমন দুঃখ তাঁকে জড়িয়ে আছে যে এত দরদ তাঁর গানে, থম মেরে গিয়েছিলেন, গলা ভারী হয়ে গিয়েছিল, মজা করে বলেছিলেন, মেরা তো বেগম হ্যায়, মেরা কোই গম নেহি।’

‘বাস্তবিক দুঃখ হয় অন্য কারণে যে, ৩৬ বছর বয়সে একজন মানুষ চলে গেলেন, তার ওপর ওরকম শিল্পী, সালটাও ১৯৬৬ । ১৯৬৬ সাল, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এক-একজন দিকপাল। দাপিয়ে পান্নালালেরও বেড়ানোর কথা ছিল!’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.