

আশ্রয় পান্নালালই
‘বাস্তবিক দুঃখ হয় অন্য কারণে যে, ৩৬ বছর বয়সে একজন মানুষ চলে গেলেন, তার ওপর ওরকম শিল্পী, সালটাও ১৯৬৬ । ১৯৬৬ সাল, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এক-একজন দিকপাল। দাপিয়ে পান্নালালেরও বেড়ানোর কথা ছিল!’
‘বাস্তবিক দুঃখ হয় অন্য কারণে যে, ৩৬ বছর বয়সে একজন মানুষ চলে গেলেন, তার ওপর ওরকম শিল্পী, সালটাও ১৯৬৬ । ১৯৬৬ সাল, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন এক-একজন দিকপাল। দাপিয়ে পান্নালালেরও বেড়ানোর কথা ছিল!’
‘হাহাকারের ধৈবত নিয়েই বিসমিল্লাহ-র বিশ্ব। বিসমিল্লাহ খাঁ-কে বাবরি পরবর্তী রামমন্দির দেখে যেতে হয়নি। হোলি বলতে তিনি শুধুই বুঝতেন হোরি, কাজরির সমাহার।’
‘‘কোয়াইট বিটল’ জর্জ হ্যারিসনের বড়জোর দু’টি করে গান প্রতি অ্যালবাম পিছু থাকবে বলে এমনই কিছু অঘোষিত নির্দেশিকা ছিল লেনন-ম্যাকার্টনি ডুয়োর। এবং এই প্রসঙ্গেই গান লেখার ইতিহাস।’
‘অমৃতসরের গলিতে রফির পাড়ায় এক ফকির আসতে গান গাইতে-গাইতে মাধুকরী করতে। সেই ফকিরের সুরে আচ্ছন্ন রফি হাঁটতেন তাঁর পিছন-পিছন। মন থেকে তাঁকেই নিজের গুরু ভেবেছিলেন ছোট্ট রফি।’
‘নজরুলের মতো গিরীন্দ্র কাকতালীয়ভাবে কোনও দেশের জাতীয় কবি না হওয়ার কারণে গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা হিসাবে কলকে পেলেও, তাঁর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। অথচ প্রতিভা তাঁর তো কিছু কম ছিল না।’
আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক বদল এমনভাবে ঘটে চলেছে, একদিন দুটো শ্রেণিই শুধু পড়ে থাকবে। বড়লোক এবং গরিব। মাঝে যারা পড়ে রইল, তারা কি আদৌ নিরাপদ? এই নিয়েই অনুপম রায়ের গান ‘মধ্যবিত্ত ট্র্যাপ’।
ভারতের স্বাধীনতা লাভের ৭৫ বছর পূর্তির উদ্যাপন উপলক্ষে, সৌম্যজিৎ-সৌরেন্দ্রর রূপায়িত ভারতের জাতীয় সংগীতের এই বিবর্ধিত সংস্করণটি বোনা হয়েছে গোটা দেশের ৭৫ জন শিল্পীকে নিয়ে। কথোপকথনে কলকাতা জুটি।
‘শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের বিভিন্ন প্রজন্মকে অনুষ্ঠান বা সঙ্গীতমেলায় গাইবার-বাজাবার সুযোগ পেতে বিভিন্ন রকম স্ট্র্যাটেজি বানাতে হয়েছে, কারণ একের পর এক অনুষ্ঠান বা কনসার্টের আমন্ত্রণ আসছে, এই ধরনের তারকা শিল্পী কেবল হাতেগোনা কয়েকজনই হন। বাকিদের নিজেরটা নিজেই বুঝে নিতে হয়, যেমন যুগের পর যুগ ধরেই হয়েছে।’
‘১৯২০-র হিলবিলি মিউজিক বা হঙ্কি-টঙ্ক থেকে পরে স্থায়িভাবে কান্ট্রি হয়ে যাওয়ার রাস্তায় প্রথম হিট রেকর্ড হিসেবে ধরা হয় জন কার্সনের ‘লিটল ওল্ড লগ কেবিন ইন দ্য লেন’কে। যে-নৈকট্যের কথা বলছিলাম, সাগর পেরিয়ে আমাদের নাইনটিজে বাংলা গানের ঝুঁটি ধরে ঘোরানো গৌতম-সুমনের কলকাতা এমনকি খোদ মফস্বল কিভাবে তাদের কলেজ-শুরুয়াতে কান্ট্রিকে কাছে টেনে নিল, তার জবরদস্ত উত্তর পেয়ে যাই হ্যাঙ্ক উইলিয়ামসের কথায়— ‘Folk music is sincere. There ain’t nothin’ phony about it.’
গ্র্যামি-বিজয়ী ‘ভারতীয়’ শিল্পীরা তাঁদের পুরস্কার গ্রহণের ভাষণে ভারতীয় ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে, দেশ-দর্শনে ত্যাগ-তিতিক্ষা-সহিষ্ণুতার কথা বললেন, কিন্তু সুকঠিন বাস্তবের কোনো প্রসঙ্গ তুললেন না। আর তাই প্রশ্নগুলো রয়েই গেল— এই অন্তর্ভুক্তি, এবং প্রধানমন্ত্রী-অভিবাদিত এই গ্র্যামি, ঠিক কোন ভারতের?
‘ভাবছেন বোধহয়, আপনার সবচেয়ে প্রিয় ‘জিঙ্গল বেল্স’ (Jingle Bells) নিয়ে কোনও কথা এখনও বলা হল না কেন? এই অতিকথাটা এবার ভাঙার সময় হয়ে এসেছে। ‘জিঙ্গল বেল্স’ ক্রিসমাস ক্যারল নয়, যদিও ক্রিসমাস উপলক্ষে গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে এটা হামেশাই গাওয়া হয়ে থাকে।’ ক্যারল গানের ঐতিহ্য।
‘সমস্ত মহান শিল্পীদের মতোই নিখিলজীরও দর্শন ছিল এক-একটি মুহূর্তের মধ্যে সঙ্গীতের অন্তরাত্মার সন্ধান করা। লয়ের ব্যাপারে তাঁর দর্শন উপজ অঙ্গে সমান ভাবে এসে মিশত। তানগুলো প্রায়ই গিয়ে শেষ হত তেহাইতে, যা উঠে আসত তানের ভিতর থেকেই।’ পণ্ডিত নিখিল ব্যানার্জির সঙ্গীতদর্শন।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.