

জনগণের জয়নুল
‘জয়নুল আবেদিন নেই, তাঁর আঁকা চিত্রমালা রয়েছে। ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। রয়েছে অনাহার, বিপর্যয়, শ্রমের শোষণ, ক্রমে ধ্বংস হয়ে চলা নৈসর্গিক রূপ আর, সামাজিক দুঃসময়।’
‘জয়নুল আবেদিন নেই, তাঁর আঁকা চিত্রমালা রয়েছে। ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে। রয়েছে অনাহার, বিপর্যয়, শ্রমের শোষণ, ক্রমে ধ্বংস হয়ে চলা নৈসর্গিক রূপ আর, সামাজিক দুঃসময়।’
‘আধুনিক শিল্পীদের মধ্যে টিএস এলিয়ট যেমন ধ্রুপদী শব্দের পরিমণ্ডলে নাশকতা চালান, দালিও তেমন ফ্রেম ও রেখাতে ক্লাসিকিয়ানা ফিরিয়ে দিতে চান, ও সেই ফাঁকফোঁকরে গুঁজে দিতে চান দুঃস্বপ্নের বর্ণমালা।’
‘যামিনী রায় মনে করেছিলেন, বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রতিকৃতি-আঁকিয়ে হিসেবে তিনি সুনাম অর্জন করলেও, সেখানে তাঁর মৌলিকতার কোনও নিজস্ব প্রকাশ নেই। এই অনুভবই তাঁকে সরিয়ে এনেছিল এমন চর্চা থেকে।’
‘এই আয়োজন কি ছবির সঠিক তথ্য না-জেনেবুঝেই নিতান্ত সরলচিত্তেই করা হয়েছে? না কি এর আড়ালে ওঁত পেতে আছে জালছবির বিরাট চক্র– যা প্রদর্শনীর শেষে বিপুল বাণিজ্যের চেহারা নেবে?’
‘প্রদর্শনীর প্রতিটি প্রিন্টই অসাধারণ অবস্থায় রয়েছে, রংও সেই অর্থে বিবর্ণ হয়নি; এত সময় ধরে সংগ্রাহক যে শুধুমাত্র ছবিগুলি সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হননি, তা বোঝা যায়। ছবিগুলি অসামান্য যত্ন, দক্ষতার সঙ্গে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত।’
‘চণ্ডী লাহিড়ীর মতে, ‘কার্টুনিস্ট সংবাদপত্রে থাকেন একজন, বড়জোর দুজন। কাজেই কার্টুনিস্টকে মার খেতে হয়। তিনি সংখ্যালঘু। …সংখ্যায় তিনি একক, রিপোর্টার কয়েক ডজন। সাব এডিটর কয়েক ডজন, ফটোগ্ৰাফার কয়েক ডজন কিন্তু কার্টুনিস্ট একেবারে একা।’’
‘রণেনকাকা আর আমি গল্প করছি বসে, কথা উঠল ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমার পোস্টার নিয়ে। উনি প্রথমে জিজ্ঞাসা করলেন, আমি পোস্টারটা দেখেছি কি না! আমি ‘হ্যাঁ’ বলতেই আলোচনা অন্যদিকে মোড় নেয়…’
‘শিল্পে, অথবা আমাদের অভিজ্ঞতা ও নির্জ্ঞানে, বারবার পালটে গেছে চুম্বনের প্রেক্ষিত, চুম্বনের পাঠ— মৃত্যু থেকে পুনর্জীবনে; প্রেম থেকে কামে; আসক্তি থেকে বিচ্ছেদে; আনুগত্য থেকে বিরোধিতার বহুমাত্রিকতায় ব্যক্ত হয়েছে তার ভাব।’
‘ভাগ্যিস মাতিস তাঁর বাবার মতো শস্যদানা ও বাড়িঘরের রঙের ব্যবসায়ী হননি! ভাগ্যিস তিনি ল-অফিসের কর্মী হয়েই থাকেননি! পিকাসো মাতিসকে মনে করতেন, রঙের জাদুকর।’
‘পাহাড়ি শিল্পীদের থেকে অবনীন্দ্রনাথ সংগ্রহ করেন মিনিয়েচার ছবি আঁকার কায়দা। তাইকান, হিশিদা বা কাতসুতার মতন জাপানি শিল্পী-বন্ধুদের সংস্পর্শে এসে তিনি তুলি চালানোর নতুন শৈলী আবিষ্কার করেন এবং অজন্তা গুহাসমূহের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি ফিরে যান এক দেশজ ক্লাসিসিজ্ম-এর দিকে।’ শিল্প-সংগ্রাহক মন।
অ্যানিমেশনের দুনিয়ায় সম্প্রতি সাড়া ফেলে দিয়েছেন দুই যমজ ভাই। শাশ্বত মুখোপাধ্যায় এবং সুশ্রুত মুখোপাধ্যায়। নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়ে তাঁরা অ্যানিমেশনচর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। বিশ্ব অ্যানিমেশন দিবসে শাশ্বত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন পৃথ্বী বসু।
শতাব্দী-প্রাচীন দেশজ নন্দনবোধের সঙ্গে বাংলার লোকশিল্পের মেলবন্ধনে যে সুচারু প্রকাশ বেঙ্গল স্কুলের গোড়ার দিকে দেখা যায়, তা আজও বহমান, দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এবং প্রতিমায়।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.