‘খগম’: ছোটগল্প থেকে রূপন্যাস

‘সত্যজিৎ বাবু নিজে চিত্র-পরিচালক, চিত্রশিল্পী; অর্থাৎ মূলত দৃশ্য-মাধ্যমের মানুষ হওয়ার ফলে তাঁর সমস্ত লেখার মধ্যেই দৃশ্যপট রচনার উপাদান প্রচুর । তাঁর লেখাটা পড়তে পড়তে চোখ বুঝলেই একটা ছবি ভেসে ওঠে ।’

‘অপরাজিত’র আঁতুড়ঘর

‘এ-ছবির বিভিন্ন সাংঘাতিক প্রতিকূলতার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল বিভিন্ন ঐতিহাসিক চরিত্রের আদলে নতুন করে চরিত্র নির্মাণ; সেখানে আবার দু’রকমের চরিত্র। কিছু মানুষ সম্পূর্ণ বাস্তব যেমন সত্যজিৎ রায়ের আদলে অপরাজিত রায়, বিজয়া রায়ের ধাঁচে বিমলা রায় বা সুব্রত মিত্রের ছায়ায় সুবীর মিত্র— আবার কিছু মানুষ একইসঙ্গে বাস্তব ও সিনেমার বাস্তব।’ চরিত্রের সন্ধানে।

নক্ষত্র-যাপনের প্রতিপ্রস্তাব ও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়

‘অপুর সংসার’ থেকে ‘বরুণবাবুর বন্ধু’– প্রায় ছয় দশকের পথচলায় সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম ভাবে তিনি জড়ো করে চলেন অসংখ্য নুড়িপাথর যা ক্রমশ গড়ে তোলে বাঙালির এক অত্যাশ্চর্য সমান্তরাল উপকথা। উত্তমকুমারের থেকে বাঙালির প্রাপ্তি অপরিসীম, তবু যেন রয়ে গেছিল এক অপূর্ণতা—সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সত্যজিৎ সহযোগে সেই না পাওয়ার আক্ষেপ পূরণ করে দিলেন– তাঁর অনায়াস উপস্থিতিতে।’ জন্মদিন ১৯শে জানুয়ারি; সাংস্কৃতিক কৌলীন্য ও আভিজাত্যে চিরকালীন সৌমিত্র।

চোরে-চোরে ফ্রান্সতুতো ভাই

‘‘ল্যুপাঁ’ একেবারেই ‘হু ডান ইট’ নয়, বরং এই সিরিজকে ‘হাউ ডান ইট’ ও ‘হোয়াই ডান ইট’ বলা চলে। এক কথায় বললে, ‘ল্যুপাঁ’ অনেকটাই রহস্য-কৌতুকের আধারে ফরাসি ক্লাসিক চরিত্র আর্সেন ল্যুপাঁর প্রতি সমসাময়িক শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ ওয়েব সিরিজের সমালোচনা।