একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৬

একটা জাদু-আয়না। এক রূপের গরবিনি রানি। এক ধবধবে ফর্সা রাজকন্যা স্নো হোয়াইট। জঙ্গল। জল্লাদ। সাত বামন। এক রাজপুত্র। রাজপুত্রের সঙ্গে স্নো হোয়াইটের বিয়ে, তারপর ফুলশয্যায় রাজপুত্রের ধারালো সব প্রশ্ন। ওদিকে নতুন গান ‘ছোট্ট মিথ্যে’: ‘পুরুলিয়া টুরে উদ্দাম গাঁজা/ পাপের অহং-এ গল্পেরা ভাজা/ হুট করে বলে দাও প্লিজ/ একটা ছোট্ট মিথ্যে/ আমার সুবিধে হয়/ জুয়াখেলা জিততে।’

একটা গল্প, একটা গান: পর্ব ৫

রাজা কোনও পোশাক পরে নেই, কিন্তু মিছিলের সামনে চলেছেন গর্বভরে, সকলেই তাঁর জামার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তখন একটা ছোট ছেলে আঙুল তুলে কী বলল? আর নতুন গান ‘আরে দিওয়ানো’ জানাল, ‘আমার গায়ে বিপ্লব লাগলে কুরুক্ষেত্র কাণ্ড, শুকিয়ে যাবে টালা ট্যাঙ্ক আর ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের ফান্ড-ও!’

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৪

রেড রাইডিং হুড দিদিমার বাড়িতে গিয়ে দ্যাখে, দিম্মার চোখদুটো বড়, আর হাঁ-টা সাংঘাতিক উদ্ভট। তারপর দিম্মা, মানে নেকড়ে, তাকে গপ করে গিলে নেয়। পরে নেকড়ের পেট থেকে বেরিয়ে, রেড কী বলে? আর গানে, জীবনের কোলাজ ধরা থাকে খুচরো কয়েকটা ছবিতে: কিছু টুক, কিছু টাক, কিছু বেঁটে মৌচাক।

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ৩

হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা পাহাড়ের মধ্যে বাচ্চাগুলোকে গায়েব করে, ছদ্মবেশে খোঁজ নিতে আসে, শহরের লোকগুলো এখন কেমন রোলারুলি করছে। তার মতলব, বেশি পয়সা চাইবে, বাচ্চা ফেরত দেওয়ার জন্য। আর গানে, একজনের পেটের ফুটো, পিঠের ফুটো সে বারবার বুজিয়ে রাখে সেলোটেপে।

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ২

গল্পটা মহাভারতের। শেষটা আলাদা। অর্জুন ও দ্রোণের কথায় একলব্য ডান হাতের বুড়ো আঙুল কেটে ফেলে পান সারা জীবন বস্তুগত স্বাচ্ছন্দ্যের আশ্বাস। আর গানটা বারবার বলে, ভোট দেওয়ার কথা। কারণ ভোট দিয়ে নিজের পছন্দসই অত্যাচারী বেছে নেওয়াই গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ ব্যায়াম।

একটা গল্প একটা গান: পর্ব ১

একটা গল্প আর একটা গানের মধ্যে মিল নেই। গানের ধরন আর গল্পের চলন এক্কেবারে আলাদা। কিন্তু পাশাপাশি বসে গল্প বলা হবে আর গানও গাওয়া হবে। দুই অমিল বস্তু যে দিব্য পাশাপাশি থাকতে পারে, সে তো স্বামী-স্ত্রী দেখলেই বোঝা যায়। এ তো একটা গল্প, একটা গান।