কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৩৭
দিনের মধ্যে অন্তত একবার ফিরে যেতেই হয় তাঁর কবিতার কাছে। ‘কবির সঙ্গে দেখা’র এই পর্বে আবারও ফিরে দেখা তাঁকে— তিনি বাংলা কবিতার অবিসংবাদিত সম্রাট শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
দিনের মধ্যে অন্তত একবার ফিরে যেতেই হয় তাঁর কবিতার কাছে। ‘কবির সঙ্গে দেখা’র এই পর্বে আবারও ফিরে দেখা তাঁকে— তিনি বাংলা কবিতার অবিসংবাদিত সম্রাট শক্তি চট্টোপাধ্যায়।
‘তুমি দত্তবাড়ির ছেলেকে/ পাঠিয়েছিলে শিকাগো/
ঠাকুরবাড়ির ছেলেকে শিলাইদহ/
গদাধর চাটুজ্যেকে/ তুমিই স্টার থিয়েটারে/ গিরিশের থ্যাটার দেখতে/
অথচ তোমার কোনও অহংকার নেই/ পাঁচিলে বসে/ এমনভাবে পা দোলাচ্ছ/ যেন বিপ্লব হবে…’
প্যারিস একদিকে শিল্প-সাহিত্য-ফ্যাশনের মক্কা, প্রেমের শহর; আবার অন্যদিকে ইতিহাসের আবরণে সজ্জিত আধুনিক এক আড্ডার ঠেক। সে এক চিরনতুন মায়ানগরী। এবারের ‘দূরপাল্লা’য় রইল প্রথম দেখায় প্যারিস-এর প্রেমে পড়ার গল্প।
‘কেবল আমি একটু থতমত ভাবে তাকিয়ে আছি দেখে সুনীলদা জিগ্যেস করলেন, ‘কী ব্যাপার, তুমি যাবে না?’ উত্তরে বলতেই হল, থাকব কোথায়, এই নিয়েই ভাবছি। কেননা দোলে তো লজ বা হোটেল সব আগে থেকে ঠিক করতে হয়, এত দেরিতে কি কিছু আর পাওয়া যাবে?’
তাঁকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ কবি চিহ্নিত করেছিলেন স্বয়ং গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ! তিনি কূটনীতিবিদ, আবার তিনিই জনগণের কবি। বাড়ির অমতে ছদ্মনামে প্রথম বই প্রকাশ, যে নামে আজ তাঁকে চেনে এই বিশ্ব, তিনি পাবলো নেরুদা (১৯০৪-১৯৭৩)।
‘গোলাগুলির ভয়ে আমরা/ বেরোলামই না হোটেল থেকে।/ মাতাল ছেলেদের হৈ হুল্লোড় শুনে/ ভাবলাম মিছিল আর স্লোগানের কথা।/ সারা রাত আমাদের ভারী পর্দার পিছনে,/ কাচের লম্বা জানলার ওপারেই কেটে গেল।’
কথা আর ছবির মেলবন্ধনে পৌঁছে যাই না-যাওয়া দেশে, ‘দূরপাল্লা’র জানালা দিয়ে আমরাও উঁকি দিই বহির্বিশ্বে। এবারের পর্বে রইল উত্তর আমেরিকার নিউ ইয়র্কে ‘স্ট্র্যান্ড বুকস্টোর’ থেকে ভার্জিনিয়ায় ‘লুরে গুহা’ দেখতে যাওয়ার গল্প।
‘এ-বয়সে এসে আমার লুকোচুরির জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজেরই লেখা। অন্য কেউ তো খেলায় নেয় না, সেসব বন্ধুদের সঙ্গেও যোগাযোগ নেই আর, কবেই ছেড়ে চলে এসেছি সেই পুরনো পাড়া, পুরনো বাড়ি। কিন্তু লুকোচুরিটা ছাড়িনি।’
আপাতদৃষ্টিতে অসংলগ্ন কিছু দৃশ্যকল্প— কিন্তু তার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে উঠছে একটা জাতির ইতিহাস, ফুটে উঠছে তার সম্পূর্ণ অবয়ব। কবি উৎপলকুমার বসুর সেইসব কবিতা আজও আমাদের সকল সুখ-দুঃখের সাথী।
‘বৃষ্টি নয়।/ মেঘ করলে বোমা পড়ে সিরিয়া, ইরাকে।/ প্রতি পূর্ণিমায় বুদ্ধ বামিয়ানে ভেঙে যেতে থাকে।/ পাথরের গুঁড়ো আর পোশাকের টুকরো ওড়ে গরম হাওয়ায় –/
কেউ কেউ এরই মধ্যে আকাশের দিকেও তাকায়।’
ব্রাসেল্স তো শুধু টিনটিন-এর নয়; বিশ্বখ্যাত গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারো ও হলিউড-হার্টথ্রব অড্রে হেপবার্ন-এরও শহর। ভ্রমণপিপাসুদের অবশ্য-গন্তব্য বেলজিয়ামের সেই শহরে, বেলজিয়ান চকোলেটের স্বাদ নেওয়া থেকে রাজপ্রাসাদ দেখার অভিজ্ঞতা নিয়েই এবারের ‘দূরপাল্লা’।
‘বাবা বোঝালেন, অত বড় মাপের কবি, ব্যস্ত মানুষ, তাঁকে কি হুট করে ওভাবে বিরক্ত করা যায়? কিন্তু আমি নাছোড়। দেখা আমায় করাতেই হবে, নইলে মানব না। শেষমেশ বাবাও রাজি হলেন ঝুঁকি নিতে। একদিন ওঁর আপিসে গিয়ে দেখাই যাক, দেখা হয় কি না।’
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.