দূরপাল্লা : পর্ব ২৫

ছেলেবেলায় পাহাড় বলতে ছিল ছোটমাসির জামশেদপুরের বাড়ি থেকে দেখা দূরের দলমা পাহাড়। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে আশুতোষ কলেজের ভূগোল বিভাগে ভর্তি হয়ে এক্সকারশনে উত্তরপ্রদেশে গিয়ে জীবনে প্রথম উচ্চতার সামনে মুগ্ধ হয়ে দাঁড়ানো। প্রকৃত পাহাড় দেখা।

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল : পর্ব ৩৯

‘বাইরের দুনিয়াটা বদলে গেছে অনেকখানি। আমার মধ্যেকার সেই একার দুনিয়াটা অবশ্য থেকে গেছে এক কোণে, যে আজও আকাশবাণীর ক্যান্টিনে কিছুতেই ঢুকতে চায় না। পাছে দেবাশিসদার কথা মনে পড়ে যায় তার!’

কবির সঙ্গে দেখা: পর্ব ৪২

কইফি আজমি এমন একজন কবি যিনি সব সময় প্রাসঙ্গিক। আজকের এই অস্থির সময়ে অথবা চরম অসহায়তা, প্রেমের ব্যর্থতার সময়েও তাঁর লেখা আমাদের আশ্রয় হয়ে ওঠে। ‘ওয়াক্ত নে কিয়া কয়্যা হসিঁ সীতম’ কিংবা ‘কোই ইয়ে কয়সে বাতায়ে’র মতো গানও কালজয়ী হয়।

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৪১

‘আমাদেরও এ-শহরে বহুরাত্রি গেল কেটে।/ চাকরি খুঁজে, জুয়া খেলে, আপনার অপেক্ষা ক’রে।/ আসবেন কি আসবেন না, বাজি ধরল দু’প্রফেটে।/ শুনেছি সমস্ত যুদ্ধ থেমে যাচ্ছে কাল ভোরে?’ নতুন কবিতা।

দূরপাল্লা : পর্ব ২৪

এবারের ‘দূরপাল্লা’য় ফিরে যাওয়া স্মৃতির শান্তিনিকেতনে, যেবার সুনীল-সান্নিধ্যে হল বসন্ত উদযাপন। বন্ধুত্বের মায়া, প্রেম এবং হুল্লোড় চলল হাত ধরাধরি করে। আবিরের রঙে এখনও রঙিন, স্মৃতিমেদুর এই অধ্যায়।

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল : পর্ব ৩৮

‘দূর-দূর সব পাড়া থেকে অসুখ-করা মানুষজন ডাক্তারবাবুকে দেখাতে আসতেন। আর একবার আসা মানেই সারাজীবন আসা। তাঁর ওষুধে এমনই কাজ হত যে, হরেক রকম অসুখে তাঁরই কাছে আসতে বাধ্য হতেন সকলে।’

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৪১

এই অস্থির সময়ে যখন এক ঘন কালো মেঘ জড়িয়ে রয়েছে, তখন ত্রাণ হয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ায় মায়া এঞ্জেলোর কবিতা। আমরা সবাই জানি, তিনি কালো মেয়েদের পক্ষে, তাদের অধিকারের পক্ষে লিখে গেছেন। কিন্তু এটুকুই কি সব?

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৪০

‘এসব দিনে অপেক্ষারও বয়স বাড়ে।/ তোমাকে চিনি শাড়ি তোলার ব্যস্ততায়।/ কী অহমিকার রৌদ্র নাও আঙুলে বেঁধে…/ শরীর থেকে অতীত নাম ছিটকে যায়।/ আমার পাড়া অন্যদিকে।/ জীবনও ছোট।/ সানাই থেকে ডানদিকের রাস্তা ভাগ। …’

দূরপাল্লা : পর্ব ২৩

ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয় আরবানা-শ্যাম্পেন-এর সঙ্গে বাঙালির যোগ বহুদিনের; কবিপুত্র রথীন্দ্রনাথ প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন, সেই সূত্রে যাতায়াত ছিল রবীন্দ্রনাথেরও। ২০০৬ সালে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা সেই শহরে। ‘দূরপাল্লা’-র এই পর্বে স্মৃতির আয়নায় ফিরে দেখা সেই ‘শ্যাম্পেনের স্মৃতি’।

হিয়া টুপটাপ জিয়া নস্টাল: পর্ব ৩৭

‘ওয়ান ম্যান ইন্ডাস্ট্রি বলতে ছোটবেলায় আমি এসব লোকজনকেই বুঝতাম। তা সেই ওয়ান ম্যানের দোকানের সামনে গিয়ে আমরা একটু পিছন দিকে দাঁড়াতাম। সামনের দিকে সম্পন্ন খদ্দেরদের জমায়েত, যাঁরা একজনের জন্য এক প্লেট চাউ বা একটা গোটা রোল কিনতে পারে।’

কবির সঙ্গে দেখা : পর্ব ৪০

কবি শুধু কবি নন, তিনি দ্রষ্টা; যিনি অনুভব করেন সময়ের হাতছানি, দেখতে পান সেই অবশ্যম্ভাবী পরিণতি। ভাস্কর চক্রবর্তী-র শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘জিরাফের ভাষা’ বাংলা সাহিত্যের এক অনন্যসাধারণ সংযোজন, বছর কুড়ি পরেও যা একই রকম মুগ্ধতার আবেশ রেখে যায়।

শুধু কবিতার জন্য : পর্ব ৩৯

‘তুমি হাঁটো ব’লে/ জীবন গল্প বলে।/
পথিকেরা চেনে,/ দুঃখের আলাপন।/
মনে করে দ্যাখো,/ কান্না রয়েছে পাশে।/
কোনও ছবিতেই/ চ্যাপলিন একা নন।/
এ-শহর/ বাজি হেরে যেতে বলে রোজ/
কাগজে হেডিং/ রুটি মুড়ে আনে রাতে/
ঠান্ডা খাবার/ খেতে খেতে মেনে নাও,/
তুমি যে পারোনি/ কিচ্ছুটি বদলাতে।/’