Danger of AI introspected in retrospect of Suchir Balaji-s death

এআই অথবা ভূতের রাজা

সুচিরের কথা অনুযায়ী, ওপেন এআই নাকি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা আপনার ব্যক্তি-তথ্য সংগ্রহ করে তাদের মডেলকে তা দিয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিয়ে থাকে। তার ফলে এই উন্নততর মডেল লাভ করে আপনার কর্মদক্ষতাও।

যাহা ‘পাই’

‘মুনিঋষিরাও যে ‘পাই’-এর মান তিন ধরেই চলতেন, তার প্রমাণ রয়েছে মহাভারতের ভীষ্মপর্বে। সঞ্জয় যখন ধৃতরাষ্ট্রকে কুরুক্ষেত্রর যুদ্ধের লাইভ রিলে করছিলেন, তখন যুদ্ধের কমেন্টারির ফাঁকে-ফাঁকে সমগ্র জম্বুদ্বীপ, আকাশের গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদি নিয়েও অনেক কিছু বলছিলেন।’

হ্যালির গ্রহণ

‘মানচিত্র প্রকাশ করার পর হ্যালি উৎসাহী মানুষজনকে বলেছিলেন ইংল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই গ্রহণের সময় এবং স্থায়িত্ব কতক্ষণ তার তথ্য নথিবদ্ধ করতে। গ্রহণ শেষে সেসব মিলিয়ে দেখা গেল, হ্যালির মানচিত্রের থেকে সূর্যগ্রহণের প্রকৃত গতিপথ সরে গেছে প্রায় কুড়ি মাইল।’

লিপ-ইয়ারি কথা

‘তখনও নাজারেথ গ্রামের সেই আশ্চর্য শিশুর জন্মের প্রায় অর্ধশতাব্দী দেরি। জগতের সমস্ত সড়কের গন্তব্য তখন একটাই জায়গা— রোম। আর সেই রোমের অধীশ্বর হলেন ইতিহাস ছেড়ে কিংবদন্তিতে জায়গা নিয়ে ফেলা স্বয়ং জুলিয়াস সিজার!’

তার ও ইথার

‘জন্ম হল ইথারনেটের। হার্ভার্ডের তাবড় প্রফেসরদের তাক লাগিয়ে বব তাঁর হকের পিএইচডি ছিনিয়ে নিলেন এবার। আর আজও আমাদের বাড়ির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যম এই ইথারনেট।’ যুগান্তকারী আবিষ্কারের গল্প।

কৃত্রিম বুদ্ধির দুনিয়া

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লম্বা ইতিহাস নেই। ইতিহাস না থাকলে গল্প থাকে না। কিংবদন্তির জন্ম হয় না। সাধারণ মানুষ জটিল তত্ত্বর গূঢ় কথার খোঁজ অতশত রাখে না— তাদের মনে থেকে যায় রোজকার জীবনের টুকরো-টাকরা, খবরের কাগজে পড়া খবরের অংশ অথবা স্কুলবেলায় শোনা কোনো গল্পের স্মৃতি।’

চ্যাট-জিপিটি/ মডার্ন সিধুজ্যাঠা

আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এখন এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যে তাকে এ বার থেকে ন্যাচারাল বললে অত্যুক্তি হবে না। সম্প্রতি এমন এক চ্যাট-বট তৈরি হয়েছে যাকে কিনা প্লট বললে আস্ত গল্প লিখে দিচ্ছে! নাম চ্যাট-জিপিটি। সৃষ্টিশীলদের বাজার গেল বলে!

মেলাবেন, জিন-ই মেলাবেন

যমজ ভাই বা বোনেরা নাহয় একই বাপ-মায়ের সন্তান। একই সাথে মাতৃজঠরে জিন ভাগাভাগি করে ভ্রূণ থেকে পরিণত হয়ে ওঠা। কিন্তু দুজন নিঃসম্পর্কিত মানুষ? তাদের কি কাকতালীয় ভাবে ডিএনএ-র গঠন মিলে গেছে? তার ফলেই এমন একে অন্যের ফোটোকপি হয়ে যাওয়া?

বে-হাত হওয়া আবিষ্কার

আজিজুল হকের আবিষ্কৃত এই পরিসংখ্যান-পদ্ধতির নাম গোটা পৃথিবীর কাছে পৌঁছল ‘হেনরি ক্ল্যাসিফিকেশন সিস্টেম’ নামে। বাঙালি সাব-ইন্সপেক্টর পড়ে রইলেন নিষ্ফল হতাশের দলে। চাকরি যাওয়ার ভয়ে প্রতিবাদের পথেও হাঁটলেন না। চুপচাপ মেনে নিলেন এই অন্যায়। হয়তো এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করার আনন্দ তাঁকে এতটাই মোহিত করে রেখেছিল যে, এই খ্যাতির মোহ তার কাছে নিতান্ত ক্ষুদ্র, উপেক্ষণীয় বলে মনে হয়েছিল। আঙুলের ছাপ আবিষ্কারের সত্য।

ধাঁধিয়ে যাওয়া ধাঁধা

‘যদি সুদোকু খেলার নেশা থাকে, তাহলে এই ধাঁধার মানে বোঝা সহজ হবে। সুদোকুতে যেমন প্রতি সারিতে একই সংখ্যা দু’বার আসা না-মুমকিন, তেমনি এই বর্গক্ষেত্রের বেলাতেও। আপাত ভাবে এই ধাঁধাকে রোববারের খবরের কাগজের ব্রেন-টুইস্টারের থেকে আলাদা কিছু মনে হয় না। কিন্তু অয়লার অনেক কাঠখড় পুড়িয়েও নিজের ধাঁধায় নিজেই ধাঁধিয়ে গেলেন।’ আড়াইশো বছর পর লিওনার্ড অয়লার-এর ধাঁধার সমাধান।

অবতারের অবতারণা

‘শুধু এই শখের বাবুয়ানির জন্যই মেটাভার্সের দুনিয়ার ইকোনমিক্স বা মেটানমিক্স এত লোভনীয় নয়। মাইক্রোসফ্‌ট, ফেসবুক, গুগলের মতো টেক-দৈত্যরা আরও সম্ভাবনা দেখছে। করোনা-উত্তর সমাজ যে আগের মতো সুস্থ স্বাভাবিক থাকবে না, তার আঁচ আমরা পেতে শুরু করেছি।’ বাস্তব-অবাস্তব পেরিয়ে এক নতুন দুনিয়া।

‘এনট্রপি’ এবং সময়-ঘড়ির হযবরল

‘একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে এই ত্রি-পারমাণবিক ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে তাপপ্রবাহ ঘটিয়ে এ থেকে নির্দিষ্ট হারে ফোটন বা আলোককণার স্রোত পাওয়া যাবে। এটা হবে এই পারমাণবিক ঘড়ির ‘পয়েন্টার’। পয়েন্টার থেকে বের হওয়া আলোককণাকে যদি একটা রেজিস্টারে ধরা যায় এবং প্রতিটা আলোককণা পাওয়ার সাথে-সাথে রেজিস্টার যদি একটা ‘tick’ ঘোষণা করে, তবে মাপা যাবে সময়ের প্রবাহ।’ বিকল্প ঘড়ি।