আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৫

‘কার একটা ধুতি চেয়ে দু-ভাঁজে ফেরতা দিয়ে পরে, খালি গায়ে এমন করে খেতে বসে গেল, যেন এটা ওর নিজের বাড়ি! তনুর মাথা তখন রাগে দপদপ করছে। কোথায় সেই বুদ্ধিদীপ্ত হরু আর কোথায় এই ভোজন-সর্বস্ব সেজদা!’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৪

‘শাফিকা শুধু তাকিয়ে-তাকিয়ে পড়েছে তার মিঞার দু’চোখের ভাষা। মায়া আর মায়া— গভীর মমতায় উপচে আছে যেন! শাফিকা আন্দাজ করতে চেষ্টা করে, এই মায়াটাই কি প্রেম! শরীর ছাপিয়ে ভালবাসা?’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১৩

‘হরুর মনে প্রতিবাদ জাগে সাহেবদের নতুন নতুন প্রশাসনিক আইন, কৃষকদের দুরবস্থা এবং জমিদার তোষণের আয়োজন দেখে। হরু ঠিক বুঝে উঠতে পারে না যে, কোন পথ ধরলে সে তার ভাবনাগুলোকে একটু গুছিয়ে ভাবতে পারবে!’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১২

‘বড় অভিভূত লাগছে ভূতেশের। মনে মনে প্রণাম জানিয়ে সে ভাবল, কৃপানাথ নয়! জয় ইংরেজ সরকারের, জয় ভাইসরয় সাহেবের— এমন আপিস! এমন দপ্তর! এটাকেই তো ঘরবাড়ি করে ফেলবে সে!’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১১

‘সঙ্গে করে আনা এই একমাত্র উপহারটুকুও আমার হাতে সরাসরি না দিয়ে, মেসোমশাই সেটাও দিয়ে গেছেন ছোটেলালের হাতে। একেই বোধহয় বলে ভিজিলেন্সকে আঙুল দেখানোর স্পর্ধা; একই সঙ্গে আপাত বিশ্বাস অর্জনের পথও।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ১০

‘নিরন্ন ঘরের যুবতী মেয়েদের যে পুলিশ কোয়ার্টারে বা সাহেবদের বাংলোয় যাতায়াত থাকবে, এ আর নতুন কী! গাড়ি করে শহরে যাতায়াত করিয়ে সে ব্যাপারেও কি আমার রুচি তৈরি করতে চাইছেন মি. অগাস্ট? ক্লাব-পার্টিতে গিয়ে মহিলা-সঙ্গই তো দস্তুর।’

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৯

‘ফিরে চলে না গেলেও, সচেতন হয়ে গেলাম যারপরনাই। মন এবং হাঁটাচলায় সমস্ত ভাব গোপন করে এগিয়ে গেলাম ডানদিক ঘেঁষে; দেখলাম যে ভিড় বেশি অথচ নজরদারি নেই; হাসিই পেল, কারণ ভিড়টা মেয়েদের।’

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৮

‘অসম্মান এবং অবজ্ঞার ইট-পাটকেল যেটুকু যা লাগবে, তাতেও রক্তাক্ত হবে ওই বড় বউদি। সেখানে সম্মানের বঞ্চনা ছাপিয়ে, শরীর-সুখ তাকে যদি বেশি টানে তার দায়িত্ব কি আমার!’

আলোর রং সবুজ: পর্ব ৭

‘নাকে এল, বিড়ির গন্ধমাখা পুরুষ-শরীরের ঝাঁঝ; কিছুক্ষণের মধ্যেই পোষাকের বাঁধন ছিঁড়ে মিলিত হল দুজনে। অনভিজ্ঞ শাফিকার দেহে স্বীকৃতির স্বাদ এনে দিল শরীর-অভিজ্ঞ সেই ইসমাইল।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৬

‘ইঙ্গিতটা বুঝেই বললাম আর কিছু লাগবে না; আন্দাজ হল যে আগের অফিসাররা বোধহয় মদ এবং মেয়েমানুষ দুই-ই চাইতেন। বাইরে এসে দেখি, ঘোড়ার গাড়িটা আর নেই; তার বদলে একটা বড় ঘোড়া সহিস সমেত দাঁড়িয়ে আছে, আমাকে পিঠে নেবে বলে।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৫

‘সেই যে ভাব হল দুজনের, তা আর সারা জীবনে চিড় খেল না একটুকুও। গান আর ফুলগাছ-পাগল আমার এই পুলিশ বরের সঙ্গে থাকতে থাকতে, অনেক কিছুর সঙ্গে আমি কিন্তু সব চেয়ে ভাল শিখলাম বন্দুক চালানো। আর শিখলাম, সম্মান না খুইয়ে সৎ ভাবে বাঁচা।’

আলোর রং সবুজ : পর্ব ৪

’বিচিত্র এক অনুভূতিও মনে এল কারণ মানুষটার ওই দাপুটে রাশভারী চেহারার সঙ্গে কথা বলার ভঙ্গিটা যেন মিল খাচ্ছে না কিছুতেই— এই রকম বড় বাড়ি, নায়কোচিত চেহারা অথচ এত সহজ! মানুষটা কি সত্যিই এত সরল?’