কয়েকটি কবিতা

‘ফসলি পট পোয়াতি হয় ফি বছর/ হাড়গোড় ভেদবমি করে/ শীতের ওমে থাকতে পারি না কজন/ আলগোছে ধুলো জমে/ ন্যাড়া আকাশে তারা গুনে শুয়ে পড়ে কজন/ মাংস ঘিলু নাড়িভুড়ি ছড়িয়ে/ কী চায় দেশলাইবাক্স মথ/ সূর্যস্নান করবে তথাগত’

কয়েকটি কবিতা

‘একটা আস্ত জিওল মাছ/
আমার পোশাকের ভিতর খলবল করছে।/
এক সেন্টর আঁকাবাঁকা দৌড়ে চলেছে/
আমার শৈশব পেরোনো নদীর দিকে।’

কয়েকটি কবিতা

‘এই মুসলমানপাড়া জীর্ণ আর ঘিঞ্জি অপরিষ্কার।/ এর শ্যাওলা প্লাস্টারে আমার অতীত আটকে আছে এই কানাভাঙা পুকুরের জলে।/ পুরনো শাড়ি নতুন বোরখা চাষির ঈদের আনকোরা লুঙ্গিতে আমার কুলুঙ্গি ভরে আছে।’

কয়েকটি কবিতা

‘যা কিছু ছেড়ে আসি ইতিউতি জমি রাস্তা ন্যাড়াবাগান বোজানো ডোবা মাংস চর্বি তারা পুরনো প্রেমগুলোর হাত ধরে ফিরে আসে ভোর ভোর। কেন অহেতুর যাপন, হরিণচক্ষু প্রেম? বলো?’ নতুন কবিতা।

জলদেশের কিংবদন্তি

এই মরশুমে চাষ হয় ফলনও হয় অসংখ্য অপমৃত্যু জমা হয়/ হিম বাড়ছে/ মাথার উপর আকাশটা ধোঁয়া আর শব্দে ঢেকে যাচ্ছে/ হলদে রুপোলি ফড়িং আঁশের ঝাপটায় নৌকাশরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে/ পাটাতন ক্রমশ খলবল করে উঠছে

উপত্যকাহিমপর্ব

‘ঘুড়ি আটকে আছে পেঁচিয়ে একটা ঝাঁকড়া গাছের ডালে/ আলতো হাওয়ায় জট বাড়ে/ অনুভূমিক অনেক দূরে কত হিজিবিজি লেপটে আছে/ অনেকগুলো ঈশ্বর আর দূতেরা উল্লম্ব দুলছে’ নতুন কবিতা।

নাস্তি

‘মগজগুলো ফেটে ছড়িয়ে যায় ছত্রভঙ্গ রাস্তার মোড়ে/ সমুদ্রগন্ধ আর বুনো তামাক জড়িয়ে থাকে পেন্টব্রাশে/ আমার প্রপিতামহ অবয়ব পাশে বসে থাকে/ ফ্লাইওভারে দৌড়ে ঝুলে থাকে একতাল সুতো ঘুড়ি স্ফটিককম্পাস’ নতুন কবিতা।