কাঞ্চন-কুয়াশা

‘প্রেক্ষাপটই যেন অমোঘ তুলিটানে তৈরি করে দেয় ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির চরিত্রদের মনস্তত্ত্ব। ছবির বহুমাত্রিক বিন্যাস যেন সংগীতের মতো দৃ্শ্য থেকে দৃশ্যান্তরে ছড়িয়ে যায়, উপাদানগুলি পরস্পরকে স্পর্শ করে কিংবা সংঘাতে লিপ্ত হয়।’

Utpal Dutt and Pradip Mukhopadhyay in a scene of Jana Aranya

জন-আরণ্যক

‘কলকাতা হয়ে উঠেছে এক বহু-শুঁড়ওলা দৈত্য, monstre tentaculaire। পোস্টার থেকেই ছবি শুরু হয়ে গেছে। সেখানে অক্ষরের ভিড়ে জঙ্গলের ইমেজ। তার মাঝে সত্যজিতের নায়ক একা, বিপন্ন, কম্পমান। তার রক্তের ভেতর খাঁ খাঁ করে এক শূন্যতা।’

এক পশলা হাইকু

হাইকু কবিতা যেন এক-একটি দীপমালা, যা ফুটিয়ে তোলে দার্শনিকের বিস্ময়! অসীম সম্ভাবনাময় এই তিনটি করে পংক্তি যেন অমোঘ তুলিটানে আমাদের সীমাবদ্ধ জীবনকে প্রসারিত করে! এতে ফুটে ওঠে কতগুলি অপরূপ ছবি, যা রঙিন ও বাঙ্ময়।

দিনরাত্রির কঙ্কাল

‘কলকাতা থেকে পালামৌ-তে ছুটি কাটাতে আসা চারজন সমবয়সি ভিন্নধর্মী যুবককে সত্যজিৎ comédie humaine-এর ভঙ্গিতে নির্মোহ ভাবে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের নীচে রাখেন, তাঁর ক্লাসিকাল ক্যামেরা-চোখের সামনে তাদের কৃত্রিম মুখোশ নিজেদের অজান্তে আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করে, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’ ছবির মতোই শহর থেকে বাইরে প্রকৃতির পশ্চাদ্‌পটে টেনে এনে আতসকাচের নীচে রেখে, কিন্তু আরও বেশি চলৎপ্রবাহে, রনোয়ার-এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ছবি ‘রুলস অফ দ্য গেম’-এর মতো।’ অরণ্য-কথা।