
‘তিতাস একটি নদীর নাম’
“‘স্মৃতি’কে এপিক ফর্মের মাধ্যমে ছুঁতে চান ঋত্বিক। আমাদের মনে করাতে চান বিকল্প এক ‘আধুনিকতা’-র অবয়ব। মৃত্তিকালগ্ন অবয়ব। আত্মবীক্ষা আর আত্মশক্তির ‘আধুনিকতা’।”

“‘স্মৃতি’কে এপিক ফর্মের মাধ্যমে ছুঁতে চান ঋত্বিক। আমাদের মনে করাতে চান বিকল্প এক ‘আধুনিকতা’-র অবয়ব। মৃত্তিকালগ্ন অবয়ব। আত্মবীক্ষা আর আত্মশক্তির ‘আধুনিকতা’।”

‘ছবিটি উল্লম্বভাবে তিনটি স্তরকে স্পর্শ করে আছে। প্রথমটি মাটি বা জমি। তারই সম্প্রসারণে জনতা এবং দেবীমূর্তি। অন্ধকার থেকে আলোর বৃত্ত এবং অবয়বের স্পষ্টতা। তারপর, আধো আলো-আঁধারিতে দ্বিতল-ত্রিতল বাড়ি এবং বারান্দায় দাঁড়ানো নারীমূর্তি। তারপর, তৃতীয় স্তরে চাঁদ-সহ আকাশ।’

‘অনেক চিন্তাবিদ, কবি, লেখক সপ্তাহে দু’দিন বসেন আমাদের বাড়ির একতলার একটি ঘরে, যেখানে একটি ঢালাও তক্তাপোশ, গোটা চারেক চেয়ার, দু-তিনখানা মোড়া, একটা লম্বা বেঞ্চি, দুটো টুল আছে। পুরনো বই, চটা-ওঠা দেওয়াল, সিগারেট, চা, পান, বিড়ি— সব মিলিত একটা সোঁদা-মিঠা গন্ধ আছে।’

‘বাংলা কবিতার ইতিহাসে পুরী আর সমুদ্রের এমন কেন্দ্রীয় স্থাপত্য খুঁজে পাওয়া মুশকিল। সমুদ্র এই দু’টি বইয়ের আলোছায়া। ব্যক্তিগত এবং রমণীয়। তার সঙ্গে আরও কত প্রসঙ্গ ঢুকে পড়েছে। কখনও তারা সমুদ্রের স্পর্শক কখনও সমুদ্র তাদের।’

‘ওক্তাভিও পাজের কবিতায় ধরা দিয়েছে নতুন-নতুন আঙ্গিক, নতুন-নতুন সন্ধান আর অনুভবের ভাষ্য; পাশাপাশি তিনি রাজনীতি, সাহিত্য, শিল্পকলা, সংস্কৃতি— নানা বিষয়ে প্রবন্ধগ্রন্থ রচনা করেন।’

অনুভূতির এই সূক্ষ্ম লেখচিত্র , এই স্পর্শকাতর স্পন্দন থেকেই রিলকের কবিতা জেগে ওঠে। পর্যবেক্ষণ, অনুভূতি, মেধা, স্বপ্ন আর ঘোর দিয়ে তার অবয়ব নির্মিত।

‘উৎপলের পরিকল্প থেকে এক ধরনের ডিপারচার বা সরণ ঘটে। কোনও সন্দেহ নেই, এ-যুগের অন্তহীন ইমেজ নির্মাণের বেলায়, অবসন্ন দর্শককে কোনও শিল্পিত দৃশ্যরূপই ততদূর আক্রান্ত বা উজ্জীবিত করতে পারে না। ফলে সুমনের ধাক্কাটা হয়তো প্রয়োজনই ছিল।’

‘পল ভালেরি বলেছিলেন, কবির সন্ধান সেই স্বপ্নময় ভাষার যা জাগ্রতের। ফরাসি কবিতার সঙ্গে পুষ্করের সখ্য যেন সেই অনিঃশেষ সন্ধানের সূত্রেই গ্রথিত। লৌকিকে আঁকড়ে থেকে অলৌকিক উদ্ভাস খোঁজা। নিরন্তর।’

‘তাঁর মহাকাব্যিক প্রতিভা অনশ্বর। অবিস্মরণীয়। তিনিই প্রথম বাংলার ‘আধুনিক’ কবি। বাংলা সাহিত্যিক মহাকাব্যের একমাত্র স্রষ্টা। প্রবাসে নয়, স্বভাবেই তাঁর মহাকায় সত্তা। প্রত্যাবর্তনেই তাঁর নিয়তি। যাত্রা নয়, ফেরা।’ মধুসূদনের মাতৃভাষায় ফেরা।

‘সুনীলের কবিতা আত্মজৈবনিক, স্বীকারোক্তিমূলক। এখানেও আমি, সুনীল, নিখিলেশ— এইসব নানা রূপে উত্তমপুরুষ জটিল সব নকশা নিয়ে আবির্ভূত। কিন্তু, তাকে কবিতায় সাজিয়ে তোলার সাবলীল ক্ষমতা এবং বিশেষত সাহস, আবার বলি ঈর্ষণীয়।’ ফিরে পড়া বই।
This Website comprises copyrighted materials. You may not copy, distribute, reuse, publish or use the content, images, audio and video or any part of them in any way whatsoever.
©2025 Copyright: Vision3 Global Pvt. Ltd.