স্নান

‘কাঁপতে কাঁপতে বেরিয়ে এসেছিল রামরতন। অপমানিত সে অনেকবার হয়েছে, অনেকে বলে অপমানিত না হলে ভাল লেখা যায় না; কিন্তু তাই বলে পিয়নের পোস্ট! বাবলুর অফিসে বসে রামরতন কেঁদে ফেলেছিল ছেলেমানুষের মতো।’

প্রজাপতি : পর্ব ২

‘কিছুক্ষণ পর সুদীপ হাঁপিয়ে যায়। গোটা শরীর কাঁপতে থাকে। রক্তচাপ বাড়ে। শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুতগামী হয়। মাথার শিরা ফুলে ওঠে। কিন্তু এত দৌড়ঝাঁপ করেও প্রজাপতির নাগাল সে পায় না। তখন সে বিছানার ওপর ধপ করে বসে।’ বিফল চেষ্টা।

প্রজাপতি : পর্ব ১

‘তৃণা যে অপয়া তা সুদীপ বুঝেছিল বিয়ের দিনই। পানপাতা দু’দিকে সরিয়ে যখন শুভদৃষ্টি সম্পন্ন হল তখন তার দুটো চোখ কটকট করছিল খালি। প্রথমে সে ভেবেছিল তৃণার রূপ তার অনভিজ্ঞ বালক চোখে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।’

কনিষ্ঠ আঙুল

‘কনিষ্ঠ আঙুলকে প্রশ্রয়ের দিন শেষ। শৌখিনতার দিন শেষ। এবার সে যেমন-তেমন পার্টও নিয়ে নেবে। শিল্পের জন্য নয়, রোজগারের জন্য অভিনয়টা করবে এবার থেকে। কিন্তু এই ভাবনাগুলি চাউমিনের এক-একটা লম্বা সুতোর মতো পরস্পর জট পাকিয়ে পড়ে রইল।’ নতুন গল্প।

সারপ্রাইজ: পর্ব ২

‘মায়ের সাথে বাবার অনেকটা তফাত। মননে, ভাবনায়, বিশ্বাসে। ঘরের মধ্যে আটকা পড়লে বাবার চোখে-মুখে ডিপ্রেশন পিঁপড়ের সারির মতো ছড়াতে থাকে। ভ্যান গঘের ‘স্টারি নাইট’-এ যেমন মেঘগুলো-তারাগুলো ডাইনামিক হয়ে ফুটে থাকে, বাবার চোখে-মুখে ডিপ্রেশনও তেমন। অপ্রকাশিত, অথচ যেন ফেটে পড়ছে। আর মা ঠিক উলটো। ঘরের মধ্যে কী প্রাণবন্ত! এই জামা ভাঁজ করছে, চাদর টানটান করছে, কাপড় মেলছে, পনিরের তরকারি ফ্রিজের মধ্যে ঢোকাচ্ছে।’ নতুন গল্প।

সারপ্রাইজ: পর্ব ১

‘সাহিত্যিক হিসেবে ব্যর্থতাকে আমি ভয় পাই না। আমি ভয় পাই মানুষ হিসেবে ব্যর্থতাকে। আরও পাঁচ বছর পর চাকরি না করার জন্য আমার নিশ্চয়ই আফশোস হবে। দশ বছর পর আফশোস হবে একজন আদর্শ বাবা না হয়ে ওঠার জন্য, আদর্শ স্বামী না হয়ে ওঠার জন্য। এই সংসারে তখন আমার গুরুত্ব কমে যাবে কি?’ মানসিক টানাপড়েন।

ভালবাসা ও উষ্ণায়ন

জানো, ফাঙ্গাসের ভয়ে আমি ঘুমাতে পারি না,
খিদে পাক আর না পাক
তোমার শরীর হাতড়ে হাতড়ে খুঁজতে চাই
বয়সের দাগ,
ছুঁয়ে-ছেনে দেখতে চাই, জানতে চাই
পরখ করতে চাই আমার খিদে;
তখন দাম্পত্যের ঘন আঁচে সেঁকে তুমি ক্রমশ
টানটান হয়ে ওঠো