Neela Neelabjo 15

নীলা-নীলাব্জ: পর্ব ১৫

‘শুধু পোশাক এক করলেই সমতা আসে? কে স্কুলবাসে আসে, কে দামি গাড়িতে আসে, কে টিফিনে কী নিয়ে আসে, কে কত দামি পেনসিলবক্স নিয়ে আসছে, এখানে তফাত তৈরি হয় না? বাচ্চারা সবই বুঝতে পারে। ফালতু এক রকমের জামা পরিয়ে দিলেই সাম্য আসবে না।’

Illustration by Sayan Chakrabarty

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ১৪

‘নীলাব্জ : এটা প্রগতি বা প্রাচীনপন্থার ব্যাপারই নয়। যে পৃথিবীতে মানুষ না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে, সেখানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচা করে মহাকাশে পাড়ি দেওয়াটা বড্ড চোখে লাগে।
নীলা : এ কী ধরনের বোকা বোকা কথা?’

নীলা-নীলাব্জ: পর্ব ১৩

‘নীতিহীনতা নিয়েও তুমি ভাবিত নও যা বুঝছি। ঠিক আছে ধরো, একজন সফল ডাক্তার। বিশাল নামডাক কিন্তু মদারু। বউয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নয় আর ছেলেটাও একদম বিশ্ব-বখাটে। এই ব্যক্তিকে তুমি কি একজন সফল মানুষ বলে চিহ্নিত করবে?’

Representative image for column of Anupam Roy

নীলা-নীলাব্জ: পর্ব ১২

‘নীলাব্জ: তার মানে তোমার যুক্তি হল সৌন্দর্য তোমাকে কর্মজীবন এবং ব্যক্তিগত জীবন, দুই জায়গাতেই ফায়দা এনে দিচ্ছে তাই তুমি দিন-দিন আরও সুন্দর হতে চাইবে।
নীলা: আমাদের ইঁদুরদৌড়ে একটু এগিয়ে থাকার জন্য জিমে-টিমে যেতে হবে বইকি।’

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ১১

‘সিনেমা একটা শিল্প। বহু শিল্পী মিলে কাজ করে একটা সিনেমা তৈরি হচ্ছে। সেই শিল্পকে মাপবার কোনও সিস্টেম মানুষ বানাতে পারেনি, পারবেও না। কারণ একটা কিছু অনুভূতি এভাবে মাপা সম্ভব নয়।’

A serial novella about two persons, named Neela and Nilabja, taking about various philosophical discourses.

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ১০

‘বৃষ্টি একটা রূপকমাত্র। তুমি এই বৃষ্টির মধ্যে জীবনটা দ্যাখো নীলা। মুহূর্তগুলো চলে যাচ্ছে। কিছু পড়ে থাকবে না। তোমার প্রতিটা মুহূর্ত তোমার! শুধু তোমার। সব ঝরে যাচ্ছে। তুমি না বাঁচতে চাইলে সেগুলো বৃথা যাবে! নষ্ট হবে। তুমি দু’ফোঁটা গায়ে মেখে নাও।’

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ৯

‘আজকে পেনিসিলিন কি পাড়ার পাঁচু আবিষ্কার করছে? না! চাঁদে কী করে রকেট পাঠাতে হবে বা নদীতে বাঁধ কী করে দিতে হবে সেটা দেখার লোক কিন্তু সাধারণ বুদ্ধির কেউ নয়। অতএব আমরা কীভাবে বেঁচে থাকব তাই নিয়ে বুদ্ধিমান মানুষরাই বক্তব্য রাখবে।’

Anupam Roy Vlog

সং স্টোরি শর্ট : পর্ব ২১

আমাদের চারপাশে যে মিথ্যাচার চলে, তার থেকে জন্ম নিচ্ছে এক ধরমের ক্ষোভ আর ফ্রাসট্রেশন। মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন জাগছে বার বার। যা সরাসরি মুখে বলা যায় না, তাই এই গানে কিছুটা হলেও প্রকাশ পেয়েছে।

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ৮

‘ইন্টারনেটে গেলেই বিজ্ঞাপন দেখবে, ওজন কী করে কমাবেন। সবাই ক্লিক করছে, পড়ছে, জানছে, জেনেই চিপসের প্যাকেট কিনছে, মোগলাই পরোটা খাচ্ছে আর ঢকঢক করে মাল গিলছে। তারপর একদিন জিমে গিয়ে ভাবছে রাতারাতি রোগা হয়ে যাবে।’

সং স্টোরি শর্ট : পর্ব ২০

‘দশম অবতার’ ছবিতে অরিজিৎ সিং এবং শ্রেয়া ঘোষালের কণ্ঠে প্রথম শোনা যায় এই গান। প্রেমের যে বিচিত্র গতায়াত, তার একটা ধারণা যেমন এই গানের মধ্যে ফুটে ওঠে— তেমনই ফুটে ওঠে প্রেমিকমনের চাপা বিষণ্ণতা, যা উদাসীনতার হাত ধরাধরি করে চলে।

সং স্টোরি শর্ট: পর্ব ১৯

গান তৈরির গল্পে এ বারের গান “আমার শহর”। কলকাতাকে নিয়ে খানিকটা নিরাশা এ গানে থাকলেও, বেশি আছে মনচাপা একটা কষ্ট। যে কলকাতা জ্বলজ্বল করতে পারত, সে যেন রণে ভঙ্গ দিয়ে বুড়িয়ে গেল। আর নতুন প্রজন্ম তাকে ত্যাগ করে বসত করল অন্যত্র।

নীলা-নীলাব্জ : পর্ব ৭

‘গান, সিনেমা, নাটক, নভেল— সব কিছুতে চমক থাকলে তবেই সেটা ভাল লাগে। বাইরের মোড়কটা বড্ড টানে ওই বয়সে। আমার মনে আছে একটা নাটক দেখতে গেছিলাম, সেখানে অভিনেতা যেই কাঁচা গালাগাল দিচ্ছে তখন হাততালি দিয়ে উঠছিলাম।’