টাইম
বছর তেইশের দুই যুবক। ইশকুলবেলার জিগরি দোস্ত। বছরখানেক হল ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একসঙ্গে পাঠ শেষ করে বেরিয়েছেন। পড়ুয়াদের ঐতিহ্যশালী পত্রিকা ‘Yale Daily News’-এ একজন সামলেছেন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব, অন্যজন ম্যানেজিং এডিটর। অল্পবয়স থেকেই তাঁদের পত্রপত্রিকায় লেখার অভ্যাস। চোখে সাংবাদিকতার স্বপ্ন আর মনে প্রতিষ্ঠার উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে সদ্য প্রবেশ করেছেন পেশাদার চাকুরিজীবনে। কাজ চলছে, কিন্তু উত্থান-পতনে ভরা জীবনে মনের খিদে মিটছে না। সেইসঙ্গে মাথার ভিতরে ভর করে রয়েছে আরও বড় ভাবনা। নিজেদেরই একটা পত্রিকা বের করা গেলে কেমন হয়?
ব্রিটন হ্যাডেন (১৮৯৮-১৯২৯) এবং হেনরি লুস (১৮৯৮-১৯৬৭)। মার্কিন সাংবাদিকতার বাঁক বদলে ভবিষ্যতে যাঁদের অবদান হয়ে উঠবে অনস্বীকার্য। সেটা গত শতকের তৃতীয় দশক। দুই তরুণের রাতের পর রাত কাটছে আগামী উদ্যোগ নিয়ে ভাবনাচিন্তায়, পরিকল্পনায়, কাটা-ছেঁড়ায়। ঠিক হল, মূলত সংবাদ আর তার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণধর্মী তাঁদের নতুন পত্রিকার নাম হবে ‘Facts’। আসল খবরগুলি খুব সংক্ষেপে, আঁটোসাঁটো ভঙ্গিতে পরিবেশন করা হবে ব্যস্ত মানুষজনের জন্য। এই পরিকল্পনা প্রসঙ্গে লুস তাঁর তৎকালীন প্রেমিকা ও প্রথম স্ত্রী লায়লা হট্স্-কে জানিয়েছিলেন— ‘a weekly called “Facts.” It will contain all the news on every sphere of human interest, and the news organized. There will be articles on politics, books, sport, scandal, science, society, and no article will be longer than 200 words. Nothing will be too obvious….[It would] serve the illiterate upper classes, the busy business man, the tired debutante, to prepare them at least once a week for a table conversation.’ যেমন ভাবা তেমন কাজ! চাকরি-বাকরি ছেড়ে দুই বন্ধু ঝাঁপিয়ে পড়লেন নতুন প্রয়াসে।
‘TIME’। প্রাথমিক পরিকল্পনা এক থাকলেও শেষমেশ বদলে গেল নাম। পরিবর্তিত এই নামেই নিউ ইয়র্ক শহর থেকে প্রকাশিত হল তাঁদের নিজেদের কাগজ! মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সাপ্তাহিক সংবাদপত্র। প্রথম সংখ্যার শিরে অল ক্যাপে ছাপা হল পত্রিকার নামটি। অচিরেই যা পরিণত হয়েছিল, মার্কিন জনতার কাছে তো বটেই, সারা বিশ্বের মানুষের কাছেও অতি চেনা এক চিহ্নে। প্রথম বর্ষ প্রথম সংখ্যার প্রচ্ছদে রাখা হয় রিপাবলিকান পার্টির নেতা এবং হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সদস্য জোসেফ জি. ক্যানন-এর ছবি। দাম ছিল পনেরো সেন্ট। এক বছরের গ্রাহক চাঁদা পাঁচ ডলার।
১৯২৩ সালের ৩ মার্চ প্রকাশিত হয়েছিল ‘TIME’ পত্রিকার এই প্রথম সংখ্যাটি। হিসেবমতো দেখতে গেলে, শতবর্ষ আগের কথা। প্রথম সংখ্যা থেকেই দেশ-বিদেশের সংবাদ, বইপত্র-শিল্পকলা-সংগীত-বিজ্ঞান-আইন-খেলার খবর কিংবা ‘মাইলস্টোন’ শিরোনামে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির মৃত্যু, বিবাহ বা ডিভোর্স ইত্যাদির বার্তা জায়গা পেতে থাকে। প্রায় সব খবরই তিন কলমের পাতায়, সংক্ষিপ্ত পরিসরে ধরিয়ে ফেলা হয়। শুধু আমেরিকা নয়, টুকরো-টুকরো করে বিভিন্ন দেশের খবরাখবর পরিবেশিত হয় বিশেষ গুরুত্ব-সহ। যেমন, এই সংখ্যাতেই প্রকাশ পায় কোরিয়ায় ‘গান্ধীবাদ’ বিস্তারের কথা—
Gandhism is rife in Korea, province of Japan. Koreans are being urged by their leaders to use only articles of Korean manufacture. Although civil disobedience has not been advised, the movement is an attempt to copy the Gandhi methods in India.
নানাবিধ খবরে ঠাসা এই পত্রিকা মার্কিন মুলুকে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে বিশেষ সময় নেয়নি। কিন্তু শুরু থেকেই তার নেপথ্যে হ্যাডেন ও লুস ছাড়াও ছিলেন আরেক তরুণ। ‘TIME’-এর সার্কুলেশন ম্যানেজার রয় এডওয়ার্ড লারসেন (১৮৯৯-১৯৭৯)। তাঁর কৌশল ও উদ্যোগে দ্রুত গতিতে বাড়তে থাকে গ্রাহকসংখ্যা। প্রথম থেকেই পত্রিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় গ্রাহক হওয়ার ফর্ম—লক্ষণীয় যে প্রতি সংখ্যায় সেই ফর্মের চমকপ্রদ বয়ানটি পালটে যাতে থাকে। প্রথম সংখ্যায় ফর্মটি লেখা শুরুই হচ্ছে এই পত্রিকার উদ্দিষ্ট পাঠকশ্রেণির ছবিটি স্পষ্ট করে দিয়ে—
—the man who wants the facts
—the man who wants to do his own thinking after he has the facts
—the busy man
Is there such a man?
‘TIME’-এর ক্রমবর্ধমান সাফল্যের অন্যতম কারণ হল যে, টানা ছয় দশক ধরে এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জুড়েছিলেন লারসেন। ১৯২৯ সালে হ্যাডেনের অকালমৃত্যুর পর থেকে তাঁর ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। একইসঙ্গে ঠিক এই সময় থেকেই এক নির্মম ঘটনার সাক্ষী হতে থাকে ‘TIME’। ওই বছরই ২৭ ফেব্রুয়ারি রক্তে বিষক্রিয়ায় আকস্মিক মৃত্যু হয় ব্রিটন হ্যাডেনের। আর ১৮ মার্চের সংখ্যা বেরোলে দেখা যায়, নিজ হাতে একদা যে-পত্রিকা গড়েছিলেন হ্যাডেন, তার প্রিন্টার্স লাইনে তাঁর নামের চিহ্নমাত্রও আর অবশিষ্ট নেই। হ্যাডেনের শেষ ইচ্ছার মর্যাদা না দিয়ে, মৃত্যুর বছরখানেকের মধ্যেই তাঁর অংশের শেয়ার শোকাহত পরিবারের কাছ থেকে কিনে নিতে সফল হন লুস। ঐতিহাসিকরা অনেকেই চক্রান্তের ছায়া দেখতে পান এই ঘটনা পরম্পরায়। এতদিন ‘সেকেন্ড বয়’ হয়ে থাকা হেনরি লুসের সর্বেসর্বা হয়ে ওঠার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আর লোভের প্রতিফলনও হয়তো ধরা পড়ে।
নিজের কাজে কতটা দক্ষ ছিলেন হ্যাডেন? ‘TIME’ গড়ে তোলার পিছনে কতটা অবদান ছিল তাঁর? ‘The Man Time Forgot: A Tale of Genius, Betrayal, and the Creation of Time Magazine’ বইয়ে সেসব লিখেছেন ঐতিহাসিক ও প্রাবন্ধিক ইসাইয়া উইলনার—
By the age of twenty-five, he had created the first magazine to make sense of the news for a broad national audience. By the age of twenty-seven, he had invented a writing style that brought great events to life, informing a wide group of Americans. By the age of thirty, he had made his first million dollars.
লিখেছেন হ্যাডেন আর লুসের পারস্পরিক সম্পর্কের কথা—‘Their rivalry was legend, and so was their friendship.’ সেই ভারসাম্য হয়তো শেষমেশ বজায় থাকেনি। তা নইলে হ্যাডেনের মৃত্যুর পর তাঁর নাম মোটে দু’চার বারের বেশি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করতে কেন আপত্তি থাকবে লুসের? কেন ‘TIME’ পত্রিকার যাবতীয় কৃতিত্বের ভাগীদার তিনি একাই হতে চাইবেন? ব্রিটন হ্যাডেন কেন ক্রমশ তলিয়ে যাবে বিস্মৃতির গহ্বরে?
নেপথ্যে চাপা ঈর্ষা থাক আর চক্রান্তের ইতিবৃত্ত, বিশ শতকে সাংবাদিকতার সুনির্দিষ্ট একটি ধারা প্রতিষ্ঠা করতে ‘TIME’ যে সফল হয়েছিল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আমজনতার পাঠাভ্যাসকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সমকালীন অন্যান্য সংবাদপত্রকেও তা টেক্কা দিয়ে যায়। ‘TIME’-এর রসগ্রহণের জন্য উচ্চশিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু গুণবাচক বিশেষণের ব্যবহার, ‘newsmagazine’ বা ‘televangelist’-এর মতো নতুন জোড়শব্দের প্রয়োগ, ‘socialite’ বা ‘tycoon’ জাতীয় শব্দের উদ্ভাবনা কিংবা ভিন্নার্থে ব্যবহার এই পত্রিকার গদ্যরীতিতে স্বাতন্ত্র্য এনে দেয়। স্বচ্ছ, পরিমিত, নৈর্ব্যক্তিক ও সপাট এক লিখনভঙ্গি সাংবাদিকতার দুনিয়ায় ‘টাইমস্টাইল’ হিসাবে পরিচিত হয়ে যায়।
আরও একটি বৈশিষ্ট্য ছিল এই পত্রিকার। তা হল, ব্যক্তি-বিশেষকে গুরুত্ব দেওয়া। পত্রিকার প্রচ্ছদে তো বটেই, সামগ্রিক পরিবেশনেও তা ফুটে ওঠে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট কিংবা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি অমার্কিনিরাও উঠে আসেন আলোচনার কেন্দ্রে। ভারতীয়দের মধ্যে মহাত্মা গান্ধীর মুখাবয়ব ১৯৩০ সালের ৩১ মার্চ প্রথম ‘TIME’-এর প্রচ্ছদে জায়গা পায়। ‘Pinch of Salt’ উপশিরোনামে বিদেশের খবরে দু’পাতা জুড়ে প্রকাশিত হয় তাঁর আন্দোলনের বিবরণ। এর পরেও ১৯৩১ ও ১৯৪৭ সালে প্রচ্ছদ চিত্রিত হয় গান্ধীর ছবি দিয়ে।
বিভিন্ন সময়ে আরও নানা ভারতীয় ব্যক্তিত্বের উপরে আলোকপাত করেছে ‘TIME’। ১৯৩৮ সালের ৭ মার্চ প্রচ্ছদ হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে নিয়ে। জওহরলাল নেহরু, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মতো ব্যক্তিও এই তালিকায় আছেন। মূল সংস্করণে না হলেও, পরবর্তীকালে অন্যান্য সংস্করণে শাহরুখ খান, সচিন তেণ্ডুলকার থেকে ঐশ্বর্য রাই বা সানিয়া মির্জার মতো অনেকেই জায়গা পেয়েছেন। উঠে এসেছেন মনমোহন সিংহ, নরেন্দ্র মোদী।
প্রথম প্রকাশের বছর চারেকের মধ্যে ‘TIME’ পত্রিকার প্রচ্ছদে একটি বৈশিষ্ট্য যোগ হয়। লাল রঙের বর্ডার। ক্রমে এটি পত্রিকার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠে। ১৯২৭ সালের ৩ জানুয়ারি প্রথম ব্যবহার করা হয় এই বর্ডারটি। মাঝে দু’একবার লাল এই বর্ডারে কিছু বিন্যাসগত পরিবর্তন করা হলেও এর মূল ভাবটি আজও বজায় রয়েছে। বিশেষ উদ্দেশ্যে অবশ্য কখনও-কখনও এই প্রান্তরেখার রং বদলানো হয়েছে। ৯/১১-র পর ২০০১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বিশেষ সংস্করণ বেরিয়েছে কালো রঙের বর্ডারে। কোভিডকালেও কালো বর্ডারে সীমায়িত হয়েছে ‘TIME’। আবার পরিবেশ বিষয়ক সংখ্যায় এই বর্ডারেরই রং হয়েছে সবুজ।
তবে, পত্রিকার অবয়বগত এইসব নিরীক্ষার সবচেয়ে বড় নিদর্শনটি সম্ভবত দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক কালেই। ট্রাম্প বনাম বাইডেন দ্বৈরথের হাইভোল্টেজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রতীকায়িত হয়েছিল পত্রিকার মাস্টহেড বদলে ফেলে। ২০২০-র নভেম্বর শুরুর সংখ্যার প্রচ্ছদে ‘TIME’ লেখাটির আদলেই অল ক্যাপে ছাপা হয়েছিল ‘VOTE’। ডিজাইনের পরিপ্রেক্ষিতে নিঃসন্দেহে অনবদ্য প্রয়োগ!
দু’একবার ব্যতিক্রম হলেও শুরুয়াতি পর্বে মুখ্যত ব্যক্তিকেন্দ্রিক প্রতিকৃতিনির্ভর প্রচ্ছদই ‘TIME’ ব্যবহার করে এসেছে। কালক্রমে সেই ব্যবহারেও নানা ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা হতে থাকে। যেমন, হিটলার মারা যাওয়ার ঠিক পরেই, ৭ মে ১৯৪৫ সংখ্যার প্রচ্ছদচিত্রে হিটলারের প্রতিকৃতিটি লাল ক্রস দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। প্রায় একই ধরনের অর্থবহ ট্রিটমেন্ট দেখা যায় ওসামা বিন লাদেন কিংবা সাদ্দাম হুসেনের ক্ষেত্রেও। দীর্ঘ সময়ের ফারাক থাকলেও কিংবা বিবর্তনের পথে ঢের এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও, কিছু বৈশিষ্ট্য যে সচেতনভাবেই অবিকৃত রাখতে চেয়েছে ‘TIME’ কর্তৃপক্ষ, এই নিদর্শন তার অন্যতম প্রমাণ।
ব্যক্তিকেন্দ্রিকতাকে গুরুত্ব দেওয়ার যে-প্রয়াস, তা আরও স্পষ্ট করতে ১৯২৭ সাল থেকে ‘দ্য ম্যান অফ দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতির প্রচলন করে এই পত্রিকা। প্রথমবার এই শিরোপা অর্জন করেন মার্কিন বিমান চালক ও সেনা অফিসার চার্লস লিন্ডবার্গ। ১৯৩০ সালে ‘দ্য ম্যান অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হন মহাত্মা গান্ধী। ১৯৩১-এর ৫ জানুয়ারি সংখ্যায় এই প্রসঙ্গে লেখা হয়—‘Curiously, it was in a jail that the year’s end found the little half-naked brown man whose 1930 mark on world history will undoubtedly loom largest of all.’ শুধু বিখ্যাত মানুষজনই নন, হিটলারের মতো কুখ্যাত ব্যক্তিও এই তকমা পেয়েছেন। বস্তুত, ভাল-মন্দের বিচার নয়, সারা বছরের ঘটনাবলিতে কার প্রভাব সর্বাধিক, তা চিহ্নিত করাই ছিল এই প্রয়াসের উদ্দেশ্য। আবার এই নির্বাচন যে কখনও ব্যক্তিকেও অতিক্রম করে যায়নি, এমন নয়। ১৯৮২ সালে কম্পিউটারকে ঘোষণা করা হয় ‘মেশিন অফ দ্য ইয়ার’ হিসাবে। ২০০৬ সালে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেয় এই বাছাই। ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়—‘You’! আন্তর্জালে জনতার বিপুল ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দিয়ে লেখা হয়—‘Yes, you. You control the Information Age. Welcome to your world.’
শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে বেছে নেওয়া কিংবা প্রতি বছর সেরা একশো প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা নির্মাণ—গত দু’তিন দশকে জনমানসে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে সচেষ্ট হয়েছে ‘TIME’। একাধিক বার তার মালিকানাও বদলেছে। কিন্তু পাঠকসংখ্যার হার ধাপে-ধাপে পড়তে থেকেছে। সাপ্তাহিক প্রকাশের প্রায় এক শতকের রীতি বদলে বছর তিনেক হল পাক্ষিক প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে ‘TIME’-এর গড় পাঠকসংখ্যা তেরো লক্ষের কাছাকাছি। নেহাত কম নয়, ঠিকই। কিন্তু এত বড়ো প্রতিষ্ঠানেও ধারাবাহিক নিম্নমুখী গ্রাফ আশঙ্কিত করে। এ-ঘটনাকে এই ডিজিটাল সময়ের বৈশিষ্ট্য বলেই মনে হয়। মুদ্রিত পত্রিকা পাঠের প্রবণতা যে আবিশ্ব কমছে, সেই ইঙ্গিতই হয়তো এ থেকে ফুটে ওঠে।
ছবি সৌজন্যে : লেখক