জীবন বিষয়ে
জীবন বিষয়ে আমি অধিক ভাবিনি তবু কোনো একদিন
সমস্ত ভাবনা এসে আমাকেই পাকে জড়িয়েছে
পাঁকেও বলতে পারো, যতদূর বলা যায় বলো…
কেন যে বলার শেষে গাঢ় দীর্ঘশ্বাস নেমে আসে
পালোই-এ পুয়াল থাকে, না না, তেমন করে নয়
যূথ নয়, একাকীর তাঁবুতে প্রবেশ করে হাওয়া
তারপর চলাচল তারপর থামার নিয়ম
শুধুমুধু বদলে যায় পথের নিয়মই নাকি এই
কোন এক দেবতা নাকি অনেক নাকি-র থেকে তুলে
এই সার রেখে গেছে টীকা-ভাষ্য-সাবেকি মস্করা
অথচ ঘুমের ঘোরে তারস্বরে ঘোড়া ছুটে যায়
মাটির ঘোড়াই হবে কারণ এই গরিবের ঘরে
সত্যি সত্যি ঘোড়া আর আদিকল্পে কাঁহাতক থাকে
যে-ঘোড়া ছুটিয়ে মারে রক্তে রক্তে আমাকে তোমাকে
সে-ঘোড়া কোথাও নাই, তার সিকি লেজও উধাও
না থাকুক ঘোড়া তবু হতোদ্যমে মহাকাশ ছুঁয়ে
জীবন জার্সি গাই, তাকে যত পারো দুয়ে নাও
দেব্যপরাধক্ষমাপণস্তোত্র
আমির খানের ছবি দেয়ালে টাঙানো
এই ঘরে কত লোক এল গেল তুমি
কি এসেছ, ঝড়েজলে, যেমন পথিক
আসে সেরকম করে তার থতমত
ভঙ্গিটাই বহুদিন মনে থেকে যায়
অর্বুদ অর্বুদ বর্ষ পেরিয়ে যেমন
শাসকের হাতে থাকে গন্ধ ক্ষমতার
অতদিন থাকা ভাল? জগৎ-পাড়াতে
কত কী যে পালটে যাবে সেই বদলের
বাধ্যতম ভুলু হয়ে বাঁচা কী কঠিন
আমি এইসব ভাবি উপচীয়মান
পেতলের ঘটিখানা ডোবে যে পুকুরে
তার কত ছোপছাপ ব্যস্ত উল্লম্ফন
ও নগ্ন স্মৃতির দিকে ফিরেও দেখো না!
২.
এ-বিপুল বিশ্বে তার নিরবধি পথ
খুলে যাক যেই ভাবি তুমি এলোমেলো
হয়ে পড়ো মারাত্মক ডিমের আকারে
ঘোরো মনে খুব কিছুক্ষণ মৃদুমন্দ
বায়ু এসে আমাদের তেরাত্তির ধরে
জাগিয়ে রেখেছে দ্যাখো ঘুমভাঙানিয়া
সুরে সুরে যেরকম পাখি ডাকে মনে
আহত প্রলাপ ছুঁয়ে মড়া টানো বুকে
এই বোধ ভালবাসা কাঠের মতন
কিছু কাঠ হয়ে লেগে আছে গালে দেখি
ফোসকা পড়েছে খুব যৌনাঙ্গ ধেড়িয়ে
গেছে আজকের এই নিরালা নরকে
এ-বিপুল বিশ্বে তার নিরবধি পথ
খুলে যাক আর কিছু জাতীয় সড়কে
পার্গেশন
তোমার বাইরে গিয়ে কোনো কিছু ভাবতে পারি না।
তোমার ভেতরে গেলে আরও বেশি দমবন্ধ লাগে।
যেমন মাছের কাঁটা আচানক টুঁটির ভেতরে ফেঁসে গিয়ে
অকারণ জীবন জেরবার করে ছাড়ে।
যেমন কাছিমমাংস খেতে গিয়ে খুব বাল্যকালে
তীব্র বাজে গন্ধ পেয়ে কাছিম খাবার সাধ গেছে।
তেমনই তোমাকে চেয়ে আমার হালত গেছে ভেসে
বন্যার উদোম জলে যেন গোসাবার ঘরবাড়ি।