১
তোমার থেকে আমার চোখ আধ মাত্রা কম।
আগে পলক পড়ে।
এই হাতের কিনারে নামে বিষাদ ঝমঝম
রক্ত ওঠে ঝড়ে।
রক্তেরও তো ঠিকানা চাই, সরাইখানা চুপ।
নতুন গ্রাম জাগে…
পর্যটন চাঁদের নিচে মোহর তছরুপ–
মানুষ পড়ে ভাগে।
তোমার থেকে আমার ঠোঁট তিন শংকা দূর
আবছা কথা ফোটে
আমি আবার ফিরিয়ে দিই সাহস মঞ্জুর
তোমারই দুই ঠোঁটে।
২
মিহির নামে একটি ছেলে হারিয়ে গেছে নীল
মিছিল ছিল কাছে
জলরঙের রক্ত লেগে উপচে ওঠে ঝিল…
পক্ষী ডাকে গাছে।
কাদের ছিল নিশানময় শূন্য বন্দর
জাহাজ মরে একা
শহর থেকে ভাসান যায় একলাদের ঘর
নিজের চোখে দেখা।
আকাশ জুড়ে ডানা ভাঙায় একটি মৃত চিল
বাঁচতে হয় পাছে!
মিহির নামে একটি ছেলে হারিয়ে গেছে নীল
মিছিল ছিল কাছে।
৩
তোমার থেকে আগুন নেন বাদল সরকার।
নাটকে আলো হবে।
ডানদিক না বাঁদিক, তুমি ছুরির প্রিয় ধার
বাছবে বলো কবে…
চলবে ছুরি হৃদয় ঘেঁষে, রক্ত চনমন
তবে না হাততালি!
এই জন্মে রাধা সাজেন, অন্য কেউ নন
স্বয়ং বনমালী।
তাঁকে শুধাও, কোন পন্থা শুদ্ধ আছে আর
পুণ্যে হোক, পাপে
তোমার থেকে আগুন নেন বাদল সরকার।
লাগান সংলাপে।
৪
গুপ্তচর বিক্রি হয় সন্ধ্যামণি হাট
সাপের খাঁচা খোলা
দুঃস্থদের মধ্যে ভাগ নিঃস্ব তল্লাট
একটি মোটে গোলাপ।
কে নেয় তাকে বইয়ের ভাঁজে, কে করে গুম খুন
এ সবই তারা জানে।
বসন্তেও কাজ পায় না চৈত্র-ফাল্গুন
মড়ক লাগে ধানে।
তোমার বাড়ি আসুক চাল, আমার বাড়ি ভাত…
অন্ন বড় বালাই
গুপ্তচর বিক্রি হোক সন্ধ্যামণি হাট
আমরা গ্রাম চালাই।